বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

"স্মৃতির পাতার কয়েকটি দিন"[By S.A.Shameem]

"ছোট গল্প" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান S.A.Shameem (০ পয়েন্ট)

X "স্মৃতির পাতার কয়েকটি দিন" লেখক : S.A.Shameem আজ ২২ জনুয়ারি ,বুধবার।কালকে আমাদের বিদ্যালয়ের নবীন বরণ ও এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান। এক বছর থেকে আমরা সবাই এই দিনটির অপেক্ষায় ছিলাম। প্রতিবছরই এই অনুষ্ঠনের কিছু দায়িত্ব থাকে দশম শ্রেণীর শিক্ষারর্থীদের উপর।অনুষ্ঠানে কি নতুন কিছু করা যাই ,কিভাবে নবীনদের বরণ ও এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় করতে হবে,কিভাবে সবকিছু সাজাতে হবে.. সকলে অনেক আগে থেকেই এই সব চিন্তা করে আসছিলো।অপেক্ষার প্রহর আজ শেষ ,কালকেই সেই দিন।প্রতি বছরের মত আমাদের (দশম শ্রেণীর ) উপরও কিছু দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।সেই কারনে আমারা (দশম শ্রেণীর ) সকলে আজ বিকেলে স্কুলে এসেছি।সবার মনে কতই না আনন্দ।আমাদের সাথে দুই জন শিক্ষক ও আছেন।আমরা আমাদের কাজগুলো করতে লাগলাম।ডেকরেটর এর জিনিসও সব চলে এসেছে, তারাও তাদের কাজ করছে।এরই মধ্যে সন্ধ্যা হয়ে এলো ঠিক তখনই মিউজিক সিস্টেমের লোকজনও কালকের অনুষ্ঠানের জন্য অর্ডার দেওয়া স্পিকার গুলো রেখে গেলো।এই সবকিছুর দেখাশোনা করাও আমদের কাজের মধ্যে একটা।অনুষ্ঠানের স্টেজ সাজানোর জন্য কাগজের ফুল কাটা,প্যান্ডেলের চারপাশ বাঁশ দিয়ে ঘিরে দেওয়া ইত্যাদি কাজ করতে করতে প্রায় রাত ১১টা বেজে গেলো।আমার কয়েকজন বন্ধু ও মামা (পিয়ন) মিলে রান্নাটা মাত্র শেষ করলো। সবাই সবকাজ রেখে খাবার খেয়ে নিলাম।আমাদের খাবার পরে আমাদের শিক্ষকেরাও খাবার খেলেন ।তারপর তারা বাড়ি চলে গেলেন। এখন রাত ১২টা পার হয়ে গিয়েছে,কাজ প্রায় শেষ এই সময় দেখা দিল একটি সমস্যা..আজকে আমারা সবাই স্কুলে থাকায় পানির ব্যাবহার একটু বেশি হয়েছে তাই অতিরিক্ত পানি অনুষ্ঠানের প্রবেশ পথে চলে গিয়েছে।এই কনকনে শীতের রাতে,এত ঠান্ডার মধ্যেও পানিতে ভিজে সকলে মিলে সেই পানি যাওয়া থামালাম।যে কাজ কোনো দিনও করিনি সেটা করতেও আজ খুব ভালো লাগছে।আমাদের মধ্যেই কিছু বন্ধু আছে যারা কিছু কাজ না করে শুধু স্পিকারে গান বাজাতে ব্যাস্ত।আমি কাজ শেষ করে আবার ফুল কাটতে লাগলাম আর অন্যরা রাস্তায় লিখা লিখি করতে চলে গেলো,তখন শুনতে পেলাম পাশের গ্রামের কেউ নাকি মারা গিয়েছে.....এটাকে অতো গুরুত্ত না দিয়ে আমি আবার আমার কাজ করতে লাগলাম। তারপর যখন রাত ২ টা বাজছে তখন আমিও গেলাম তারা(বন্ধুরা) কি করছে দেখতে। সেখানে গিয়ে দেখলাম রাস্তায় তারা তাদের নাম লিখছে সাথে সবাইকে আমদের অনুষ্ঠানে আসার জন্য স্বাগতম জানিয়ে কিছু লিখছে।আমি তাদের কে বললাম আমিও কিছু লিখবো কিন্তু আমার সবথেকে প্রিয় বন্ধু আমাকে লিখতে না দিয়ে সে নিজেই লিখতে লাগলো????????।আমি মনে মনে খুব দুঃখ পেলাম।তবুও তাদেরকে সেটা বুঝতে দিলাম না। হটাৎ আম্বুলেন্সের শব্দকে আমি পুলিশের গাড়ির শব্দ ভেবে দেরি না করে স্কুলে চলে এলাম।আমার পরপরই আমার বন্ধুরাও চলে এলো।তখনও ডেকোরেটরের লোকজন তাদের কাজ করে যাচ্ছে।মানুষ মারা গিয়েছে শুনেও কয়েকজন বন্ধু স্পিকার বাজাতে থাকলো।এর মধ্যেই মানা করার পরও কয়েকজন তাদের গ্রামের পরিচিতদের ফোন করে "আপনি লটারিতে মোটর সাইকেল পেয়েছেন" ইত্যাদি মিথ্যা কথা বলে তাদের সাথে মজা করতে লাগলো।এভাবে এক থেকে দেড় ঘণ্টা কেটে গেলো।ওরা এসব করতে থাকলো... একটু না ঘুমালে আবার শরীর খারাপ করবে তখন অনুষ্ঠানে ভালোভাবে মজা করা যাবেনা।তাই আমি,নাসিম এবং সিয়াম কাওকে না বলে অন্য একটি ঘরে ঘুমাতে চলে গেলাম।আমরা শুতে যাবো,এমন সময় সহিদুল এসে হাজির !কিভাবে ও জেনে ফেলেছে তাই ও নিজেও শুতে এসেছে। শুয়ে পড়ার কিছুক্ষনের মধ্যেই ওরা তিনজনই ঘুমিয়ে পড়লো শুধু আমি জেগে রইলাম।বাইরে কাজ করছে তার জন্যে ঘরে আলো আসছে ,আমার আবার আলোতে ঘুম আসেনা।একা জেগে থাকতে থাকতে প্রায় যখন সাড়ে ৫ টা বাজে তখন আমার ঘুম আসলো। হটাৎ সকলের ডাক শুনে ঘুম ভাঙলো..তখন সকাল ৬ টা পার হয়ে গিয়েছে।মাত্র ৩০মিনিট ঘুম হয়েছে।আবার সাড়ে ৬ টায় নাসিম ও আরো চার জনকে অনুষ্ঠানের খাবার আনতে যেতে হবে।সকলে মুখ হাত ধুয়ে অতিথি ও শিক্ষার্থীদের বসার আসন গুলো ঠিক করে দিলাম। এখনো সূর্য উঠেনি আর কুয়াশা পড়ছে তাই ভালো করে কিছু দেখা যাচ্ছে না তাই আমরা সিবাই ডেকোরেটরের লোকদেরকে তাদের বাল্ব জ্বালাবার তারটা (ইলেকট্রিক তার) রেখে দিতে বললাম। তারপর আমি,অমিত,অপি তিনজনে স্টেজ সাজাতে লাগলাম এবং অন্যরা অন্য সব কাজ করতে লাগলো।স্টেজের কাজ শেষে আমি ,অমিত কে বলে বাড়ি চলে গেলাম। প্রায় সবাই থাকলো কেউ পরে যাবে আর কেউ এখানেই গোসল করে কিছু খাবার খেয়ে নিবে ,বাড়ি যাবে না।আমি বাড়ি গিয়ে গোসল করে,খাবার খেয়ে,পোশাক পরে স্কুল চলে এলাম ।আসার সময় ছবি তোলার জন্য টাচ ফোনটাও নিয়ে এলাম। এখন প্রায় ৯ টা বাজে,স্কুল এসে দেখলাম আমদের ক্লাসের মেয়েরা চলে এসেছে আর ছেলেরা বাড়ি গিয়ে এখনো সবাই আসেনি ।যারা এসেছে তাদের মুখে যে কথা শুনলাম (তা শোনার জন্য আমি মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলাম না) তাতে আমি খুব দুঃখ পেলাম।শুনলাম আজকে নাকি আর অনুষ্ঠান হবে না!!! কালকে যে ব্যাক্তিটা মারা গিয়েছিল ,তিনি আমাদের স্কুল প্রতিষ্ঠার সাথে জড়িত ছিলেন।তিনি মারা গিয়েছেন আর অনুষ্ঠান হবে এটা কেমন দেখায়।তাই নাকি অনুষ্ঠান হবেনা এমনটা নাকি স্যার বলেছেন।যে অনুষ্ঠানের জন্য দীর্ঘ বিশ দিন ধরে শিক্ষার্থীরা কি পারফর্ম করবে তার প্রাকটিস করে আসছে, যার জন্য এতো অপেক্ষা ,রাত জেগে এতো কাজ করা আর সেটাই হবে না!!!???????????????? এই কয়দিন ঠিকভাবে পড়াও হয়নি। কিছুক্ষণ পর সব সারেরা এলেন,তারা আমাদের বললেন যে,"মানুষটির মৃত্যুর কারনে আজকে অনুষ্ঠানের বক্তব্য এর অংশটুকু শুধু হবে।কালকে শুক্রবার তাই শনিবার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে।" এটা শুনে তাও একটু ভালো লাগলো।কিন্তু আবার একটা সমস্যা শনিবার আমাদের স্কুল কেবিনেট নির্বাচন । স্যারেরা চিন্তা ভাবনা করে বললেন,"সকাল ৮ টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হবে আর ভোট গ্রহণ শেষে মানে প্রায় ১২ টার দিকে অনুষ্ঠান শুরু করা হবে। " আজকের অনুষ্ঠানের পর্ব প্রায় সাড়ে ১০ টা নাগাদ শুরু হলো।নবীন ও বিদায়ীদের গোলাপ দিয়ে বরণ করার মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু করা হলো।এরপর স্যারেরা তাদের মূল্যবান বক্তব্য রাখলেন।সাথে সাথে বিদায়ী শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকেও একজন কিছু কথা বললেন। সবশেষে আমাদের প্রধান শিক্ষক তার মূল্যবান কিছু কথা বলে আজকের অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করলেন।অনুষ্ঠান শেষের পর শিক্ষার্থী ও অতিথিদেরকে খাবার খেতে দেওয়া হলো।বিদায়ী বড় ভাই,বোনদের জন্য একটু বিশেষ খাবার আয়োজন করা হয়েছিল।খাওয়াদাওয়া শেষে স্যার আমাদের বললেন "এই দুই দিন এখানেই সবকিছু থাকলো এগুলো দেখাশোনা করার দায়িত্ব তোমাদের তাই তোমাদের স্কুলে থাকতে হবে। " তার পর সবাই বাড়ি চলে এলাম। ঠিক সন্ধ্যার আগে আমি আর ফরহাদ একসাথে স্কুলে গেলাম।সেখানে অমিদ ও আরো কিছু বন্ধু ছিল,কিন্তু সবাই আসে নি।কিছুক্ষনের মধ্যেই সন্ধ্যা হয়ে আসলো।নাসিম এবং রাব্বানি আমাদের রান্নার জন্য বাজার করতে গেলো।এদিকে আমরাও রান্নার কাজ শুরু করে দিলাম।ওদের বাজার করে আসার আগে মামা (পিয়ন) ডিম ভেজে নিলো।আজকে আমাদের রাতের খাবার হবে ডিম ভাজা ,খিচুড়ি ও আলু ভর্তা। নাসিমদের বাজার করে আসার পর, মামা রান্না করা শুরু করলো..।আমরাও বিভিন্ন কাজে মামাকে সাহায্য করলাম।তারপর সবাই ঘরে গিয়ে মজা করতে ও অনুষ্ঠানের বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে কথা বলতে লাগলাম। রান্না শেষ হলে মামা আমাদের ডাকদিলো, আমরা সবাই খেয়ে নিলাম ।রাব্বানি ও কামরুজ্জামানের বাড়ি কাছে হওয়ায় তারা খেয়ে বাড়ি চলেগেলো আর আমরা ১০ জন থেকে গেলাম।তারপর সকলে শুতে গেলাম..শুয়ে শুয়ে আমরা,আজকে অনুষ্ঠানে তোলা ছবি ও ভিডিওগুলো দেখতে লাগলাম..।কিছুক্ষনের মধ্যে সামিউল ও মামা আমাদের অনুষ্ঠানের প্যান্ডেলের দিকে একবার নজরদারি করে আসলো।তারপর মামা বাড়ি চলেগেলো আর আমরা থেকে গেলাম।তারপর সবাই অনেক হাসি মজা করে রাত ১০ টার দিকে ঘুমিয়ে গেলাম। সকাল ৭ টার দিকে আমাদের ঘুম ভাঙলো,আজ ২৪ জানুয়ারি, শুক্রবার।তারপর আমরা মুখ-হাত ধুয়ে সবাই নিজের নিজের বাড়ি চলে গেলাম।ওদের আজ আমি আর আসতে পারবোনা বলে আমার সব জিনিসপত্র নিয়ে বাড়ি চলে এলাম।তাই আজকের দিনটা আমার বাড়িতেই কাটলো...... আজ আমি খুব সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেছি ;আজ ২৫ তারিখ ,শনিবার ।আজকে আমদের স্কুলের বিদায় অনুষ্ঠান । তাই তাড়াতাড়ি গোসল করে খাবার খেয়ে প্রায় সাড়ে ৭ টার সময় আমি আর ফরহাদ স্কুলের দিকে রওনা হলাম। প্রায় ১৫ মিনিট পর আমরা স্কুলে পৌঁছলাম। তারপর আমাদের শিক্ষকেরা আসলে ভোট গ্রহণ শুরু হলো... এবং প্রায় ১২টা নাগাদ ভোট গ্রহণ শেষ হলো।তারপরই অনুষ্ঠান শুরুর কথা কিন্তু সাউন্ড সিস্টেমের সংযোগ দিতে সময় লাগায় এবং ব্যান্ডদল আসতে দেরি করাই প্রায় ১ টার পর অনুষ্ঠান শুরু হলো। আমার প্রিয় আরাফাত স্যার অনুষ্ঠান পরিচালনা করতে লাগলেন। তারপর একেরপর এক জমজমাট পারফরমেন্সের মধ্যদিয়ে আমাদের অনুষ্ঠান চলতে লাগলো..তারপর প্রায় সাড়ে ৪টার পর অনুষ্ঠান শেষ হলো..কিন্তু অনেক পারফর্মেন্স এখনো বাকি থেকে গেছে সময় স্বল্পতার কারনে সেগুলো দেওয়া সম্ভব হয়নি। তারপর আমরা সবাই স্যারদের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বললাম,আমাদের সব বন্ধুরা আজকে রাতটা একসাথে সবাইমিলে স্কুলে থাকতে চাইলো কিন্তু কোন কারণে থাকা হলো না।এরই মধ্যে সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছে সবদিক মাগরিবের আযান দিচ্ছে... এদিকে ডেকোরেটরের লোকেরা তাদের জিনিস পাতি নিয়ে যেতে লেগেছে। সারেরাও বাড়ি যেতে লেগেছে সবশেষে আরাফাত স্যার ও মসিউর স্যার আমাদেরও বাড়ি যেতে বলে তারাও বাড়ি চলে গেলেন। এরপর আমরাও বাড়ি চলে এলাম... এভাবেই কিয়েকদিন কাটতে লাগলো...... হটাৎ!! একদিন আরাফাত সারের গণিত ক্লাস চলাকালীন সময়ে করিম স্যার ক্লাসে প্রবেশ করলেন!!! তারপর তিনি যা বললেন তা শুনে তো আমরা সবাই বাকরুদ্ধ হয়ে গেলাম???????????? তিনি বললেন, "তোমরা ডেকোরেটরের লোকদের কাছ থেকে রাতে বাল্ব জ্বালিয়ে কাজ করার জন্য নাকি তার (ইলেকট্রিক তার) নিয়েছিলে?? কিন্তু তোমরা সেই তার তাদের ফিরিয়ে দাওনি! ওটা ২ হাজার টাকার তার ছিল। তার টা কি করেছ??"অনুষ্ঠানের আনন্দে সেই তারের কথা আমরা সবাই ভুলেই গেছিলাম!!তারমধ্যে আবার তারটা আমাদের কারো কাছে নেই মানে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা।এই অনুষ্ঠানের জন্য প্রত্যেকের প্রায় এক হাজার টাকা করে খরচ হয়ে গিয়েছে এখন বাড়িতে টাকা চাইলে আর দিবে না।


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৪৫৬ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
  • S.A.Shameem
    User ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বে
    SHUVO SUTRADHAR ভাই আপনি নিশ্চই আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়েছেন।ধন্যবাদ....

  • S.A.Shameem
    User ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বে
    " হয়ে হইল না শেষ "-- কথাটি খুবি গুরুত্বপূর্ণ।এই কথাটি দিয়েই বলে দেওয়া হয়েছে যে, ছোটগল্প কখনোই কাহিনীর ভিতরে ঘটনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বলে দেয় না। আর ইংরেজ লেখক এইচ জি ওয়েলস বলতেন ছোটগল্প ১০ মিনিট থেকে ৫০ মিনিটের মধ্যে পড়ে ওঠা যায় এমন হতে হবে।আর এ্যাডগার এ্যালান পো বলেছেন ৩০ মিনিট থেকে দুই এক ঘণ্টার মধ্যে পড়া যাই এমন হতে হবে।

  • S.A.Shameem
    User ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বে
    রবীন্দ্রনাথ তাঁর একটি কবিতায় যা বলেছিলেন সে কথাটি ছোটগল্পের প্রকৃতি সম্পর্কে এখনও প্রামাণ্য ব্যাখ্যা হিসেবে গন্য হয়ে আসছে।তিনি লিখেছেন: ছোট প্রাণ, ছোট ব্যাথা ছোট ছোট দুঃখ কথা নিতান্তই সহজ সরল সহস্র বিস্মৃতি রাশি প্রত্যহ যেতেছে ভাসি তারি দুচারিটি অশ্রুজল । নাহি বর্ণনার ছটা ঘটনার ঘনঘটা নাহি তত্ত্ব নাহি উপদেশ অন্তরে অতৃপ্তি রবে সাঙ্গ করি মনে হবে শেষ হয়ে হইল না শেষ ।

  • S.A.Shameem
    User ৩ বছর, ১০ মাস পুর্বে
    আপনারা যারা গল্পটি পড়েছেন তারা আমাকে একটা কথা বলেযান.. শেষে কি হয়েছিল সেটা জানতে কি আপনার ইচ্ছা জেগেছে?? প্লিজ জানাবেন....

  • S.A.Shameem
    User ৩ বছর, ১০ মাস পুর্বে
    ভাই একটা kothachilo, এই গল্পের শেষে কি হয়েছে আপনার জানতে কি ইচ্ছা জেগেছে?

  • SHUVO SUTRADHAR
    Golpobuzz ৩ বছর, ১০ মাস পুর্বে
    আরে এইধরনের লেখা কি কখনও ছোট গল্প হয় নাকি! কত্ত বড় গল্প। এই গল্পটি অতীতের স্মৃতির একটা অংশ তাই এটি স্মৃতির পাঁতা বিভাগের অংশ।

  • S.A.Shameem
    User ৩ বছর, ১০ মাস পুর্বে
    এটি আমি একটা ছোটগল্প লিখেছি । তাই আমি সৃতির পাতা বিভাগে দেইনি। আশা করি ছোটগল্প কি সেটা আপনি জানেন। আশা করি আপনি আপনার প্রশ্নের জবাব পেয়ে গিয়েছেন।ধন্যবাদ...

  • SHUVO SUTRADHAR
    Golpobuzz ৩ বছর, ১০ মাস পুর্বে
    খুব ভাল লাগল। এই গল্পটা তোমি স্মৃতির পাতা বিভাগে দিলে না কেন!