বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
ঘোষক যখন তাঁর নামটা ঘোষণা করলেন, মৃদু হেসে উঠে দাঁড়ালেন ডক্টর অশেষ সান্যাল।সাননের টেবিলে রাখা বিরাট পুষ্পস্তবকের পাশে সুদৃশ্য মানপত্র আর পুরস্কারের চেকটা সাবধানে রেখে ধীর পায়ে গিয়ে দাঁড়ালেন পোডিয়ামের সামনে।
কর্মবহুল,ব্যস্ত জীবনে অনেকবারই সভা-সমিতি-সেমিনারের বক্তৃতামঞ্চে মাইক্রোফোনের সামনে দাঁড়াতে হয়েছে প্রতিভাধর গণিতবিদ অশেষ সান্যালকে।পোডিয়ামে দাঁড়ানো, স্পটলাইটের আলো গায়ে নেয়া তাঁর কাছে জলভাত।সংবর্ধনার উত্তরে ধন্যবাদসূচক ভাষণ এতবার দিয়েছেন,এখন আর ভাবতে-টাবতে হয় না।মুখস্ত বয়ানের মতো তরতর করে ভাষার স্রোত চলে আসে।
কিন্তু আজ,জীবনের সর্ববৃহৎ পুরস্কারটি পাওয়ার পর, পোডিয়ামের মাউথপিসের দিকে তাকিয়ে অনেকক্ষণ চুপ করে দাঁড়িয়ে রইলেন অশেষ বাবু।যেন কথা হাতড়াচ্ছেন,ভাষা খুঁজে পাচ্ছেন না।
দর্শকদের মৃদু গুঞ্জন ও উসখুসানিতে তাঁর অন্যমনস্কতার ঘোরটা ছিঁড়ে গেল।যেন একটু চমকে উঠে নিজেকে গুছিয়ে নিলেন,তারপর ঈষৎ অপ্রতিভ হেসে শুরু করলেন তাঁর ভাষণ।
"আজ এই আলো-ঝলমল পুরস্কার-মঞ্চে দাঁড়িয়ে আমি মুহূর্তের জন্যে আত্মবিস্মৃত হয়ে পড়েছিলাম, আপনারা তা দেখেছেন।হয়তো আপনারা কিঞ্চিৎ অবাকও হয়েছেন; কেউ কেউ হয়তো এ-ও ভেবেছেন যে গণিতের গবেষণার জন্যে এই বিপুল সম্মান ও বিশাল অর্থমূল্যের পুরস্কারটি পেয়ে আমি অভিভূত হয়ে পড়েছি।অনেকে এমন প্রত্যাশাও করেছেন,আমি অতি বিনয়ের সাথে বক্তব্য রাখবো যে এত বড় সম্মানের আমি যোগ্য নই...... ইত্যাদি;যেমন প্রথাগত নিয়মে বলা হয়।
আজ্ঞে হ্যাঁ, মহোদয়গণ, আপনারা সকলেই ঠিকই ভেবেছেন।আমি সত্যিই বিমূঢ় হয়ে পরেছি এক তীব্র আবেগের ধাক্কায়।এবং, আমি সত্যিই এই পুরস্কারের যোগ্য প্রাপক নই।এ আমার বিনয় নয়,নিছক প্রথাসম্মত লিপ-সার্ভিস নয়।এ আমার অন্তরের কথা।
আজ এই মঞ্চ থেকে আপনাদের বিস্মিত করার জন্যেই আমি একটা পুরানো তথ্য তুলে ধরতে চাই।এতক্ষণ ধরে অন্যান্য গুণিজনরা আমার সম্বন্ধে যে সব ভারী ভারী এবং মনোহর বিশেষণ প্রয়োগ করলেন, তারপরে এই কথাটা শুনলে অনেকেই বিশ্বাস করবেন না।কিন্তু কথাটা সত্যি।আমি ছোটবেলায় অঙ্কে দারুণ কাঁচা ছিলাম।
শুধু কাঁচা বললেও কিছুই বলা হলো না।ঐ একটি বিষয়কে প্রচন্ড ভয় পেতাম আমি।অঙ্কের ক্লাসে মনে হতো কনসেনট্রেশন ক্যাম্প।অন্তত ক্লাস সিক্স অবধি,যতদূর মনে পড়ে,আমার অঙ্কের নম্বর পাঁচ পেরোয়নি কখনও।হ্যাঁ,ঠিকই শুনলেন আপনারা।পাঁচ।
আমাকে অঙ্কে মজবুত করার জন্যে আমার অভিভাবকরা অনেক খুঁজে এক জাদরেল টিউটর যোগাড় করেছিলেন।গাধা পিটিয়ে ঘোড়া করার জন্যে খ্যাতি ছিল তাঁর।ইয়াব্বড় গোঁফ, মোটা ভুরুর নিচে আগুনে চোখ, হাতে বেতের ছড়ি।গুরুগম্ভীর কন্ঠস্বর।
♦চলবে♦
গল্পটা সৌরভ মুখোপাধ্যায়ের লেখা।এবং এটি লেখকের অনুমতি নিয়ে বই তৈরি করিয়েছেন আহসানউল্লাহ হাবীব।
আর আমি জিজেতে লিখছি।আপনাদের ভালো লাগলে পরের পর্বগুলো তাড়াতাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করবো।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
Mehedi Hasan Prova
User ৩ বছর, ১০ মাস পুর্বেMH2 (Mysterious Some one)
GJ Writer ৩ বছর, ১০ মাস পুর্বেRehnuma Ahmed
Golpobuzz ৩ বছর, ১০ মাস পুর্বেরহস্য মানবী [Shikha]
User ৩ বছর, ১০ মাস পুর্বেSHUVO SUTRADHAR
Golpobuzz ৩ বছর, ১০ মাস পুর্বেসাইম আরাফাত(হিমু)
User ৩ বছর, ১০ মাস পুর্বে