বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
আইনস্টাইন ছিলেন নিউটনের একেবারে উল্টো
চরিত্রের। সাদাসিধে ভালো মানুষ যাকে বলে। কিছুটা
বোকাও ছিলেন। তার বোকামির ভূরি ভূরি উদাহরণ আছে।
আসলে আইনস্টাইন বিজ্ঞানের ভেতর এতটাই ডুবে
থাকতেন, চারপাশের অন্য কিছুর দিকে তাঁর খেয়াল থাকত না।
একদিন আইনস্টাইন কোথায় যেন গিয়েছিলেন। বাড়ি ফিরে
এসে দরজায় নক করলেন। আইনস্টাইনের খ্যাতি তখন
তুঙ্গে। সাংবাদিক, বিজ্ঞানী, ছাত্র, গবেষকেরা ভিড়
করতেন তাঁর বাসায়। বারবার দরজা খুলতে খুলতে বিরক্ত
আইনস্টাইনের স্ত্রী। তাই আইনস্টাইন বাসায় না থাকলে তিনি
ভেতর থেকে হেঁকে বলতেন, আইনস্টাইন বাসায়
নেই। সেদিন বোধ হয় বিজ্ঞানী মহাশয় একটু তাড়াতাড়িই বাড়ি
ফিরেছিলেন। তাই দরজায় নক করতেই তাঁর স্ত্রী
হেঁকে বললেন, ‘আইনস্টাইন বাড়ি নেই।’ এ কথা শুনে
আত্মভোলা আইনস্টাইন চিন্তায় পড়ে গেলেন। তারপর
রাস্তায় নেমে এলেন। আবার শুরু করলেন নিজের বাড়ি
খোঁজা।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দামামা বাজছে। হিটলারের প্রচণ্ড রাগ
ইহুদিদের ওপর। যেখানে ইহুদি পাচ্ছে ধরে ধরে
মেরে ফেলছে হিটলারের নাৎসি বাহিনী। এমনকি নিজ
দেশ জার্মানির বিজ্ঞানীরাও রেহাই পাচ্ছে না হিটলারের
হাত থেকে। আলবার্ট আইনস্টাইন ইহুদি ছিলেন। হিটলারের
ভয়ে তিনি পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে। যুদ্ধের ডামাডোলে
আটকা পড়েন দুই পদার্থবিজ্ঞানী ম্যাক্স ভন লু ও ম্যাক্স
ফ্রাঙ্ক। দুজনই নোবেল পেয়েছেন। দুজনই ইহুদি।
নোবেল দেওয়া হয় সুইডেন থেকে। সুইডেন আবার
হিটলারের শত্রু দেশ। শত্রুদের কাছ থেকে তাঁর
দেশের দুই ইহুদি বিজ্ঞানী নোবেল নিয়েছেন! হিটলার
সেটা মুখ বুজে সহ্য করবেন কেন। লু আর ফ্রাঙ্ককে
ধরার জন্য কোমর বেঁধে নেমে পড়ল নাৎসি বাহিনী। লু
আর ফ্রাঙ্ক ভাবলেন, ধরা পড়লে নির্ঘাত মরতে হবে।
সেই সঙ্গে নোবেল প্রাইজটাও কেড়ে নিয়ে নষ্ট
করে ফেলবে হিটলারের সৈন্যরা। তাঁরা নিজেদের
চেয়ে নোবেল প্রাইজ নিয়েই বেশি চিন্তিত হয়ে
পড়লেন। প্যাকেট ভরে মেডেল দুটো পাঠিয়ে দিলেন
ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে। সেখানে তাঁদের
বন্ধু বিখ্যাত বিজ্ঞানী নিলস বোর বাস করেন।
বোর মেডেল দুটো যত্ন করে লুকিয়ে রাখলেন। কিন্তু
বেশি দিন নয়। কারণ, নাৎসি বাহিনী ডেনমার্কেও হামলা
করেছে। যেকোনো সময় বোরের গবেষণাগারেও
হামলা চালাতে পারে। তখন মেডেল দুটো বাঁচানোই মুশকিল
হয়ে যাবে। বোর প্রথমে ভাবলেন, মেডেল দুটো
মাটিতে পুঁতে রাখবেন। কিন্তু নাৎসিদের বিশ্বাস নেই। ওরা
ঠিক মাটি খুঁড়ে বের করে ফেলবে। বোরের এক
সহকারী ছিলেন। হাঙ্গেরিয়ান রসায়নবিদ জর্জ হাভাসি। তিনি
বোরকে বুদ্ধি দিলেন সোনাগুলো গুলিয়ে তরল করে
ফেলতে। যে সে তরলে সোনা গলে না। সোনা
গলাতে লাগে রাজ অম্ল অ্যাকোয়া রেজিয়া। অত্যন্ত
শক্তিশালী অ্যাসিড। বোর আর হাভাসি তখন নোবেল
মেডেল দুটো অ্যাকোয়া রেজিয়ার ভেতর ফেলে
গলিয়ে ফেললেন। সোনা আর অ্যাসিড মিশে তখন হলুদ
রঙের এক তরলে পরিণত হয়েছে। বোর সেই হলুদ
তরল একটা বোতলে ভরে রেখে দিলেন আলমারিতে।
তারপর কোপেনহেগেন থেকে তাঁরা পালিয়ে বাঁচলেন।
শেষ পর্যন্ত যুদ্ধে হিটলার হেরে যান। বোর আর হাভাসি
আবার কোপেনহেগেনে ফিরে আসেন। তাঁদের
ল্যাবরেটরি লন্ডভন্ড করে রেখে গেছে নাৎসি সৈন্যরা।
কিন্তু আলমারির কোণে সেই হলুদ তরলের বোতল
একেবারে অক্ষত! মাথা মোটা নাৎসিরা ওর মর্ম কী
বুঝবে! পরে নিলস বোরের ছেলে অ্যাগেই বোর
অ্যাকোয়া রেজিয়া থেকে আবার সোনাগুলো পুনরুদ্ধার
করেন। নিলস বোর সেই সোনা পাঠিয়ে দেন
সুইডেনের নোবেল কমিটির কাছে। নোবেল কমিটি
সেই সোনা দিয়ে আবার দুটো মেডেল তৈরি করে তাতে
লু ও ফ্রাঙ্কের নাম লিখে পাঠিয়ে দেয় বোরের কাছে।
এভাবেই রক্ষা পায় বিখ্যাত দুই বিজ্ঞানীর নোবেল প্রাইজ।
Collected
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
The White Tiger {Siam}
User ৩ বছর, ১০ মাস পুর্বেRoshni hima
User ৩ বছর, ১০ মাস পুর্বেমোহাম্মদ মফিজুল হোসেন
User ৩ বছর, ১০ মাস পুর্বে