বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
জীবনের সময়গুলো চিরস্থায়ী নয়। সময় জীবনের সব মুহূর্তগুলোকে একেক সময় একেক রকম করে ফেলে। ছোটবেলা যে এক সময় তার মধ্যে কোনো ভরাডুবি নেই। তারপর সময় নিজের ক্যারিয়ার গঠন,পরিবার গঠন,প্রবীণ সময়ের ইতি সেই সময়গুলো সুধু অনুভব করা যায় ফিরে পাওয়া যায়না। তাই সেই সময়ের সিদ্বান্তগুলো সময়েই ভালোভাবে নিতে হয় তা না হলে শুধু আক্ষেপ করতে হয়।
সাম্য একজন গরিব ছেলে। তার বাবা একজন রিকশাচালক। সে এখন কলেজে পড়ে এবং সে খুব ভালো ছাত্র। কলেজে পড়াকালীন সময়ে সাম্য একটি মেয়েকে ভালোবেসে ফেলে। সে মেয়ে এলাকার চেয়ারম্যানের মেয়ে মিথিলা। মিথিলাও থাকে ভালোবাসে কারন সাম্য খুব ভালো ছাত্র। এভাবে তাদের রিলেশন চলতে থাকে। অন্যদিকে সাম্যর টানাপোড়া সংসার তার মধ্যে হঠাৎ রিকশাচালক বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েন। যার দিকে তাকিয়ে তাকে পরিবার, যার রোজগারের ফলে একমুঠু ভাত জুটে মুখে সেই যখন অসুস্থ!
তখন পরিবারের হাল ধরে সাম্য। সে নানান কাজ করে চালাতে থাকে পরিবার। অন্যদিকে তার পড়ালেখাও চালিয়ে যাচ্ছিল। এমতাবস্থায় তার এইচ.এস.সি পরীক্ষা চলে আসে এবং সে পরীক্ষা দেয়। একদিকে পরিবার অন্যদিকে পড়ালেখা সবমিলিয়ে পরীক্ষা খুব ভালো হয় নি। যথারীতি তার ফলাফল ও খারাপ হলো। সাম্য তৎকনাত্বক তার ফলাফল জানাল মিথিলাকে। কিছুূূদিন পর মিথিলা তাকে দেখা করতে বলল এবং সাম্য দেখা করল। তখন মিথিলা সাম্যকে বলল তার নাকি রিলেশন স্বাভাবিকভাবে চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তখন তার কথাগুলো শুনে সাম্য খুব বিস্মিত হয়ে গেল। কথাগুলো শুনে সে নিজেকে বিশ্বাস করতে পাছিল না। কেন জানতে চাইলে মিথিলা বলল তোমি যেমন গরিব তেমনি তোমার লেখাপড়ার ক্যারিয়ার টাওতো নষ্ট হয়ে গেছে। সাম্য বলল তোমি কি আমাকে ভালোবেসে ছিলে নাকি আমার ক্যারিয়ারকে? তার কোনো উত্তর না দিয়ে মিথিলা চলে গেল..........
তখন সাম্যর খুব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর কথা মনে পড়ছিল। তিনি বলেছিলেন তোমি তাকেই ভালোবাসো যে তোমাকে ভালোবাসে তার মধ্যে গবির ভালোবাসা বিদ্যমান। যা হারানোর নয়....
এভাবে অনেক বছর কেঠে গেল। এখন সাম্য ব্যাংক কর্মকর্তা অনেক টাকার মালিক তিনি। তার এখন একটি পরিবার ও আছে। তার বউ ও একটি ছেলে আছে। সুখেই চলছে তার সংসার। একদিন তার ব্যাংক থেকে বাড়ি ফিরছিলেন সাম্য হঠাৎ দেখা হয়ে যায় মিথিলার সাথে। মিথিলাকে খুব মুমূর্ষ লাগছিল তার চেয়ারা যেন আগের নেই, কাপড় ও ছিল ভিন্ন রকম। তাকে এইরকম দেখে সাম্য বলল তোমি এইরকম কেন! তখন মিথিলা বলল সুখের খুজে বড়লোক ছেলেকে বিয়ে করি কিন্তু সে কিছুূূদিন পর আমাকে ছেড়ে অন্য আরেকজনকে বিয়ে করে ফেলে। অন্যদিকে আমার বাবার ও বয়স হয়েছে তারই চলতে কষ্ট হচ্ছে আর এখন আমি। আসলেই প্রকৃত সুখ ছিনিনি আমি। আসলেই আমি খুব ভুল ছিলাম তখন। সেইদিন তোমি বলেছিলে না তোমাকে ভালোবাসি না ক্যারিয়ারকে আসলে আমি ক্যারিয়ারকেই ভালোবেসেছিলাম। আমি এখন বুঝি সুখ কি! তখন সাম্য বলল মানুষ সময়ের মূল্য তখনই বুঝতে পারে যখন একটা ভুলের জন্য জীবন থেকে অনেক কিছু হারিয়ে যায়। মিথিলা বলল যখন বন্যা আসে তখন মাছেরা পিঁপড়েদের খায়, কিন্তু যখন জল শুকিয়ে যায় তখন পিঁপড়েরা মাছেদের খায় সেই প্রবাদবাক্যটি খুব মনে পড়ে। কারন জীবন সকলকেই সুযোগ দেয় শুধু সেই সময়ের অপেক্ষা করতে হয়। তবে আমি সেই সময় হারিয়ে ফেলেছি সাম্য! তখন সাম্য ভারাক্রান্ত মন নিয়ে বলল তোমি যদি সেই সময় বুঝতে পারতে তাহলে আর এখন অহর্নিশ আক্ষেপ করতে হতো না।
[বিশেষ দৃষ্টব্যঃ আমার প্রকাশিত গল্পসমূহ সব আমার নিজের লেখা তাই দয়া করে আমার নাম ব্যাতিত লেখাগুলো কপিরাইট করবেন না]
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now