বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
ইতিমধ্যে গ্রামে আরেকটা খবর ছড়িয়ে পড়লো। এলাকাবাসীর সবাই খুবই আতংকগ্রস্ত হয়ে পড়লো। সবার মুখে একটাই কথা এই অশরীরীরা আমাদের কাউকেই বাচতে দেবে না। তারা এই ঘটনার পর আরো মনে প্রাণে বিশ্বাস করতে লাগল এসব কাজ কোনো অশরীরির। এদিকে ডাক্তার বাবু সকলকে বোঝাতে চাইলেন যে এসব মৃত্যু বৈদ্যুতিক শকের কারণে হয়েছে। গ্রামবাসিরা বলে অশরীরির ক্ষমতার শেষ নেই। তারা যেকোনো ভাবে মানুষদের মারতে পারে। ডাক্তার বাবু আর কিছু বললেন না। অপরদিকে আকাশ ও তার বন্ধুরা গভীর চিন্তায় পড়ে গেল। রাত হয়ে গেলেে পুরো গ্রাম নিস্তব্ধ করে দিয়ে সবাই যে যার যার আবাসস্থলে ফিরে গেল। পরদিন সকালে আরো একটা মানুষের সাথে একটা গরুর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। জঙ্গলের বাইরে থেকে লাশ দেখে পরে অনেক জনবল সহকারে তাদের সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়। এবার আকাশরা একটু বেশিই চিন্তিত হয়ে পড়ে। তারা ভাবে না এভাবে চলতে দেওয়া যায় না।
পাওয়া গেল আরেকটা লাশ। এমনই একটা খবর নিয়ে এলো গ্রামের এক কিশোর। এইভাবেনআর কদিন চলবে? কি করা যায়? গ্রামের সবাই খুব ভয়ে ভয়ে আছে। কখন কার প্রাণটা যায় কেউ বলতে পারে না। এদিকে লাশটাকে এনে পুরোনো বটগাছটার নিচে রাখা হলো। আকাশ ও সুমন খবর শুনে দৌড়ে এসে যা দেখলো তা দেখার জন্য তারা বিন্দু মাত্রও তৈরি ছিল না। তারা লাশটাকে দেখার পর কাঁদো কাঁদো গলায় বলল "রাজিব!" হ্যা ওটা রাজিবেরই লাশ ওদের তিন বন্ধুর একজন। আকাশ আর সুমন রাজিবকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগলো। তাদের মুখ শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে। তারা বলল এটা কিভাবে হলো কদিন আগেই তো ঘোষণা করা হয়েছিল কোনো পরিস্থিতিতেই জঙ্গলে ঢোকা যাবে না। তাহলে রাজিব ওখানে কেন গেল? এই বলে তারা আবার কান্নায় ভেঙে পড়লো।
আকাশ ও সুমন বেশ ভেঙে পড়েছে। বিকেলবেলা বটগাছটার নিচে বসে আছে। সারাদিন তারা কিছুই খায়নি। আকাশ ভেঙে পড়লেও তার হাত মুষ্টিবদ্ধ। সে বলল এই হত্যাকান্ডের রহস্য আমি বের করবই। আকাশ ও সুসন মাথায় একবোঝা রাগ আর কষ্ট দুটোই নিয়ে বসে আছে।
আকাশ ও সুমন দুজনেই ডাক্তার বাবুর কাছে যায়। ডাক্তার বাবু বৈজ্ঞানিক মানুষ, তাই তার ঘর বিভিন্ন যন্ত্রপাতিতে ভর্তি।
ডাক্তার বাবু ওদের দেখে ভেতরে আসতে বললেন। আকাশ বলল "ডাক্তার বাবু এখন কি করা যায় এই বিপদ টা কাটানোর জন্য? ওই জঙ্গল আমার বন্ধুর প্রাণও কেড়ে নিল।
ডাক্তার বাবু বললেন "বুঝতে পারছি না কি করবো? এখন আপাতত সকলের সাথে আলোচনা করে একটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সুমন বলল " কি সিদ্ধান্ত? " ডাক্তার বাবু বললেন দেখাই যাক না কি করা যায়!
পরদিন বিকেলে গ্রামের মোড়ল মশায় সহ সকলে আলোচনায় বসল। সব সবশেষে সিদ্ধান্ত নেয়া হলো জঙ্গলের চারপাশে ঘেরা দিয়ে দেওয়া হবে, যাতে কেউ ভুলেও ভেতরে ঢুকতে না পারে। তবে জঙ্গলের চারপাশে ঘেরা দেয়া সম্ভব নয় কারণ একপাশে নদী। তাই তিনদিকে ঘেরা দিয়ে দেওয়া হলো মোড়ল মশায়ের কথামতো।
জঙ্গলটা ঘিরে দেওয়ার পর এখন অবস্থা অনেক উন্নত। গত এক সপ্তাহে কেউ মারা যায় নি। কিন্তু এত কিছুর পরও আকাশের মনে শান্তি নেই। তার বন্ধ রাজিবের মৃত্যু সে কিছুতেই মানতে পারছে না। সে দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে আছে এসকল মৃত্যুর রহস্য সে ভাঙবেই। কিন্তু তার মাথায় কিছুই আসছে না। কিভাবে সম্ভব, কি কারণ হতে পারে? এতসব ভাবতে ভাবতে কখন ঘুমিয়ে পড়ে নিজেও জানে না। অন্য দিকে সুমন আছে নিশ্চিন্ত মনে। কারণ এখন আর কেউ জঙ্গলে ঢুকবে না আর কেউ মারাও যাবে না।
(চলবে ইনশাআল্লাহ)
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
Md. Nurnobi
User ৩ বছর, ১২ মাস পুর্বেFarhan Hossain
User ৩ বছর, ১২ মাস পুর্বেইশিকা ইশু
User ৩ বছর, ১২ মাস পুর্বে