বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
আমার একজন নিকট আত্মীয়কে দেখলে মাঝে মাঝে বিস্মিত হতাম । লোকটা অন্ধ, কিন্তু কুরআনের হাফেজ। তিনি একটা মাদ্রাসায় ছাত্রদের কুরআন শিক্ষা দিয়ে ও ওয়াজ মাহফিল করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
একজন অন্ধ মানুষ, যার মধ্যে একটা অন্যতম অঙ্গই অনুপস্থিত। তিনি কিভাবে এতো নিপুণতার সাথে কাজ করেন,সেটা সত্যি অবাক হওয়ার বিষয়।
তিনি জন্ম থেকেই অন্ধ। উনার পরিবারও এতটা সচ্ছল ছিলো না, শুধু মাত্র উনার নিজের ইচ্ছা আর উনার মায়ের সাহায্যে উনি একজন আলেম হতে সক্ষম হয়েছেন।
লোকটা বিয়ে করেছে, তাঁর স্ত্রী ছিলো আমাদের এলাকার সব বিত্তশালী, প্রভাবশালী ও সুদর্শন পুরুষদের স্ত্রীদের চাইতে অনেক বেশি সুন্দরী।
কিন্তু তিনি তো অন্ধ,হয়তো জানতেন ও না যে তার ঘরে একটা পরী আছে যার কিনা কোনো তুলনা হতে পারে না। আমি শুনেছিলাম উনার স্ত্রী সব জেনেই নিজের ইচ্ছেতে উনাকে বিয়ে করেছেন,কারণ তিনিও একজন ধার্মিক নারী।
তাদের দাম্পত্য জীবন ছিলো অত্যাধিক পরিমাণে সুখের। তাদের এই বরকতময় সংসারের গল্প আমি সব মহিলাদের কাছে শুনতাম।
লোকটা অন্ধ হলে কি হবে? নিজের স্ত্রীর জন্য অন্য কাউকে দিয়ে জিনিসপত্র কিনাতেন না। নিজেই জামা,কাপড় কিনে আনতেন। আশ্চর্যের বিষয় হলো কখনো খারাপ জিনিস আনেননি। উনাদের ঘরে মাঝে মাঝেই যেতাম,আর দেখতাম উনার স্ত্রী এতো ভালো ডিজাইনের কাপড় পরিধান করে,যা সাধারণত মহিলারাই ভালো করে খুঁজে আনতে পারে না। এমন একজন ভালো মানুষকে হয়তো দোকানদারেরা ও ঠকাতে চান না, তাই তারাই সেরা জিনিসটা বাছাই করে দেন। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো এটা যে আল্লাহর রহমত৷ আল্লাহ তাঁর প্রিয় বান্দাদের কখনো নিরাশ করেন না।
একদিন এক মহিলা উনার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন,আপনি ঘরে এতো পরিপাটি হয়ে বসে থাকেন কেনো? মানুষ তো বাইরে গেলে এমনভাবে সুন্দর করে নিজেকে তৈরি করে।
জবাবে তিনি বলেছিলেন,,,আমি বাইরে কাকে দেখানোর জন্য যাবো? আমার সব প্রশংসার একমাত্র অধিকার তো আমার স্বামীরই আছে। আপনি কি জানেন না,পরপুরুষের চোখে নারীর সৌন্দর্য দেখার পরিণতি জাহান্নামে কতটা ভয়াবহ?
তখন মহিলাটা বলেছিলেন আপনার স্বামী তো চোখে দেখে না,আপনি অগোছালো হয়ে থাকলেও তিনি বুঝতে পারবেন না।
এরপর জবাব দিলেন,,আমার স্বামী আমাকে এভাবেই রাখতে চান। তিনি চান আমি ভালোভাবেই থাকি। তিনি দেখেন না তাতে কি? অনুভব তো করতে পারেন। আর আমি একটা পোশাক সময়ের বেশি পরিধান করে রাখলেও সেটা তিনি বুঝে ফেলেন। তিনি যেভাবে আমাকে অনূভব করতে চান আমি ঠিক সেভাবেই থাকি। আর ইসলাম প্রতিটি স্ত্রীলোককে তার স্বামীর ইচ্ছে অনুযায়ী পরিবেশিত হওয়ার হুকুম দিয়েছে।
তখন মহিলা বাকরুদ্ধ ছিলেন। পরে মহিলার মুখে শুনেছিলাম এই ঘটনাটা, আর তিনি বলছিলেন..এটা শুধু একটা সংসার না, জান্নাতেরই একটা অংশবিশেষ।
ইসলাম মেনে চললে,আল্লাহকে ভালোবাসলে আল্লাহ পৃথিবীতেই জান্নাত ফুটিয়ে তুলেন। আর সেটা প্রমাণের জন্য এসব ছোট ছোট উদাহরণই যথেষ্ট।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
M.H.H.RONI
Golpobuzz ৪ বছর, ১ মাস পুর্বেsamia
User ৪ বছর, ১ মাস পুর্বেM.M.[Mofizul]
Golpobuzz ৪ বছর, ১ মাস পুর্বেSHAHI
User ৪ বছর, ১ মাস পুর্বে