বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

কয়েকটি স্কেচ আর একটি ভালোবাসার গল

"রোম্যান্টিক" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান MD.Belal Hosan (০ পয়েন্ট)

X বাউন্ডুলে সজীবকে খুব ভালোবাসে সভ্যতা । একই ভার্সিটিতে পড়ে ওরা, বন্ধু। কিন্তু সভ্যতা তা এখনও জানায়নি সজীবকে। কারণ তার আত্মসম্মানবোধ প্রবল। আর সজীব? তার এতো টাইম নেই এইসব নিয়ে ভাবার। এই কোন ক্যান্সার রোগীর জন্যে কনসার্টের আয়োজন করছে। আবার এই হয়তো টোকাইদের স্কুলে ফ্রি পড়াচ্ছে। আর একটা গুণ আছে তার। খুবই ভালো ছবি আঁকে সে। ভার্সিটির সামনে ফুটপাথে বসে চা খাচ্ছিল সজীব। “কি ব্যাপার ক্লাসে যাবি না?” এই মাত্র নামলো সভ্যতা রিকশা থেকে। “না, মুড নেই।” চায়ে চুমুক দিতে দিতে লাটসাহেবের মত বলল সজীব। “তোকে না বললাম আমার একটা স্কেচ করে দিতে।” সভ্যতা বলল। “টাইম কোথায় আমার?” “রিয়ানাকে যে করে দিলি।” “আরে ও আমাকে ১০০টাকা দিছে। তুই দে, তোকেও করে দিবো।” “টাকা নিয়ে ছবি আঁকবি?” অবাক সভ্যতা “লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চি পর্যন্ত টাকা নিতেন। উনি বলেছেন, হে বৎস ছবি এঁকে অবশ্যই টাকা নিবে। নইলে তোমার মেধার ফুটা পয়সাও মূল্য দিবে না কেউ। ” “জোকারি করিস না সজীব। আচ্ছা বাদ দে, দিস না ছবি। ক্লাসে চল।” “তোকে না বললাম আজ ক্লাসে যাব না। বাংলায় তো বলছি, নাকি বাংলা ভাষা বুঝিস না। এই ভাষার জন্যে রক্ত দিয়ে ফেললাম। আর আজকে তোদের কি অবস্থা? হায়রে দেশ!” চায়ে শেষ চুমুকটা দিল সজীব। “ওকে বাই। আমি গেলাম।” মনে মনে রেগে গেছে সভ্যতা। আজ সভ্যতার জন্মদিন। গত সাতদিন ধরে তার জ্বর। ভার্সিটিতে যায়নি। বন্ধুরা একটু আগে ফোন করেছে সবাই তার বাসায় আসবে। নিশ্চয় সজীবও আসবে। সেটা ভেবেই জ্বরের মধ্যে উঠে ফ্রেশ হয়ে নিয়েছে সে। কিন্তু বিকালে দেখা গেল আসেনি সজীব। সে নাকি কোন রোগীর জন্যে রক্তের ব্যবস্থা করতে গেছে। চোখে পানি এসে যাচ্ছিলো সভ্যতার। ঠিক করলো আর না, আর কখনো সজীবকে নিয়ে ভাববে না সে। তার জন্মদিনে আসার সময় নেই যার, তাকে নিয়ে ভাবা বোকামি । বন্ধুরা মিলে অনেক হইহুল্লোড় হল, তারপর সন্ধ্যায় চলে গেল সবাই। রাত দশটায় হঠাৎ রুমে এসে হাজির সজীব। বন্ধু হিসেবে সজীবকে চিনে বাসার সবাই। তাই কেউ কিছু বলে নি তাকে। “কি ব্যাপার, তোর নাকি জ্বর? এই ভং ধরা শিখলি কার কাছ থেকে?” রুমে ঢুকেই বলল সজীব। “তুই জানিস না মেয়েদের রুমে নক করে ঢুকতে হয়?” “আরেব্বাস! বলিস কি? তুই মেয়ে নাকি? জানতাম নাতো। বাদ দে, আজ পার্টি কেমন হলো বল? কেকটেক কিছু রেখেছিস?” “এতো রাতে তোকে আসতে বলল কে?” রাগ এখনও পড়ে নি সভ্যতার। “আরে আমি তো এক রোগীর জন্যে রক্ত ব্যবস্থা করতে গেলাম। অবস্থা হেভি খারাপ ছিল। ভাবলাম তোকে রাতে এসে দেখে যাবো।” এর মধ্যে কেক নিয়ে ঢুকলো সভ্যতার মা। “কেমন আছেন আন্টি ? কেক তো মনে হচ্ছে বাসি।” “না, না ভাল আছে। খাও।” হেসে বলল সভ্যতার মা। খেয়েদেয়ে যাওয়ার সময় সভ্যতাকে একটা প্যাকেট দিল সজীব। “নে তোর বার্থডে গিফট। আমি যাওয়ার পর খুলবি। আর তাড়াতাড়ি ভার্সিটি আয়। জ্বর ফর এই সব ভাওতাবাজি ছাড়। দেশটা ভরে গেছে ভাওতাবাজে। কি অবস্থা!” সজীব যাওয়ার পর প্যাকেট খুললো সভ্যতা। একটা ড্রয়িং খাতা। খাতা খুলে অবাক সে। প্রত্যেকটা পাতায় তার মুখের চমৎকার সব স্কেচ। ছবি দেখতে দেখতে চোখে পানি এসে গেল সভ্যতার। ইচ্ছে হল খুশিতে চিৎকার করে। শেষ পাতায় একটা বাঁদরের ছবি। নিচে সজীবের হাতের লেখাঃ “এই যে উপরে বাঁদরের ছবিটা দেখছিস। এইটাই কিন্তু তোর আসল ছবি। বাকিগুলি তোর ফেসবুক অ্যালবাম থেকে দেখে আঁকা। অনেকদিন ধরে আঁকতেছি এগুলা। গুনে দেখ মোট ২১টা ছবি। তোর তো আজ ২১তম জন্মদিন। যতই সবাইকে বলিস তোর বয়স ১৯ লাভ নাই, বয়স বহুত হইয়া গেছে। আর একটা কথা। সবাই বলে,আমি নাকি লাগামহীন একটা ছেলে। এমন একটা মেয়ে নাকি আমার দরকার, যে আমার লাগামটা শক্ত করে ধরতে পারবে। তুই কি এই মহান দায়িত্বটা নিবি, প্লিজ? আমার মনে হয় এই কাজের জন্যে তুই-ই পারফেক্ট। যদি দায়িত্বটা নিতে চাস, SMS করে জানা। আমি খুব টেনশনে আছিরে।” চিঠিটা পড়ে মোবাইলটা হাতে নিল সভ্যতা। আবার চোখে পানি এসে গেছে তার। “উফ!এতো পানিও আসতে পারে আমার চোখে” ভাবতে ভাবতে মোবাইলে টাইপ শুরু করলো সে।


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ১০৮৯ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
  • ¤-ইশিকা-¤
    User ৫ বছর, ৪ মাস পুর্বে
    Very sweet! nice

  • riyad
    User ৭ বছর, ১ মাস পুর্বে
    অসাধারণ

  • Sahida Akter Evun
    User ৭ বছর, ১ মাস পুর্বে
    really nice

  • Sahida Akter Evun
    User ৭ বছর, ১ মাস পুর্বে
    really nice

  • Zakia Arif Sharna
    Golpobuzz ৭ বছর, ১ মাস পুর্বে
    Sooo sweet....gj