বিশ্বব্রহ্মান্ডে সৃষ্টির আদিতে প্রাণী বা বস্তু কিছুই ছিল না। প্রথমেই জলের সৃষ্টি হল। এই ব্রহ্মান্ডব্যপী মহাসমুদ্রের উপর বিষ্ণু মহানিদ্রায় শায়িত ছিল। তার নাভিকমলে ছিলেন ব্রহ্মা।
এদিকে বিষ্ণুর কানের ময়লা থেকে মধু ও কৈটব নামে দুই দৈত্যের জন্ম হল। দৈত্যরা ব্রহ্মাকে হত্যা করতে উদ্যত হলে ব্রহ্মা মহামায়া ও বিষ্ণুর স্তব করতে লাগলেন।
মহামায়া প্রসন্ন হলে বিষ্ণুর মায়ানিদ্রা দূর হল। তিনি মধু ও কৈটভকে বধ করলেন। ঐ দুই দৈত্যের মেদ থেকে মেদিনী অর্থাৎ পৃথিবীর সৃষ্টি হল। আকাশ, বাতাস, স্বর্গ,পাতাল,সপ্তদ্বীপা বসুন্ধরা ক্রমে সবই সৃষ্টি হল। বিশ্ব ছিল সম্পূর্ণ তমসাচ্ছন্ন। চন্দ্র,,সূর্য ও তারকারাজি সৃুষ্টি করে ঈশ্বর অন্ধকার দূর করলেন।
এদিকে কশ্যপ মুনির দুই পত্নী দিতি ও অদিতি। দিতি থেকে দৈত্যদের আর অদিতি থেকে জন্ম হল দেবতাদের। এখন মানুষ সৃষ্টি করা প্রয়োজন।
ব্রহ্মা সৃষ্টি বিস্তারের জন্য তার মানসপুত্র ঋষিদের সৃষ্টি করলেন। কিন্তু ঋষিরা বংশবিস্তারে মনোযোগ না দিয়ে তপস্যায় মগ্ন হলেন। ব্রহ্মাই প্রথম নারী ও পুরুষের সৃষ্টি করলেন।
প্রথম সৃষ্ট পুরুষের নাম স্বায়ম্ভুব মনু,নারীর নাম শতরূপা।আমরা মনুর সন্তান বলে মানব নামে পরিচিত।
স্বায়াম্ভুব মনু ও শতরূপার পিয়ব্রত ও জ্ঞানপদ নামে দুই পুত্র এবং আকুতি,দেবাহুতি ও প্রসূতি নামে তিন কন্যা জন্মগ্রহন করল। তারপর পৃথিবীতে এল মানুষ। আর তাদের বংশধরে ভরে গেল পৃথিবী।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ...