★লেখকঃ মিম★
আর একদিন সন্ধ্যায় আমরা সবাই রাজুর নানাকে ধরলাম গল্প বলার জন্য। নানা বললেন, আমি যা বলি তা শুধু নিছক গল্প না। সত্যি।আগে সত্যিই এসব ভূতপেত্নি গ্রামে গঞ্জে ছিল। আর এখন তো মানুষই ভূতের উপরে উঠে গিয়েছে। মানুষই মানুষকে ভয় পায়। তাইতো ভূত বেচারারাও মানুষকে ভয় পেয়ে গেছে। তাইতো তারা মানুষের লোকালয় ছেড়েই পালিয়েছে।
আমরা বললাম, সে যাই হোক আমরা গল্প শুনব।তখন নানা বললেন ঠিক আছে চলো তোমাদের গল্প শোনাই।
নানাদের গ্রামে কোনো হাট বসত না। বসত দূরের গ্রামে। তাও আবার শুধু রবিবারে। তো সেদিন নানা ভালো বড় একটা ইলিশ এনেছিলেন। নানিকে বললেন ভালো করে মাছটা ভাজতে। নানা যখন থেকে মাছটা নিয়ে এসেছেন সেই পথ থেকেই চারপাশে কেমন যেন বাতাসের ঝাপটা। এখন বাড়ি রয়েছেন তাও সেই বাতাসের ঝাপটা।
সেসব দিকে কান না দিয়ে নানি এবার ভালো করে মাছটা ভাজতে লাগলেন। তখন অনেক রাত হয়ে গেছে। নানিদের যে চুলা ছিল তার পাশে একটা জানালা ছিল। তো নানি মাছ ভাজতে ভাজতে হঠাৎ কে যেন সেই জানালা দিয়ে হাত বাড়িয়ে দিয়ে বলল, একটা মাছ দে।
নানি তো ভয়ে পাথর।নানা তককন উঠানে বসে ছিল। নানি আস্তে আস্তে কোনো রকমে নানাকে ডাক দিলেন। নানা গিয়ে দেখে হ্যা এখনো পিচাশটা মাছভাজা চাইছে।
যে ভূতেরা রাতে মাছ খায় তাদেরকেই পিচাশ বলে। তো নারা এবার নানিকে বললেন, গরম খুন্তিটা ওর হাতে সেক দিতে নানি ভয়ে ভয়ে তাই করলো। সাথে সাথে একটা বিকট আওয়াজ।
পরের দিন সকাল বেলা রান্নাঘরের পেছনে নানা আন নানি যেয়ে দেখেন সেখানে একটা কাক মরে পড়ে আছে!!!!!
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ...