বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন
বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

গল্পের নাম নেই

"ছোট গল্প" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান রিয়াদুল ইসলাম রূপচাঁন (০ পয়েন্ট)

X অপেক্ষা আমি তাকে ভালোবাসি না।কোনদিন বাসিওনি।তবুও তার সাথে আমাকে দীর্ঘরজনী কাটাতে হয়।লোকটা বৃস্টি পছন্দ করে না।কিন্তু আমি প্রচন্ডভাবে বৃস্টি পছন্দ করি।যখন বৃস্টি হয় আর সে পেপার হাতে বারান্দার ইজিচেয়ার এ বসে বসে পেপার পড়ে,আর আমি কস্টচোখে বৃষ্টি দেখি,সে চশমার ফাক দিয়ে আমাকে দেখে বলে-"চাইলে ভিজতে পারো।মানা নেই।" আমি ত বিয়ের আগে সারাজীবনই একা ভিজেছি।এখন ত আর ইচ্ছে করে না একা ভিজতে।তাই আমি জানালার পাশে বসে হাত দিয়ে বৃষ্টি ছুঁই।এটাই আমার ভাগ্য।ইচ্ছে ছিলো,কেউ একজন আসবে জীবনে,যার সাথে শ্রাবণের ধারায় ভিজব খুব করে।হাত ধরে ভেজা রাস্তায় হাটব।সে বকুল ফুলের মালা কিনে দিবে আমাকে ফুলওয়ালীদের কাছ থেকে।আমি ভেজা খোপায় ফুল বাঁধব।কালো চুলে সাদা ভেজা ফুলগুলো চমৎকার দেখাবে।যখন ভার্সিটি যেতাম আর রাস্তায় প্রেমিক প্রেমিকাদের দেখতাম অঝোর ধারায় ভিজছে,মনের কোণে আশাগুলো জাগত।একদিন আমিও এভাবে ভিজব,কোন সুদর্শন এর হাত ধরে।হলুদ শাড়ি পড়া আমি বসন্তের রং হবো শ্রাবণে।বৃস্টিতে ভেজা আমার এলোচুল মুখ থেকে সরিয়ে দিয়ে অবাক করে দেখবে আমাকে।কিন্তু? আজ কিছুই হলো না আমার সাথে।হবেও না। "মন খারাপ করে বসে না থেকে ছাদে যাও।ভিজলে মনটা ভালো হবে।" পুরুষকন্ঠের গম্ভীর শব্দগুলো আমার কানে আসতেই আমি সচকিত হয়ে পড়ি।বেগুনী শাড়ি পড়েছি মাত্রই গোসল সেরে।সে কি দেখেনি চোখে।আমার ভেজা চুল।টপটপ পানি পড়ছে চুল বেয়ে।আমি কথা না বলেই, চুপচাপ হাত ভেজাতে লাগলাম।বেগুনী চুড়ি নেই আমার।তাই কালো পড়েছি।শাড়িও পড়ি না তেমন।নতুন বউ কি না।পড়তে হয় বাধ্য হয়ে।নইলে কত কথা।"নতুন বউ কি পড়েছে?","বিয়েতে কি শাড়ি পাওনি?","মরণ,আধুনিক হয়েছে" আর কত কথা। আমি চুপচাপ বসে আছি,বৃস্টির ছাট আসছে।প্রায় ভিজেই গেছি।তবুও নড়ছি না।ঠান্ডাও লাগছে।কিন্তু ইচ্ছা করছে না বিছানা ছেড়ে উঠতে।আমি বারান্দার দিকে তাকাচ্ছি না।তাকালেই লোকটার সাথে চোখাচোখি হবে।এটা আমার পছন্দ না।হলেই তীক্ষদৃস্টিতে তাকিয়ে থাকবে।তাকাবো না তাকাবো না করেও তাকালাম।নাহ,লোকটা একমনে পেপাড় পড়ছে।কি এত আছে পেপার এ? সেই ত খুন- খারাপি,ধর্ষন,চুরি- বাটপারি।এত মনযোগ দিয়ে পড়ার কি হলো? ধুর ছাই,এখন বৃস্টিও ভালো লাগছে না। "এই ঘুমিয়ে পড়েছো? ওঠো ওঠো।এই মেয়ে,ভিজে গেছো ত।এই" লোকটার ধাক্কায় ঘুম ভাংগলো আমার।কি হয়েছে? আমি ধড়মর করে বসে পড়লাম।এমা! পুরে ভিজে গেছি।কিন্তু সে এখানে কি করছে।আমার এত কাছে কেন? কি চাই তার? "শোন,তুমি কি চাও বলো ত?" "কিছু না।" আমার চাপা উত্তর। "শোন,এ সময়,ভেজা ঠিক না,তাও ভিজতে চেয়ে মন খারাপ করে আছো।বললাম যাও,গেলে না।খোলা জানালার পাশে বসে বসে ভিজলে,এটা কি ঠিক হলো?" "জানি না।" "জানতে হবে।তুমি বাচ্চা নেই।বাচ্চার মা হবে কিছুদিন পর।কবে বুঝবে? অবুঝের মত কাজ করে আজ এই হাল তোমার।গ্রো আপ তনিমা,গ্রো আপ।" আমি বড় হয়েছি।হ্যা,আমি বড় হয়েছি।কিছুদিন পর আমার সন্তান হবে।তবে এটা এই লোকটার না।অন্যকারও।যাকে আমি ভালোবেসেছিলাম।যার সাথে দীর্ঘরাত না,শুধু একটা মধুময় রাত কাটিয়েছিলাম।নিজের সব দিেয়ছিলাম।তবুও তাকে পেলাম না।আমার ভালোবাসায় কমতি ছিলো? জানি না।জানা হয়নি।সে ত তার আগেই চলে গেলো।কেন চলে গেলো? না গেলেও ত পারত। "কাদঁছ কেন? প্লিজ কেঁদো না।এসময় কাঁদতে নেই।প্লিজ।শান্ত হও।" আমি কাদছি না,কান্না চলে আসছে।এটা কান্নাও নয়,হয়ত হৃদয়ের সান্তনা।মনের সান্তনা। আমি লোকটার হাত শক্ত হাত ধরে তার মোটা কাচের চশমায় ঢাকা চোখে চোখ রেখে বললাম- "আমি কাঁদছি না।এসময় কাঁদতে নেই।আমি জানি।"


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ২০৯৫৫ জন


এ জাতীয় গল্প

→ গল্পের কোনো নাম নেই
→ গল্পের নাম নেই
→ গল্পের নাম নেই
→ যে গল্পের নাম নেই....
→ যে গল্পের নাম নেই
→ যে গল্পের কোন নাম নেই

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now