বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন
বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

গল্পের নাম নেই

"ছোট গল্প" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান রিয়েন সরকার (০ পয়েন্ট)

X গল্পের নাম নেই রাত ১০টা বাজে। অফিস থেকে বাসায় ফিরলো আসিফ। কাজের চাপ একটু বেশী থাকায় আর রাস্তায় জ্যাম থাকায় ফিরতে দেরী হয়েছে। বাসার কলিংবেল চেপে সে দাড়িয়ে আছে। সে ভাবছে অন্যদিনতো এতক্ষণ তাকে অপেক্ষা করতে হয়না। প্রায় পনেরো মিনিট পরে অহনা এসে দরজাটা খুললো এবং আসিফ ভেতরে প্রবেশ করলো। আসিফঃ কি ব্যাপার? আজ এতো দেরী করে দরজা খুললে যে? অহনাঃ দুঃখিত।আসলে আমি একটু ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। আসিফঃ ঘুমিয়েছিলে? অসুস্থ নাকি? অহনাঃ নাহ! তেমন কিছু না। একটু খারাপ লাগছিলো তাই। তুমি হাতমুখ ধুয়ে এসো আমি টেবিলে খাবার দিচ্ছি। আসিফঃ তুমি খেয়েছো? আর আব্বু-আম্মু কোথায়? তারা খেয়েছে? অহনাঃ আব্বু-আম্মু অনেক আগেই খেয়েছে। আর আমার খেতে ইচ্ছা করছেনা। তুমি তাড়াতাড়ি হাতমুখ ধুয়ে এসো তো যাও। আসিফ আর কোন কথা না বাড়িয়ে সোজা ওয়াশরুমে চলে গেলো।পানির ট্যাপ ছেড়ে সে ভাবতে লাগলো । অন্যসবার মতো তাদেরও প্রেম করেই বিয়েটা হয়েছিলো। অথচ তাদের দেখলে বোঝার উপায় নেই যে তারা প্রেম করে বিয়ে করেছে। সবাই ভাবে তাদের অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ। আর ভাববেই না কেন? তাদের কথাবার্তা, চলাফেরা, পারস্পরিক বোঝাবুঝির বিষয় দেখে এমনটা মনে করা খুবই স্বাভাবিক। তাদের মধ্যে ভালবাসারও কমতি নেই। তবে, তাদের মধ্যে আধুনিক যুগের মতো লুতুপুতু ভালবাসা নেই। আছে একটু রাগ, একটু চাপা অভিমান আর কিছু অদৃশ্য অপ্রকাশ্য ভালবাসা। হঠাৎ অহনার ডাকে আসিফের ভাবনায় ছেদ পড়লো। অহনাঃ কই গো শুনছো? কই তুমি? হাতমুখ ধুতে এতো দেরী হয়? আসিফঃ এইতো আমি এসে পড়েছি। কই খাবার দাও? অহনাঃ এই যে থালা আর এই যে খাবার। নাও….. আসিফঃ মানে কি? তুমি খাবে না? অহনাঃ আমার খেতে ইচ্ছা করছেনা। তুমি খাও আমি দেখি। (মুচকি হেসে) আসিফঃ আচ্ছা ঠিক আছে। (আমার হাতে মুখে তুলে খাওয়ার জন্য এই পরিকল্পনা? মনে মনে বললো আসিফ) আসিফ খাচ্ছে আর অহনা তাকিয়ে থেকে তার খাওয়া দেখছে। কিছুসময় পর…. আসিফঃ হা করো। (অহনার মুখের কাছে খাবার নিয়ে গিয়ে) অহনাঃ হা করেছে। (কিছুটা চমকে গিয়ে) আসিফঃ আমার হাতে খাওয়ার জন্যই এই পরিকল্পনা? কি এইবার খুশি তো? অহনাঃ ………… । (অধিক খুশিতে তার চোখে পানি চলে এসেছে) আসিফঃ কাঁন্না করছো কেন? আমি তো তোমায় ভালবাসি তাই তোমার মনের কথাও বুঝতে পারি। অহনাঃ কান্না করিনি বোকা। খুশিতে চোখে পানি চলে আসছে। ভাবছি শুধু সময়টাই বদলেছে কিন্তু তোমার ভালবাসাটা বদলায়নি। আসিফঃ ও আচ্ছা! তাই না? (হাসি দিয়ে) অহনাঃ হ্যা তাই। খাওয়া শেষ করে ছাদে যাবে? আসিফঃ হুম্ম যাবো। অহনাঃ গান শোনাবে? আসিফঃ হুম্ম শোনাবো। চলো যাই….. অতঃপর তারা ছাদে দুজন সামনাসামনি দাঁড়িয়ে আছে। আর আসিফ অহনার হাতে হাত রেখে গান বলছে………….. “আর নয় সময়, উদ্দেশ্যহীন মিছিলে.. তুমি সেই পূণর্তা, আমার অনুভবে। আর নয় আঁধার, তুমি স্বপ্নে ডেকে নিলে.. হয় এ মন অন্তহীন রঙিন এক উৎসবে। হেএএএএএএএএএ…” উৎসর্গঃ সেইসব যুগলদের যাদের মধ্যে মন থেকে আসা ভালবাসাটাই মূল বিষয়। কিছু কথা: নিজের স্বামী/স্ত্রী বা ভালবাসার মানুষকে মন থেকে ভালবাসুন। তারা আপনার কাছে একটু সময় চা্য়। হয়তোবা তারা আপনার কাছে অন্যকিছু চায় না শুধু একটুখানি ভালবাসা চায়। ভাল থাকুক সবার ভালবাসা। বিশেষ দ্রষ্টব্য: ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। -অবিমৃষ্যতা অপ্সরী


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ২০৯৯২ জন


এ জাতীয় গল্প

→ গল্পের কোনো নাম নেই
→ গল্পের নাম নেই
→ গল্পের নাম নেই
→ যে গল্পের নাম নেই....
→ যে গল্পের নাম নেই
→ যে গল্পের কোন নাম নেই

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now