বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
কেঁচিকল
..
শেষ পর্ব
..
শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে বিয়েটা করতে হলো।যা আমার কল্পনার বাহিরে ছিল তাই হল।বউ নিয়ে বাসায় ফিরলাম।আব্বু আম্মুকে দেখলাম অনেক খুশি।এই খুশির জন্যই আমি আব্বু আম্মুর কথা শুনে বিয়েটা করেছি।আবার আব্বুকে আমি অনেক ভয় পাই এটাও আরেক কারন।এসব ভাবতে ভাবতে বাসর ঘরে ঢুকলাম।
..
অন্য সব বিয়ের বাসর রাতের মতো আমাদের বাসর রাত ছিল না।আমি ফ্লোরে আর আমার বউ নিধি শুয়েছিল খাটে।যদিও নিধি বলেছিল সে ফ্লোরে থাকবে আর আমি খাটে থাকব।
কিন্তু আমি এতো টা নিষ্ঠুর নই যে একটা মেয়ে শীতের মধ্যে ফ্লোরে থাকবে আর আমি খাটে এটা সম্ভব না।তাই আমিই নিজে ফ্লোরে শুইলাম।
..
সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি নিধি গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন।হুম ঘুমাবেনা বা কেন সারা রাত তো কান্না করেছিল।তাই আর তাকে না ডেকে আমি রুম থেকে বের হয়ে গেলাম।আর চা বানিয়ে এসে তার পাশে রেখে দিলাম।
..
দেখতে দেখতে আমার বিয়ের একমাস চলে গেল।এবার আমার চাকরী স্থল ঢাকায় গেলাম সাথে অবশ্য নিধিকেও সাথে নিলাম।আমাদের আব্বু এসে বাসে তুলে দিয়ে গেল।বাসায় এসে আমি রান্না করে নিধিকে ডাকতে গেলাম দেখলাম নিধি কান্না করছে।তাই কিছু না বলে টেবিলে খাবার রেখে আমি রুম থেকে বেরিয়ে গেলাম।
..
বাসায় ফিরলাম প্রায় রাতে।এসে দেখলাম নিধি খাবারটা খায় নি।আগের মতো কান্নাই করছে।কি বলব বুঝতে পারছিনা।আমি নিধির পাশে বসে সান্তনা দেয়ার চেষ্টা করলাম।কিন্তু পারলাম না।কারন আমার আব্বুর ভাষায় আমি একটা গাধা কোন কাজই নাকি ঠিক মত করতে পারি না।তাই হয়তো তাকে সান্তনা দিতে পারিনি।
..
বিকেলে আমি একা একা ছাদে দাঁড়িয়ে সিগারেট টানছি ঠিক এমন সময় নিধি আমার সামনে আসল।
--আপনি সিগারেট খান।(নিধি)
--না মানে।খাই না এখন একটু।(আমি)
--আর খাবেন না।ঠিক আছে।
--আচ্ছা,ঠিক আছে।
--হুম।গুড।
--আচ্ছা আমার বাসায় আপনার কষ্ট হচ্ছে না তো।
--না।আমি ঠিক আছি এখানে।খুব ভাল লাগছে আপনার বাসা।
--কিন্তু আপনি বার বার কান্না করেন কেন।
..
নিধি উত্তর না দিয়ে চলে গেল বাসায়।আমিও তাকে আর কিছু না বলে আগের মতই ধোয়া ফুকছি আর শহরের ব্যস্ততা উপভোগ করছি।আর নিধিকে নিয়ে চিন্তা করছি মেয়েটা হয়তো আমাকে লাইক করে না।আবার হয়তো অর প্রেমিকা ছিল তার কথা মনে পরে তাই হয়তো কান্না কাটি করে।থাক যাই হোক পরে আস্তে আস্তে জানতে পারব।
..
রুমে এসে দেখলাম নিধি রান্না করছে।আরে আরে নিধি তো আজ আমার সব ফেভারিট খাবার রান্না করেছে।কিন্তু মনে মনে ভাবছি নিধি আজ কি করে রান্না করছে আবার খুব খুশিও লাগছে।আজ আবার কান্নাও করছেনা।সবকিছু কেমন যেন অদ্ভুত অদ্ভুত লাগছে।
..
রাতে নিধির সাথে খাবার খেয়ে আবার ছাদে গেলাম।একটু পরে নিধি আসল আমার পাশে।
..
--একটা কথা বলব।(নিধি)
--কি কথা।(আমি)
--সেদিন আমার বিয়েটা কেন হয় নি জানেন।
--কেন।
--কারন আমি হতে দেই নি।
--মানে কি বলো।
--হুম।আমি বর কে বলেছিলাম যে আমি প্রেম করি এই বিয়ে তে কেউ সুখি হবে না।
--ও আচ্ছা প্রেম করো কিন্তু কোথায় আমাকে তো বলোনি।বিয়ের আগে কেন বলোনি।বললে হয়তো আমার সাথে বিয়েটা হতো না।
--বলিনি আমার ইচ্ছা হয়নি তাই।
--কিন্তু কার সাথে প্রেম করো।
--প্রেম করিনা।
--তো মিথ্যা বললে কেন।
--প্রেম করি না কিন্তু ভালবাসি।
--কাকে ভালবাসো।বলো আমি তোমার বাবা মার সাথে কথা বলব।
--কি কথা বলবেন।
--তোমাকে ডিভোর্স দিয়ে তোমার ভালবাসার সাথে বিয়ে দেয়ার জন্য।
..
এই কথাটা বলার সাথে সাথে নিধি আমার গালে ঠাস করে একটা থাপ্পড় দিয়ে বলল।
..
--আর কোনো দিনও ডিভোর্স এর কথা বলবে না।আমি তোমাকেই ভালবাসি।আর এটা সেই কিশোরের ভাললাগা থেকেই।বিলিভ করো আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি। এজন্যই বিয়েতে আমার বর কে বলি যেন বিয়ে বাড়িতে এসে এই কথা গুলো বলে।আমি জানতাম তোমার বাবা আমার বাবার কষ্ট দেখতে পারবে না।তোমার সাথেই আমার বিয়ে হবে।কিন্তু এখন দেখছি তুমি আমাকে একদমি লাইক করো না।
..
এই কথা গুলো বলে নিধি খুব কান্না করতে লাগলো।একে বারে অঝোরধারায় কাঁদতে লাগল।আমি কি করব বুঝতে পারছিনা।ওর মাথায় হাত রাখতে যাবো ঠিক তখনি আমার বউ নিধি রোমান্টিক হয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরল।আর ধমক দিয়ে বলল আমিও ধরতে না হয় আমার আব্বুকে বলবে আমি তাকে মারধোর করছি।(ব্ল্যাকমেইল করলো আমাকে)ভয়ে ভয়ে আমিও জড়িয়ে ধরলাম।
..
আস্তে আস্তে বউ আমার মনের ইশক জাগাই দিলো এভাবেই ব্ল্যাকমেইল করতে করতে।এখন বউ কে একদিন না দেখলে মনে হয় আমি পাগল হয়ে যাবো।মেয়েটা আমারে কি জাদু করলো রে মাইরি।এখন আমি হেতির ভালবাসায় পাগল।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now