বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
বাসর রাতে বউয়ের ঘোমটা খুলে
চমকে উঠলাম!
মীম মীম বলে এক দৌড়ে রুমের বাহিরে
চলে গেলাম!
-এটা কি করে সম্ভব??
মীম কি দিন দিন যুবতী হচ্ছে??????
সেই ১৬ বছর আগে আমার গার্লফ্রেন্ড
ছিলো মীম!
সময়টা ২০০০ সালের আমি (সাহেদ) তখন দশম শ্রণিতে সবে উত্তির্ণ হয়েছি। আমি তখন ক্লাসে দুষ্ট ছাত্র ছিলাম, পড়া-লেখাও ভালো ছিলো তবে রোল ৫-১০ ভিতরে থাকত। আমি যখন সপ্তম শ্রণিতে ছিলাম তখন আমাদের স্কুলে একটা রূপবতী মেয়ে ভর্তি হয়।মেয়েটার নাম মীম। আমাদের ক্লাসের বেশির ভাগ ছেলেই মীমের জন্য পাগল ছিলো।কিন্তু সীম স্বাভাবত ছেলেদের সাথে এবং বেশি কথা পচন্দ বলতে করতো না।এভাবে দিন যায় যখন আমি অষ্টম শ্রেণিতে উঠি তখন আমাদের স্কুলের এক বার্ষিক অনুষ্ঠানে হঠাৎ মীমের উপর আমি চোখ যায়। তখন থেকে আমি মীমকে পচন্দ করা শুরু করি। কিন্তু আমি মনে মনে বলি "তুমি এটা করতে পার না" কারণ আমি সাধারণত মেয়েদের পচন্দ করতাম না। বেসেষ করে যারা অহঙ্কার করে। কিন্তু মীম তেমন ছিলো না তার সভ্যতা ভালো এবং ক্লাসের ফাস্ট গার্ল। এভাবে দিন যায় যত দেখি তত মীমকে পচন্দ করা শুরু করি। কিন্তু কিভাবে বলবো তা ভেবে পায় না। এভাবে কেটে গেল অষ্টম শ্রেনির বছর।
নবম শ্রেনি ১৯৯৯ সাল ছিলো যথারিতি আমি পড়ার চেয়ে ক্লাসে মীমের উপর বেশি মনোযোগ দিতাম।দিন যেতে যেতে নবম শ্রেনির শেষে পরীক্ষা হয়ে গেল। স্কুল বন্ধ, বন্ধে আনন্দ করার চেয়ে কথা মনে মনে মীমে কথা বেসি ভাবতাম। কিন্তু ১৯৯৯ ডিসম্বরের একদিস পুকুর ঘাটে আমাদের বাড়ির পাসের পুকুর ঘাটে মীম এবং তার দুই বান্ধবী আড্ডা দিচ্ছে। মীমের বাড়ি আমাদের এখান থেকে একটু দূরে তবে তার দুই বেস্ট ফ্রেন্ডের বাড়ি আমাদের পাসের বাড়িটি। সে দিন রাতে আমার মাথায় বদ্ধি আসে.... মীমের দুই বান্ধবীর সাথে বন্ধুত করে মীমকে আমার মনে কথা তাদের মাধ্যমে জানাব।
পুকুর ঘাটে আমি তার (মীমের) বান্ধবীদের সাথে মাঝে আড্ডা দিতে লাগলাম। এভাবে আমার কাদের নাথে বন্ধুত হয়।কেটে যায় নবম শ্রনির বছর... এবছর স্কুলের শেষ বছর এবছর না পারলে মীমকে আর মনের কথা বলা হবে না। ২০০০ সালে আমি তখন দশম শ্রেণিতে জানুয়ারির এক বিকাল বেলায় মীমের বান্ধবীদের সাথে আড্ডা দিচ্ছি হঠাৎ আমি তাদেরকে বল্লাম তোমাদের বেস্ট বন্ধু মীমকে আমি পচন্দ করি। তারা শুনেছে।.... কিন্তু আমাকে বলে কি?? আমি আবার বল্লাম আমি মীমকে প্রচুর পচন্দ করি। কিন্তু তারা হেসে যাচ্ছে......হাসছে এভাবে ১০ মিটন হাসার পর তারা বলে কাল স্কুলে তোর ব্যবস্থা হবে। আমি তাদের কথা শুনে ভয় পায়। মনে মনে ভাবি কি হবে কে যানে।
আমি পরের দিন তাদের ভয়ে স্কুলে যায় নি। এভাবে দুদিন কেটে গেলে। ভাবছি জানুয়ারি বছরের প্রথম আরো কয়দিন ফাঁকি দিবো কিন্তু বাবার ধমকে আর পারলাম না। ৩দিন পর স্কুলে গেলাম। যথারিতি আমি ক্লাসে গেলাম। এবং সিটে বসলাম। কিন্তু মীমের দুই বান্ধবী আমার কাছে এসে দাড়িয়েছে। আমাকে বলে তুমি।দুিন স্কুলে আসোনি কেন?? আমি বল্লাম অসুস্থ ছিলাম। তারা বুঝতে পেরেছে আমি ভয় পেয়ে আসিনি।তারা বলে মীমের ভয়ে আসনি আমি চুপ.....কিন্তু তাদের সাথে মীম কই??আমি বল্লাম মীম কোথায় আসেনি আজ??তারা আমাকে কিছু না জানিয়ে সোজা স্কুলের বাগানে নিয়ে গেল। ওখানে মীম দাড়িয়ে রয়েছে। মীমের বান্ধবীরা হেসে চলে যায় ক্লাসে। বাগানে আমি আর মীম একলা মনোরম পরিবেশ। আমি মনে মনে ভাবছি এই সময় মীমকে সাহস করে মনের কথা বলে দিই।
ঠিক যখন আমি তার সামনে গেলাম। মীম আমার গালে আস্তে একটা চড় মারে ।
আমি: চুপ.....
মীম: কি বলেছ?? তুমি আমাকে পচন্দ কর??
আমি: হ্যা
মীম কতটা??
আমি :প্রচুর
মীম : তাহলে আগে বলো নি কেন??
আমি :কি??
মীম :i love you
আমি :শুধু তাকিয়ে রয়েছি। কি বলবো???
মীম: কি হয়ছে??
আমি :i love you 2
মীম:তাহলে মুখ কুলে বলেছো।
আমি:তুমি আমাকে পচন্দ কর??
মীম: হুম প্রচুর?
আমি:কিন্তু আগে বলো নি কেন??
মীম: তুমি মেয়েদের সাথে তেম কথা বলতে না।এবং আমি তোমার সাথে এর আগে ভালো করে পরিচিত হয় নি। ভয়ে বলি নি।কিন্তু তুমিত বলতে পারতে । ছেলে হয়েও বয় পাও।
আমি :না আমি সাহসি। কিন্তু আমি ভয় হয়েছি!যদি তুমি না করে দাও। তাহলে আমরা এখন প্রেমিক -প্রেমিকা??
মীম:হুম।
ঠিক তখনই ক্লাসের ঘন্টা দেয় আমরা ক্লাসে চলে গেলাম।আমাকে দেখে মীমের বান্ধবীরা হাসতেছে। আমি লজ্জাভার মুখ নিয়ে বসে রয়েছি। আমি আর মীম মাঝে মাঝে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে সিনামা দেখতাম এবং ঘুরে বেগাতাম। মীম মাঝে মাঝে তার বান্ধবীদের বাড়িতে আসত ওখানে তাদের সাথে আড্ডা দিতাম। এভাবে দিন কেটে যাচ্ছে। যত দিন যাই আমি এবং মীম দুজন দুজনকে তত বেশি ভালোবাসতে শুরু করি। এভাবে দিন যেতে যেতে আমাদের দশম শ্রেণির পরীক্ষা হয়ে গেএ স্কুল বন্ধ। মীম, আমি দুজন পুকুর ঘাটে এবং তার বান্ধী একসাথে প্রায় আড্ডা দিতে লাগলাম। মীম বাড়ি বান্ধবীদের কথা বলে বেরিয়ে আসত।এভাবে চলে গেল বন্ধের দিন গুলো কিন্তু হঠাৎ ৩ দিন ধরে মীম দেখা করতে আসে নি। আর দু দিন পর পরীক্ষার রেজাল্ট দিবে। ৫ দিন হয়ে গেল মীমের দেখা নেই। আমরা সবাই ফাশ করলাম। কিন্তু মীম রেজাল্টের জন্যও স্কুলে আসে নি। আমি ব্যাকুল হয়ে মীমের বান্ধবীদের জিজ্ঞেস করলাম কিন্তু তারাও সঠিক জানে না। তার আমাকে উত্তের দিলো মীমের নাকি অসুস্থ...মীমের বাবা এই খবরটা তাদের বলে।
ঠিক দু দিন পর খেলার মাঠে আমি জানতে পারি মীমের বিয়ে হয়ে গেছে। তাহলে......
আমি ওখানে ঘুরে পড়ে যায়। এ কি সত্য?? হ্যা! আসলেই সত্য মীমের বিয়ে হয়ে গেছে। মীমের বাবা আমাদের সম্পর্ক জানতে পেরে জোর করে মীমকে বিয়ে দিয়ে দেয়। আমি এখন আত্মহারা।টড়া লেখায় মন নেয়। কিন্তু বাবার ভয়ে কলেজে ভর্তি হয়।
শুরু হয় নতুন জীবণ। ২০০১ সালে কলেজে ভর্তির পর। নকুন বন্ধু হয় কিন্তু কোন মেয়ের সাথে আর হয় নি। এবাবে দিন যেতে লাগলো। ভালো ভাবেই পড়াশুনা করছি। ২০০৫ সালে ইজ্ঞিনিয়ারিং ভর্তি হয়। ২০০১০ সালে ইজ্ঞিনিয়ারিং শেষ হয়। বাবার কথাতে আরো পড়ার জন্য বিদেশে চলে গেলাম। ইংল্যান্ডের একটা ইজ্ঞিনিয়ারিয়ে ভর্তি হলাম জবও করছি।বলতে গেলে নিজের পায়ে নিজে দাড়িয়ে গেলাম ২০১৩ সালে নিজের একটা কোম্পানির চালু করলাম। এৎন ভালোই অবস্থা।
কিন্তু এসবের মাঝে মীমকে ভুলতে পারি নি।ওর বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর ডিসিশন নিয়েছিলাম আর বিয়েই করবো না জীবনে!
১৬ বছরে অনেক উন্নতি করেছি নিজের।২০১৬ সারে দেশে আসি। বাবা বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছে। তারা মেয়ে ঠিক করে রেখেছে। কিন্তু আমি বিয়ে করতে চাইছিলাম না!
কিন্তু আম্মা অসুস্থ হয়ে যাওয়ায়
আর বাবার চাপে
এক প্রকার বাধ্য হয়েই বিয়ে করতে
হয় আমাকে,,,,,,
বউকে আমি দেখতেও যাইনি!বাবা সব ম্যানেজ করেছেন!
কিন্তু মীম এই ১৬ বছর পরেও
এই যৌবন কিভাবে ধরে রাখলো?
ও তো আরও ছোট হয়ে গেছে?
এটা কেমনে সম্ভব??
আমার চিল্লানি শুনে বাবা
নিচ তলা থেকে হাক জুড়েছেন,,,,
""ছোটকালের স্বভাব এখনো
গেলো না তোর!?? যা রুমে যা!
আমি বাবাকে খুব ভয় পাই!
তাই জলদি করে রুমে চলে গেলাম!
রুমে গিয়ে দেখলাম
বউ আমার খুব কান্না করতেছে!
আমি বললাম কি হয়েছে তোমার?
কান্না শুরু করলে কেন??
--বউ বললো, আপনি আমার মায়ের
নাম জানলেন কি করে??
আমি: মানে কি? প্রশ্ন করলাম??
বউ: মানে আমার আম্মুর নাম হচ্ছে মীম!
আর আমি দেখতে হুবহু আমার
আম্মুর মতো হয়েছি!
আমি: ওহহহহ তাই বুঝি!!
মনে মনে বললাম,
সবুরে মেওয়া ফলে!
একটু ধৈর্য ধরলে গার্লফ্রেন্ড
শাশুড়ীও হয়!!
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
তুহিন
Golpobuzz ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেsahedul
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেsahedul
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেsahedul
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেsahedul
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেsahedul
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেsahedul
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেsahedul
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেsahedul
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেsahedul
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেsahedul
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেsahedul
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেsahedul
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেsahedul
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেsahedul
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেsahedul
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেsahedul
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেsahedul
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেsahedul
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেsahedul
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেsahedul
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেSIAM The Deadman
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেRubaiya Islam
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেতুহিন
Golpobuzz ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেLutfun Nahar (Sabira)
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেSushmita
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেM.H.H.RONI
Golpobuzz ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বে