বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

অভিমান

"জীবনের গল্প" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান আল মামুন (০ পয়েন্ট)

X অভিমান লেখকঃ Ro... কি করিস? (নিলা) -- শুয়ে আছি (অভ্র) -- দুপুরে খেয়েছিস? (নিলা) -- না (অভ্র) -- কেন? (রাগের সূরে নিলা) -- টাকা নেই কাছে আর মেসে মিল নাই (অভ্র) -- শয়তান, ,,,,বিকেল হয়েগেছে এখনো খাসনি তারাতারি বাইরে আয় (নিলা রাগ আওতার বাইরে) অভ্র জানে না গেলে সুনামি বসে যাবে তাই আসতেছি বলেই রেডি হয়ে বাইরে চলে এলো একটু পরই দেখলো নিলা প্রাইভেট কারে করে চলে এলো তারপর অভ্রকে তুলে রেস্টুরেন্টে নিয়ে গেল অভ্র একমনে খাচ্ছে আর নিলা মনোযোগ দিয়ে অভ্রর খাওয়া দেখছে --এভাবে আর কতোদিন? ( নিলা) -- কি কতোদিন? (অভ্র) --কি কতোদিন বুঝিস না আমার টাকায় আর কতোদিন এভাবে চলবি বল (নিলা) -- হিহিহি আমার একমাত্র বউয়ের বাপের টাকায় খাবো তো এতে কিপ্টামির কি আছে বলেই অভ্র আবার খাওয়ায় মন দিল আর নিলা রাগটাকে কন্ট্রোল করার চেষ্টা করছে খাওয়া শেষ নিলা বিলটা দিয়ে অভ্রকে নিয়ে লেকের পাড়ে চলে গেল চুপচাপ বসে আছে দুজনে -- অভ্র এভাবে আর কতোদিন চলবে বল? অন্তত কিছু একটা তো কর যেদিন আমি থাকবোনা কিভাবে চলবি তুই (নিলা) -- দেখ নিলা বেশি কথা বলবিনা তো তোর মতো একটা লক্ষী বউ থাকতে কি অন্য কিছু করা লাগে আর তোর বাবার অনেক টাকা এগুলা খেয়েই তো দুজনে শেষ করতে পারবোনা হিহিহি (অভ্র) -- বয়েই গেছে তোর মতো ছেলের বউ হতে (নিলা) --হবি তো তুই ই আমার বউ হবি বলে দিলাম (অভ্র) -- দেখ অভ্র এসব কথা না বলে একটা চাকরির ব্যবস্থা কর না হলে অন্তত কয়েকটা টিউশনি তো করা এভাবে আমার ভয় করে আমি না থাকলে তোর কি হবে বল (নিলা) -- দেখ এসব চাকরি বাকরি আর টিউশনি কোনটাই আমার দ্বারা হবেনা এমনই ভালো আছি হিহিহি (অভ্র) -- পরে বুঝবি এর মজা বলেই রেগে নিলা উঠে চলে আসছে অভ্রও উঠে পিছু নিলো --এই চলে যাবি যা আমার যাওয়ার ভাড়াটা তো দে (অভ্র) -- দেবোনা হেঁটে যা (নিলা) -- ওকে গেলাম বলেই অভ্র হাঁটা শুরু করে আর নিলা গাড়িতে উঠে যায় কিছুক্ষণ পর নিলার গাড়ি অভ্রর কাছে এনে কাচটা নামিয়ে এক হাজার টাকার নোটটা অভ্রকে দিয়ে বলল --লিখে রাখিস পরে শোধ করে দিস গাড়িটা চলে গেল আর অভ্র দাড়িয়ে মুচকি মুচকি হাসছে চারটা বছরে অভ্র এই দিয়ে ১লাখ ২৫ হাজার চারশ সতের টাকা নিয়েছে নোটটা না ভাঙিয়ে হাঁটতে হাঁটতেই অভ্র মেসে চলে আসে পরিচয়টা দেই,,,,, নীলা বড়লোক বাবার একমাত্র মেয়ে, তবে বড়লোক হলেও ওর মতো মেয়ে হয়না রাগি হলেও মনটা খুব নরম আর অভ্র গ্রামের ছেলে পরিবার বলতে অভ্র নিজেই মা বাবা সবাই ঐ দূর আকাশে থাকে অনেক কষ্ট করে ভার্সিটি পর্যন্ত এসেছে পরিচয় বলতে এতটুকুই ভার্সিটিতে অভ্র একদম বেখেয়ালি ভাবে চলত একদম উদাসীন আর এই উদাসীন ছেলেটাকে দেখে নিলার ভিষণ রাগ হতো যে ছেলেটা এমন কেন? তাই অভ্রর সাথে বন্ধুত্ব করে নিলা এরপর থেকেই অভ্রর প্যারা শুরু অভ্র এতটাই উদাসীন যে না খেয়ে থাকবে তবু কিছু করবে না তবে নিলা খুব ভালো তাইতো অভ্রর যখন যা লাগে দেয় আর একসাথে থাকা চলা এটা তো কমন এই চারটা বছর ধরে অভ্রর জ্বালাতে নিলা পাগল প্রায় তবুও কেন জানি অভ্রকে কিছু বলতে পারেনা ছেলেটা এতিম তো তাই আর অভ্রর হাসি দেখলেই নিলার সব রাগ চলে যায় অপরদিকে অভ্র নিজেকে নিজে যতটা না কেয়ার করে তার চেয়ে বেশি নিলা কেয়ার করে তাইতো নিলাকে খুব ভালোবেসে ফেলেছে অভ্র অনেক আগেই অভ্র বার বার ই নিলাকে বলে যে ভালোবাসি তবে নিলা ফান ভেবে উড়িয়ে দেয় এভাবেই এক এক করে চলে যাচ্ছে দিন অভ্রোওওও চায় চাকরি করতে তারপর নিলাকে নিজের বৌ করে নিতে তবে আজকালকার দিনে চাকরি মানে যে কি এটা যারা পড়া শেষ করেছে শুধু তারাই জানে অনেক জায়গায় চাকরির ইন্টারভিউ দিয়েছে অভ্র তবে আজকাল মামা খালু আর টাকা ছাড়া কিছুই হয়না তাইতো চাকরিটা আর করা হয়না চাকরি না হলেও অভ্র চুপচুপি সেই ১ম থেকেই রাতে দুটো টিউশনি করায় যা নিলা জানেনা অভ্রর ইচ্ছা টিউশনির জমানো টাকা দিয়ে বিয়ের পর নিলাকে অন্নেক বড় একটা গিফট দেবে অভ্র অনেক স্বপ্ন দেখে নিলাকে নিয়ে বিকেলে মেসে বসে ছিল তখনই নিলার ফোন --হ্যা বউ বল (অভ্র) -- দেখ অভ্র সব সময় মজা আমার ভালোলাগেনা (নিলা) -- মজা না আমি সত্যি তোকে বউ করে নেবো রে (অভ্র) -- আমার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে আজ আংটি পড়াতে আসবে রাতে বাসায় আসিস আর হ্যা আসার সময় কিছুদিন আগে যে শার্টটা দিয়েছিলাম ওটা পড়ে আসিস কেমন বাই ফোনটা কেটে যায় নিলার মুখে আংটি পড়ানোর কথা শুনেই বুকটা কেমন যেন করে ওঠে অভ্রর অভ্র ভাবে এটা কি করে হয়! আমি যে নিলাকে ভালোবাসি নিলাকে শুধু আমার বউ হলেই মানায় না না এটা হতে পারেনা রাতে অভ্র নিলাদের বাসায় আসে এসেই দেখে অনেক মেহমান বসে আছে এর আগেও অভ্র এসেছে এ বাড়িতে অভ্রকে দেখেই নিলা একটা মুচকি হাসি দেয় তবে অভ্রর ভিতরে তোলপাড় শুরু হয়ে গেছে অভ্র অপলক ভাবে তাকিয়ে আছে নিলার দিকে আজ অনেক সুন্দর লাগছে নিলাকে ছেলেটা নিলার হাতটা ধরল আংটি পড়াতে যাবে তখনই অভ্র ছেলেটার কাছে গিয়ে কলারটা ধরে বলছে --তোর সাহস কি করে হয় আমার পরীটাকে আংটি পড়াস হ্যা আমি নিলাকে ভালোবাসি নিলা শুধুই আমার কয়েকজন এসে তাড়াতাড়ি অভ্রকে ছাড়িয়ে নিলো --ঠাসসসসসসসসস্ খুব জোরেই থাপ্পরটা অভ্রর গালে বসিয়ে দেয় নিলা অবাক হয়ে গালে হাত দিয়ে নিলার দিকে তাকায় অভ্র আমি তোকে এখানে ডেকেছিলাম কি বিয়ে ভাংতে ? ( নিলা চিৎকার করে) -- আমি তোকে ভালোবাসি নিলা (অভ্র) -- ঠাসসসসসসসসস্ আবার কষে থাপ্পর বসিয়ে দেয় অভ্রর গালে আমি তোকে শুধুই বন্ধু ভাবতাম আর তুই এই প্রতিদান দিলি ভুলে যাসনা অভ্র তুই একটা এতিম নিলার মুখে এতিম শুনেই অভ্রর বুকটা ধক করে ওঠে নিলাই প্রথম দিন অভ্রকে বলেছিল খবরদার নিজেকে কখনো এতিম বলবিনা স্তব্ধ হয়ে যায় অভ্র -- তুই কি ভুলে গেছিস তুই আমার টাকাতে চলিস তোর পড়ার টাকাটা আমি দেই তোর মেস ভাড়া, তোর খাবার টাকা এমনকি যে শার্টটা গায়ে দিয়ে আছিস সেটাও আমার দেয়া একটা এতিম ছেলে তুই যার কোন বাড়ি নেই থাকার জায়গা নেই একটা টাকা নেই তোর মতো ছেলেকে এতোদিন আমি সাহায্য করেছি কি শেষমেষ আমার পরিবারকে তুই ছোট করবি এইজন্য? তোর টাকা লাগবে তো না দিচ্ছি দাড়া বলেই নিলা ঘর থেকে একটা বান্ডিল এনে অভ্রর পায়ের কাছে ফেলে দিল নে টাকাটা রাখ তবুও এখান থেকে চলে যা চলে যা আমার সামনে থেকে আর কোন দিন যেন তোর ঐ নির্লজ্জ মুখটা আমার না দেখতে হয় অভ্র টাকাটা তুলে নিল তারপর টাকাটা নিলার হাতে তুলে দিয়ে বলল --আমাকে মাফ করিস রে আমি বুঝিনি যে এমনটা হয়ে যাবে ছেলেটার কাছে এগিয়ে যায় অভ্র তারপর পা জড়িয়ে ধরে বলে --ভাই আমাকে মাফ করে দিয়েন তারপর আবার নিলার কাছে এসে বলে --দেখতো আমিনা ভুলেই গেছিলাম যে আমি এতিম আমি ভুলেই গেছিলাম যে আমি তোর টাকাতে চলি আমার যা আছে সবই তোর টাকাতে কেনা দেখনা তুই আমাকে কত ভালো বন্ধু ভাবতি আর আমি তোর বিশ্বাসকে এভাবে নষ্ট করে দিলাম আসলেই আমি বেহায়া রে আর তোর টাকাটা দেয়া লাগবেনা এমনিতেই যে টাকা দিয়েছিস সেটাই সারাজীবন তোর কামলা খাটলেও শোধ হবেনা নিলার বাবার হাতটা ধরে অভ্র বলল চাচা আপনাদের শুভ কাজে বাধা দেয়ার জন্য মাফ করবেন আর নিলা শোন তুই যতই আমার মুখটা না দেখতে চাস আমি তোর বিয়েতে আসবোই হু বলেই চোখটা মুছে অভ্র চলে গেল মেসে এসে বসে আছে অভ্র আজই প্রথম নিজেকে এতিম মনে হচ্ছে আসলেই নিলাকে নিয়ে একটু বেশিই স্বপ্ন সাজানো হয়ে গেছিল তাইতো কষ্টটা একটু বেশিই লাগছে সারাটা রাত একটুও চোখের পাতা এক করতে পারেনা অভ্র পরদিন ব্যাংকে গিয়ে টিউশনির জমানো টাকাটা তুলে নেয় অভ্র তারপর শপিংসেন্টার গিয়ে খুব সুন্দর দেখে নিলার জন্য একটা নীল শাড়ি কিনে শাড়িটা গিফট পেপার দিয়ে প্যাকিং করে নেয় তারপর আবার মেসে ফিরে আসে কালকে নিলার বিয়ে সারা বাড়িতে হৈ হুল্লোড় চলছে খুব খুশি সবাই খুশি হবেনা কেন একমাত্র মেয়ের বিয়ে তবে মনটা খারাপ নিলার অভ্রকে সেদিন ওভাবে বলার পর থেকেই মনটা খুব খারাপ নিলা জানে যে অভ্র হাজার কষ্ট পেলেও কখনো কাঁদে না মুচকি হাসির আড়ালে কষ্ট খুব করে লুকাতে পারে নিলা ভাবে কালকে বিয়েতে আসলেই ওকে স্যরি বলে নেব আর আমি ছাড়া তো ওর কেউ নেই বিয়ের পরও না হয় ওকে দেখবো পরদিন রাত আটটা,,,,,,, অভ্র নিলাদের বাড়ির গেটে দাড়িয়ে আছে হাতে নিলার জন্য কেনা গিফটটা অভ্রকে দেখেই গেট দাড়োয়ান চাচা বলল --আরে বাবা বাইরে দাড়িয়ে যে ভিতরে চলো -- না চাচা অনেক কাজ আছে চাচার হাতে অভ্র গিফ্ট টা দিয়ে বলল -- এটা নিলার হাতে দিয়ে বলবেন আমি দিয়েছি আর আজ খুলতে মানা করবেন বলবেন যেন বিয়ের পর খুলে --সে কি বাবা তুমি যাবেনা ভিতরে (চাচা) -- না চাচা অনেক তাড়া আমার আমি এখন তাহলে আসি কেমন ভালো থাকবেন পিছু ফিরে হাটা শুরু করে অভ্র কি মনে করে যেন বাড়িটার দিকে তাকায় দোতলা বাড়িটা অনেক সুন্দর করে সাজানো হয়েছে অভ্রর বড্ড ইচ্ছা করছে ভিতরে গিয়ে নিলাকে বৌয়ের সাজে দেখতে তবে নিলা যে সেদিন খুব সহজেই বলে দিয়েছে আমাকে আর না দেখতে হাহাহা তাইতো অভ্র শেষ ইচ্ছা টুকুও হাসির মাঝে চাপা দিয়ে পিচঢালা রাস্তা দিয়ে হেঁটে চলেছে পকেট থেকে ভাঙাচোরা বাটন ফোনটা বের করে অভ্র ফোনটা ভাঙা হলেও ডিসপ্লে তে নিলার ছবিটা অনেক সুন্দর মানিয়েছে ব্যাটারিটা খুলে সিমটা বের করে অভ্র তারপর ভেঙে পাশের ঝোপে ফেলে দেয় সঙ্গে সঙ্গে পুরো পৃথিবীর সাথে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় অভ্রর হাহাহা যার পৃথিবীতে আপন বলতে কেউ নেই তার জন্য আপতত কেউ কষ্ট পাবেনা একজন আপন ছিলো সেও এখন অন্য কারো হাঁসতে হাঁসতে আধারের মাঝে মিলিয়ে যায় অভ্র অপরদিকে নিলা বিয়ে বাড়িতে অভ্রকে খুজছে তবে পাচ্ছেনা দাড়োয়ান চাচা এসে গিফ্ট টা নিলার হাতে দিয়ে বলল --মামনি এটা অভ্র বাবা দিয়েছে --অভ্র দিয়েছে,,,,,, কোথায় ও (নিলা) -- বলল কি যেন কাজ আছে চলে গেল (চাচা) -- ওহ্ আচ্ছা দেন (নিলা) --মামনি এটা অভ্র আজ খুলতে মানা করেছে বলেছে স্পেশাল গিফট বিয়ের পর খুলতে (চাচা) -- আচ্ছা ঠিক আছে (নিলা) নিলা ভাবে অভ্র অভিমান করে আছে তাই পরে অভিমান ভাঙাবে ভেবে মন থেকে এসব ঝেড়ে ফেলে বিয়েটা খুব ধুমধাম করেই হয়ে যায় পরের কয়েকটা দিন এখানে ওখানে যেতে যেতেই কেটে যায় নিলার নিলা ভুলেই যায় অভ্রর কথা রাতে কাপড় গুছাচ্ছে নিলা ঠিক তখনই লাগেজ থেকে অভ্রর দেয়া গিফ্ট টা বেড়িয়ে আসে তাড়াতাড়ি নিলা খুলে দেখে খুব সুন্দর একটা নিল শাড়ি মুচকি হাসে নিলা আর ভাবে পাগলটার চয়েস আছে শাড়িটা তুলতেই একটা ছোট্ট প্যাকেট বেরিয়ে আসে প্যাকেট টা খুলতেই নিলা অবাক হয়ে যায় অনেকগুলা টাকা সাথে একটা কাগজ তাড়াতাড়ি কাগজ টা খুলে নিলা পড়তে শুরু করে কি রে কেমন আছিস বৌ? রাগ করিসনা তোকে বৌ বলেছি বলে কি করবো বল অনেক যে ভালোবাসি তোকে সেই আগে থেকেই জানিস তো আমি ইচ্ছা করেই তোর থেকে টাকা নিতাম হিহিহি তোর থেকে আমি মোট ১লাখ ২৫হাজার চারশ সতের টাকা নিয়েছিলাম এখানে টাকাটা আছে ভাবছিস এত টাকা কোথায় পেলাম হিহিহি তোকে না বলে দুটো টিউশনি করাতাম সেটা থেকে জমিয়ে তোর জন্য রেখেছিলাম ভেবেছিলাম তোর সাথে আমার বিয়ে হলে তোকে এটা দেব কিন্তু তা তো হলোনা তাই তোর বিয়েতেই এটা দিলাম কোনদিন তো তোকে কিছু দিতে পারিনি বেহায়ার মত শুধুই নিয়েছি তাই প্রথম ও শেষ একটা গিফট দিলাম শাড়িটা হয়ত ভালো হয়নি তাইনা রে? কি করবো বল? তুই তো জানিসই আমার চয়েস খারাপ তবুও শাড়িটা পরিস কেমন আর তুই বলেছিলি না কোন দিন আমার মুখ দেখতে চাসনা হিহিহি একদম টেনশন নিস না আর কোন দিন তোর সামনে যাবোনা জানিস তো তোর সাথে চলতে চলতে ভুলেই গেছিলাম যে আমি একটা এতিম তুই ছাড়া কেউ নেই তবে সেদিন আমাকে এতিম বলে মনে করিয়ে দিলি অনেক অনেক ধন্যবাদ তোকে শেষ পর্যন্ত নিজের ভুলে এই এতিমটার আর কেউ রইলোনারে তাই পুরো পৃথিবীর থেকে সংযোগ টা বিচ্ছিন্ন করে নিলাম পারলে মাফ করে দিস কেমন আর কোন দিন তোর এই বেহায়াটার মুখ দেখতে হবেনা দোয়া রইল তোদের সাংসারিক জীবন সুখের হোক ভালো থাকিস বৌ হিহিহি ""যদি কখনো আবার হয় দেখা,,,,,,, যদি পথ দুটো না হয় একা,,,,,,,,, তবে রোজ রাতে আমি তাঁরা হয়ে জ্বলব তোরই ইশারায়,, "" চিঠিটা পড়ে চোখের জল যেন বাধা মানছে না নিলার তাড়াতাড়ি ফোনটা নিয়ে ফোন দেয় ওপাশ থেকে সুন্দর ভাবে ভেসে আসছে --আপনার কাঙ্খিত নম্বরটিতে এই মুহূর্তে সংযোগ দেয়া সম্ভব হচ্ছেনা হু হু করে কেদে ওঠে নিলা রাতেই গাড়ি নিয়ে বেড়িয়ে পরে অভ্র কে খুজতে তবে সারা শহর খুজেও আর পায়না পাবে কি করে সে আজ চলে গেছে না ফেরার দেশে।????????????????


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৯১০ জন


এ জাতীয় গল্প

→ অভিমানে আছো তুমি
→ "রাগ-অভিমান"
→ অভিমান
→ ❤️রাগ-অভিমান❤️
→ এক টুকরো অভিমান
→ স্কুল লাইফের অভিমান!
→ অভিমানী বউ
→ অভিমান
→ দুষ্টু মিষ্টি অভিমানে ঘেরা ভালোবাসা
→ বেষ্টফ্রেন্ডের অভিমান ৯ম পর্ব
→ বেষ্টফ্রেন্ডের অভিমান ৮ম পর্ব
→ বেষ্টফ্রেন্ডের অভিমান ৭ম পর্ব
→ বেষ্টফ্রেন্ডের অভিমান ৬ষ্ট পর্ব
→ বেষ্টফ্রেন্ডের অভিমান ৫ম পর্ব
→ বেষ্টফ্রেন্ডের অভিমান ৪র্থ পর্ব

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
  • Lutfun Nahar (Sabira)
    User ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বে
    weepঅনেক কষ্টের ছিলোgj

  • Mofizul
    Golpobuzz ৪ বছর, ২ মাস পুর্বে
    মারুফ ভাই আপনার প্রফাপ্রফাইল এর বাবুটা সুন্দর

  • রিয়াদুল ইসলাম রূপচাঁন কাব্য
    User ৪ বছর, ২ মাস পুর্বে
    হুম

  • Md Maruf
    User ৪ বছর, ২ মাস পুর্বে
    Hi

  • Jubayer Ahmed
    Golpobuzz ৪ বছর, ২ মাস পুর্বে
    Kabab vai, most wellcome 2

  • রিয়াদুল ইসলাম রূপচাঁন কাব্য
    User ৪ বছর, ২ মাস পুর্বে
    সু-স্বাগতম

  • Jubayer Ahmed
    Golpobuzz ৪ বছর, ২ মাস পুর্বে
    সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

  • M.H.H.RONI
    Golpobuzz ৪ বছর, ২ মাস পুর্বে
    অসাধারন হয়েছেgj

  • তাবাসসুম ধ্রুবা
    User ৪ বছর, ৩ মাস পুর্বে
    কান্না চলে আসছে আমার! love story গুলা কেনো যে এতো কষ্টকর হয় বুঝি না

  • Mofizul
    Golpobuzz ৪ বছর, ৩ মাস পুর্বে
    হুম কেমন আছ সবাই আর গল্প টা সুন্দর

  • বকুল রায়
    Golpobuzz ৪ বছর, ৩ মাস পুর্বে
    ভালো হয়েছে

  • Mofizul
    Golpobuzz ৪ বছর, ৩ মাস পুর্বে
    এই চলছে ভাই

  • TAMIM
    User ৪ বছর, ৩ মাস পুর্বে
    হুমম সাদা মন ভালোই চলছে তোমার?

  • TAMIM
    User ৪ বছর, ৩ মাস পুর্বে
    হুমম সাদা মন ভালোই চলছে তোমার?

  • Mofizul
    Golpobuzz ৪ বছর, ৩ মাস পুর্বে
    কি খবর তামিম

  • TAMIM
    User ৪ বছর, ৩ মাস পুর্বে
    আলহামদুলিল্লাহ

  • Jubayer Ahmed
    Golpobuzz ৪ বছর, ৩ মাস পুর্বে
    Tnx all. tamim & riad vai kmn asen?

  • রিয়াদুল ইসলাম রূপচাঁন কাব্য
    User ৪ বছর, ৩ মাস পুর্বে
    হুম

  • TAMIM
    User ৪ বছর, ৩ মাস পুর্বে
    nice mamu....

  • রিয়াদুল ইসলাম রূপচাঁন কাব্য
    User ৪ বছর, ৩ মাস পুর্বে
    হুম

  • Mofizul
    Golpobuzz ৪ বছর, ৩ মাস পুর্বে
    gj গল্প টা অনেক দুঃখের তবে সুন্দর