বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

হৃদয়ের মাঝখানে-১৪

"রোম্যান্টিক" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান ♥Imran khan♥ (০ পয়েন্ট)

X ♥হৃদয়ের মাঝখানে♥ . পার্ট-১৪ . মেয়ে যখন কোল আলো করে ঘরে আসে তখন মা -বাবা কতো খুশি হয়। আর আস্তে আস্তে বড় হলে তাদের মাথায় মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার ভূত চাপে,,, আস্তে আস্তে দিন কেটে যায় নিঝুম আর অন্তরের বিয়ে হয়ে গেছে আজ ১সপ্তাহ হয়ে গেলো। উপমা নিঝুমের বিয়ের পর থেকে কেমন জানি একা হয়ে গেছে। যেনো বিয়েটা তার হয়ে সে স্বামীর বাড়ি চলে গেছে। ভার্সিটিতে ক্লাস অফ পরীক্ষা কিছুদিন আগে গেলো, রাস্তায় হাটছে উপমা একা,,,, পিছনে আদি ছিল খেয়াল করেনি,,,, উপমা সামনের দিকে এগোচ্ছে আর আদি উপমার পিছন পিছন যাচ্ছে,,,, আজ আদি আবার ও মুগ্ধ হলো উপমাকে দেখে,,, রাস্তায় একজন উপমার কাছে বিক্ষে চেয়েছিল হাত পেতে উপমা তার প্যান্টের পকেট থেকে টাকা বের করে দিয়ে দিলো,,,, আদি দৌড়ে উপমার কাছে গেলো …….. আদি :হাই……. উপমা :আরে আপনি কখন এলেন আর এখানে কি করে,,,, আদি :আজকেই তো চলে যাচ্ছি, তাই ভাবলাম তোমার সাথে দেখা করে যাই……. উপমা :ওহ আজকেই চলে যাবেন,, আবার আসবেন আমাদের দেশে,,, আদি :হুম, চেয়েছিলাম থেকে যেতে কিন্তু যার পিছনে পরে রেয়েছি সে এখনো আমাকে পাত্তাই দেয় না তাই থেকে আর লাভ কি চলেই যাই………. . উপমা :সে কে এখনো কিন্তু বলেন নি, আমি আপনাকে বলছিলাম আমাকে বলেন আমি তাকে বলে দেখি। কিন্তু আপনি আজ অবধি তার নামটুকুও বলেননি, শুধু তার চরিত্র সম্পর্কে বর্ননা দিয়েছেন। আদি :সে তো আমাকে সহ্যই করতে পারেনা। তোমাকে আর কি বলবো তাই না বলাই বেটার,, আচ্ছা এই যে তুমি একটা লোককে এতোগুলো টাকা দিলে পকেট থেকে বের করে,, কোনো কারন ছাড়াই ……….. উপমা :কারন ছাড়া মানে,, ওর একটা বোনকে বিয়ে দিবে অনেক গুলো টাকার প্রয়োজন আর বাবাতো নেই। তাহলে ও টাকা পাবে কোথায়,, আমার এমডি কার্ডটা বাসায় রেখে আসছি না হলে ওর বোনের বিয়ের জন্য আরো কতোগুলো টাকা দিতাম (মন খারাপ করে) . আদি :ভালো, নিজের বিয়ের খবর নেই এখানে আসছে অন্যকে সাহায্যে করতে হুহ ……. উপমা :এই কি বললেন আপনি,, আদি :কই কিছুনা তো, তোমার বাসায় কি এই রাস্তা দিয়ে যায় নাকি হুহ, এইদিকে কোথায় যাচ্ছো………. উপমা :এমনি ভালো লাগছিল না তাই ঘুরতে যাই একটু ওইদিকে ……… আদি :ওহ চলো আমি ও একটু যাই তোমার সাথে ওইদিকে,,,, দুজনে চললো কথা বলতে বলতে,, আদির সন্ধ্যায় প্লাইট তাই আজ বিকেল ৪টা পর্যন্ত উপমার সাথে বিভিন্ন যায়গায় ঘুরে বেড়ালো …….. রেস্টুরেন্টে গিয়ে দুপুরের লান্স সেরে নিলো। উপমাকে উপমার বাড়ির সামনে নামিয়ে দিলো আদি,,, আদি :শুনো, উপমা :হ্যাঁ বলুন? আদির মন কেমন জানি করছে, মন চাইছে একটিবার বলতে উপমা তোমায় আমি ভালোবাসি খুব। তোমায় ছেড়ে যেতে আমার মন চাইছে না বলোনা একটি বার, এই আদি থেকে যান না থাইল্যান্ড না গেলে কি হয় না। আদি ভেবে উঠতে পারছে না বলবে কি বলবে না, বললেই বা হয় আবার মনে হচ্ছে এখন যদি উপমাকে সে বলে তাহলে উপমা যদি আবার রিয়েক্ট করে সেই ভেবে বলছে না। . উপমার ও মনে হচ্ছে আদি হয়তো তাকে ভালোবাসে সে হয়তো আজ বলবে উপমাকে “ভালোবাসি “এই কথাটা তাই অধীর আগ্রহে দাড়িয়ে আছে আদির সামনে। উপমা :কি হলো বলুন? আদি :বলছি যে তুমি খুব কেয়ারলেস নিজের খেয়াল রাখতে পারোনা, রাস্তায় ঠিক মতো চলতে পারোনা। নিজের খেয়াল রাখবে, ঠিক মতো খাবার খাবে, ঘুমাবে তুমি তো আবার ঘুম পাগলী। আঙ্কেল আন্টিকে আমার সালাম জানিও বলবে আমি আজ চলে যাচ্ছি থাইল্যান্ড। আর আসবো কিনা জানিনা অন্তরের বিয়ে উপলক্ষে এলাম তোমাদের সাথে কয়েক দিন থাকলাম বেশ ভালোই দিন কেটেছে। আমি ফেসবুকে বেশি থাকি না যদিও ডুকি এস এম এস দিলে রিপলাই করো আসি হ্যাঁ …………….. উপমা আদির মুখে না আসার কথা শুনে বুকে কেমন জানি ধুপ করে আওয়াজ হলো। আদি চলে যাচ্ছে বলে তার কেনো জানি কষ্ট হচ্ছে, ভেবেছিল আদি ভালোবাসি বলবে কিন্তু বলেনি। আর মনে হচ্ছে আদি তার কতো বছরের চেনা। আবিরের মতোই আজ শেষে কথাগুলো বলেছিল। আবির ও অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার সময় ঠিক এইভাবে বলে গিয়েছিল। উপমা :জানেন তো আজ আমার কেমন জানি আপনাকে আবিরের মতো লাগছে। মনে হচ্ছে আপনি আবির। আপনি সত্যিই কি আদি নাকি আবির আমি বুঝে উঠতে পারছি না। ধানমন্ডি আমার খেয়াল রেখেছিলেন ঠিক আবির যেভাবে রাখতো।আর আজ চলে যাচ্ছেন নিজের দেশে বলে আমাকে একটু আগে কথাগুলো বললেন আবির ও ঠিক এভাবে বলে অস্ট্রেলিয়া চলে যায়। . আদি প্রথমে হো হো করে হাসলো, আদি :আমি তোমার আবির হতে যাবো কেনো, আমি আদি, আদি রাজ চৌধুরী। আচ্ছা যাই হোক তুমি বাসায় যাও। তারপর উপমা চলে গেল, আদি আজও সাহস করে বলতে পারলো না উপমাকে। তাই চোখ দিয়ে এক ফোটা পানি পরে গেল। উপমাও বাড়িতে ডুকে মেন ডোরের পিছনে লুকিয়ে দেখলো আদি চলে যাচ্ছে। আদি বাসায় যায় ব্যাগ গুছিয়ে নেয়, তখনই অন্তর বলে উঠলো,,, অন্তর :কিরে বলেছিস উপমাকে,, আদি :নাহ………… অন্তর :হোয়াট…… তুই চলে যাচ্ছিস আর যাওয়ার আগে বললি না একটি বার, আদি :বলে কি লাভ ওতো আমাকে পাত্তাই দেয় না, ও আজও আবিরকে পাগলের মতো ভালোবাসে। ওর মনে এতোদিনে একটুও যায়গা করে নিতে পারিনি আমি,,, অন্তর :তাই বলে একটিবার ও ওকে বলে দেখলি না, আদি :থাক বাদদে ও আমার কপালে লিখা থাকলে নিশ্চয়ই হবে। তুই যতোদিন আছিস একটু খেয়াল রাখিস, ও খুব কেয়ারলেস একটা মেয়ে……… আদি তার মা বাবার সাথে চলে যায়,,, মাঝে মধ্যে আদি আর উপমার ফেসবুকে কথা হয় আবার কোনোদিন হয় ও না, এভাবেই দিন কাটতে লাগালো তাদের,,,, . আদিরা :ভাইয়া আসবো,,, আদি :আমার রুমে তুই কোনদিন আবার বলে ডুকেছিস আয়, আদিরা :বলছি আজ তুমি অফিসে গেলেনা যে,, আদি :এমনি ভালো লাগছিল না, আদিরা :তোমায় বাবা আর মামুনি নিচে ডেকেছে তারাতারি আসো,,, আদি :ঠিক আছে তুই যা, আদিরা চলে যায়, আদি ভাবতে থাকে একটু আগেই তো ওর বাবা আর মামুনির সাথে কথা হয়েছিল।এখন আবার কেনো ডাকছে বিয়ে নিয়ে কোনো কথা বলবেন না তো মামুনি ওইদিন এমনিতেই বলেছে বাড়িতে এসে ওর বাবার সাথে কথা বলবে। যদি বিয়ে নিয়ে কথা হয় আদি তো উপমাকে ছাড়া আর কারো সাথে বিয়ে করতে পারবে না। ভয়ে ভয়ে নিচে গেল,,,, উপমা :হ্যাঁ পাপা বলো কেনো ডাকছো আমায়,, উপমার বাবা :বলছি মা তুই বড় হয়েছিস বিএ পড়া শেষ। আমার ইচ্ছে মরার আগে তোকে কারো সাথে সুখী হতে দেখে যাওয়া। উপমা :পাপা তুমি কি বলছো আমি ঠিক বুঝতে পারছি না। ক্লিয়ারলি বলো…………… উপমার বাবা :তোর কাছে কোনোদিন কিছু চাইনি আমি, আজ যে জিনিসটা চাইবো নিশ্চয়ই তুই পিরিয়ে দিবি না মা…………… উপমা :হ্যাঁ বলো পাপা……… . উপমার বাবা :বলছিলাম যে পাপা এখন যা চাহবো তোর কাছে আমার মনে হয় না তুই না করবি। উপমা :কি বলো……. উপমার বাবা উপমার একটা হাত ওনার দুহাতের মুঠোয় নিয়ে,,,, উপমার বাবা :কোন বাবাই না বেচেঁ থাকতে তার সন্তানের সুখ দেখতে চায় ঠিক তেমনি আমি ও তোর একটু সুখে থাকতে দেখার জন্য তোকে বিয়ে দিতে চাই। উপমার মা :আদিকে তুই চিনিসই কতো ভালো একটা ছেলে। আমরা ওর সাথেই তোর বিয়ে ঠিক করছি মামুনি ……… উপমার বাবা :আদি খুবই ভালো একটা ছেলে ও তোকে খুবই সুখী রাখবে দেখিস মা। কোনোদিন কোনো দুঃখ দেখতে দিবে না তোকে। আমি ধানমন্ডিতে তোর উপর সকল খেয়াল তোকে চোখে চোখে রাখা সবই দেখছি আমি ……… আমি দেখেই বুঝেছি ও তোকে ভালোবাসে আর তোকে সবসময় ভালোবাসবে। . উপমা মা -বাবার দিকে তাকিয়ে আছে তারা কতো আশা নিয়ে বলছে উপমা কী মানবে এই বিয়ে। ও কী আজও আবিরকে ভুলতে পেরেছে। মা বাবা দুজনে বলছে আদি নাকি খুব ভালো ছেলে। ও কী আদেও ভালো ছেলে নাকি মানুষের সামনে ভালো থাকার অভিনয় আর অন্যখানে একজন খারাপ লোক। উপমা ওইদিন রাতে ফেসবুকে সেই মেসেজগুলো পাওয়ার পর থেকে আদির জন্য মনে ঘৃনা জন্মেছে। আস্তে আস্তে আদি উপমার মনের মাঝে যায়গা করে নিয়েছিল। উপমাও আদিকে ভালোবাসার একটা চান্স দিয়েছিল। আদি থাইল্যান্ড যাওয়ার পর থেকে ও যে ফেসবুকে কথা বলতো আগে তো কখনো এমন করেনি। এতো খারাপ ভাষায় কথা বলেনি। ওতো বলতো আমি কখনো মেয়েদের সাথে রাত কাটায়নি। আমার সব ভালোবাসা, মন, প্রান আমার ভালোবাসার মানুষটির জন্য তার ভবিষ্যতের বউয়ের জন্য। আদি কি সত্যিই ওই মেসেজ করে উপমার সাথে এমনভাবে কথা বলেছে নাকি অন্য কেউ। উপমার মনে এমন হাজারো প্রশ্ন আসছে,বাবা কতো আশা করে তার কাছে এই বিয়েটা করার উপমার অনুমতি চাইছে। বাবার কাছে উপমা আজ অবধি যা চেয়েছে পেয়েছে, বাবাতো কোনোদিন কিছুই চায়নি তাহলে আজ প্রথম যখন হাসি মুখে বাবা এই বিয়েটি চেয়েছে তখন উপমা রাজি। সে করবে বিয়ে বাবার মুখের এই সুন্দর হাসিটি উদাও হতে দিবে না “না “শব্দটি বলে। . উপমা :হ্যাঁ পাপা, আমি রাজি……… তুমি ভাবলে কি করে তুমি যখন তোমার মেয়ের কাছে এই একটি জিনিস চেয়েছো তা পাবেনা। আমি তো রাজিই (মুখে হাসি রেখে) উপমার বাবা :আলহামদুলিল্লাহ …….. আমার মাটা এই বিয়েতে রাজি……… উপমা :আমি জানি পাপা তোমারা আমাকে কোনো খারাপ লোকের কাছে বিয়ে দিবেনা। আমাকে কোনো মাতালের কাছে বিয়ে দিবেনা। তোমরা একটা তোমাদের পছন্দের বেস্ট বয়ের হাতে তুলে দিবে। যে আমায় খুব ভালোবাসবে, সুখী রাখবে, রাজরানীর মতো রাখবে। উপমার মা :এই তো আমার লক্ষী মামুনি, উপমা একটা হাসি দিয়ে চলে যায় নিজের রুমে……. আদিরা :বাবা ওইতো ভাইয়া এসে গেছে……. আদি :কেনো ডেকেছো বাবা……… আদির মা :তোকে অন্তরের বিয়ের সময় বললাম না বাসায় এসে তোর বিয়ে নিয়ে কথা হবে মনে আছে। আদি :বিয়ে এখন, আমি মামুনি……… আদির বাবা :হইছে বিয়ের কথা শুনলে সবাই লজ্জা পায় পরে ঠিক হয়ে যায় আমাদের বেলায় ও ঠিক এরকমই হইছে। আদির মা :আমি বলছিলাম না আমার একটা পছন্দ করা মেয়ের সাথে তোকে বিয়ে দিবো। মেয়ের মা বাবা এবং মেয়ে রাজি এখন তোর হ্যাঁ বলার পালা বাবু………….. আদি কোথাকার কোন অচেনা অজানা মেয়ের সাথে বিয়ে করতে যাবে, সে তো উপমাকে ভালোবাসে।উপমাকে ছাড়া আর কাউকে বিয়ে করতে পারবে না সে, ও কী মা বাবাকে বলবে একটিবার উপমার কথা…………….. . আদির বাবা :কী এতো ভাবছিস হ্যাঁ ………….. আদি :না বলছিলাম যে মেয়েকে তো আমি দেখিনি। ওকে একটা বার দেখে তারপর বলবো………. আদির মা :মেয়েকে তুই আগেই দেখছিস বাবু,, ও তোর পরিচিত …………. আদি :আমার পরিচয় মানে তাকে চিনি আমি…… নাম কী তার? আদির বাবা :উপমা খান রাফিক খানের একমাত্র মেয়ে। খান ইন্ড্রাস্টির মালিক রাফিক খান বাংলাদেশি……………. আদি :উ…….প………..মা(বলার সময় গলাটা আটকে আসছিল) আদিরা :তুই কী ভেবেছিস ভাইয়া তুই কেবল আসল কথা লুকিয়ে রাখবি। আজ তিনদিন ঠিক মতো খাচ্ছিস না ঘুমাচ্ছিস না সারাক্ষণ মোবাইলে কার ছবি দেখে হাসিস আবার কাঁদিস ও। আদি :তুই এইসব জানিস কীভাবে……. আদিরা :বাংলাদেশ থেকে ব্যাক করার আগে তুই রুমে জামাকাপড় গুচ্ছাছিলি, আমিও তোর কাছে যাচ্ছিলাম। তখন অন্তর ভাইয়ার সাথে যা যা বলেছিস আমি সবই শুনেছি দরজার আড়ালে থেকে,,,, তুই একটা গাদা একবারও আপুকে তোর ভালোবাসার কথা বলেছিস যে সে তোকে কিছু বলবে। ও যদি কিছুই বলতো তাহলে এই বিয়েতে হ্যাঁ বলতো না। আঙ্কেল আন্টি একবার বলেছে আপুকে তোদের বিয়ের কথা আপু হ্যাঁ বলে দিয়েছে। . আদির বাবা :আমাদের বললেও পারতি তুই ওকে ভালোবাসিস, আদিরা না বললে আজকে অন্য একটা মেয়েকে ঠিক করতে গেছিলাম। আদির মা :বিয়ের কথা পাকা, আমরা অন্তরের বিয়ের মতো ওতোসব করতে পারবো না অনুষ্ঠান এখানেই মানে বৌভাত। আর বিয়ের দিন ওখানে আত্মীয় স্বজনদের ইনবাইট করবো। প্রথম দিন এন্গেজমেন্ট তার পরেরদিন বিয়ে ……………… আদি :ঠিক আছে তোমরা যা ভালো মনে করো,, বলেই সিড়ি দিয়ে উপরে উঠে গেল। তারপর ফোন দিলো অন্তরকে………. আদি :হেলো……… নিঝুম :ভাইয়া কী খবর আপনার? আদি :এইতো ভালো, তোমার? নিঝুম :ভালোই। আদি :অন্তর কোথায় ফোনটা একটু ওকে দাও ভাবি………. নিঝুম অনন্তের হাতে ফোন দেয়,,,, অন্তর :কিরে দোস্ত, কী খবর তোর? আদি :এইতো ভালোই তোর,,, অন্তর :হুম ভালোই। আদি :শুননা মা বাবা উপমার সাথে আমার বিয়ে ঠিক করেছে,,, অন্তর :আরে মিষ্টি খাওয়া, তুই নিজের ভালোবাসার মানুষকে পাচ্ছিস……….. আল্লাহ তোর মনের ইচ্ছে পুরন করলো দেখলি,, আদি খুশি হওয়ার কথা যে যায়গায় আজ যে এই বিয়েতে খুশি নয়, সে জানে উপমা মন থেকে এই বিয়ে মানেনি।ওর মা বাবার বলাতে রাজি, আর উপমা হঠাৎই বা তাকে ফোন নাম্বার, ফেসবুক দুটো থেকে ব্লক মারলো…….. . চলবে………………………


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৬৮২ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now