বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন
বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

হাদিসের আলো-১ (ফেরা)

"ইসলামিক" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান নাফিজ আহমেদ (০ পয়েন্ট)

X হাদিসের আলো-১ ফেরা নাফিজ আহমেদ, নিরালা দুপুরে সমস্ত কাজকে উপেক্ষা করে এক নিয়ে আছরের নামাজের উদ্দেশ্য বাড়ি থেকে বাহির হয়েছি। মসজিদে যাওয়ার পথে চায়ের দোকানে দেখি আমার বাল্যকালের বন্ধু ইসরা বসে ধুমপান করছে। বিষয়টা দেখে মনটা খারাপ হয়ে গেল। প্রায়ই দেখে ইসরা এলোপাতাড়ি ঘুরাফেরা করে মুসলিম হয়েও যেন ইসলামের কোন বিধান মানতে চায়না। নাহ! এভাবে আর চলতে দেওয়া যায় যেভাবেই হোক ইসলামের দাওয়াত ওর কাছে পৌঁছাতেই হবে। যেই ভাবনা সেই কাজ ধীরে ধীরে ইসরার দিকে অগ্রসর হচ্ছি। ওর কাছে যাওয়ার সাথে সাথে আমাকে দেখে সিগারেট ফেলে দিলো। আমি ওকে জিজ্ঞাসা করছি কি'রে বন্ধু নামাজ পড়তে যাবিনা? আজান হয়ে গেছে তো। ও হতভম্ব হয়ে আমাকে বলল পোশাকে সমস্যা আছে এখন তুই যা আমি কালকে থেকে নামাজ পরবানে। আমি বললাম আচ্ছা ঠিক আছে তাহলে একটা কথা দে। কি? আমি নামাজ পড়ে আসার পর দুইজনে একটু ঘুরতে যাব। ইসরা বলল ঠিক আছে। কিছুক্ষণ পর আমি নামাজ শেষ করে ওকে নিয়ে নিরব পরিবেশে চলে আসলাম। আর ওর সাথে ইসলাম সম্পর্কে নানান রকমের কথা বলতে শুরু করলাম। পাতা ঝরা স্নিগ্ধ বিকেলে দুই বন্ধু মিলে গল্প করছি। আমি বলছি বন্ধু তুই এখন প্রাপ্ত বয়স্ক এর পরও আল্লাহর আদেশ নিষেধ মোতাবেক চলছিস না কেন? ও লাজুক কন্ঠে বলল আসলে দোছ আমি জীবনে যে গোনাহ করেছি তা আল্লাহ কখনো ক্ষমা করবে না এইজন্য ভাবি আল্লাহ তো জাহান্নামই দিবে তাহলে আর কষ্ট করে তার ইবাদত করার কি দরকার! আমি ইসরার কথা শ্রবণ করে বিস্ময়ে বিমূঢ় হয়ে ওকে বলল এটা কি বললি তুই! তুই কি জানিস না আল্লাহ আল গাফফার? মানে(ও বলল)? গাফফার মানে হলো যিনি তাঁর বান্দা দের সমস্ত পাপ ক্ষমা করতেই থাকে। তাছাড়া আমাদের নবী সঃ বলেছেনঃ রূহ কন্ঠাগত না হওয়া (মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্ত) পর্যন্ত আল্লাহ তা’আলা বান্দার তাওবাহ্‌ ক্ববূল করেন।(ইবনু মাজাহঃ ৪২৫৩) সুতরাং মানুষের মৃত্যুর আগে পর্যন্ত সে যত পাপই করুক আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলে অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা বান্দাকে ক্ষমা করবেন। তাই বলছি ইসরা তুই যত পাপ করেছিস সেটা তুই আর আল্লাহ জানে। দেরি না করে যতদ্রুত সম্ভব আল্লাহ তায়ালা কাছে অনুতপ্ত হয়ে ফিরে আয় দেখবি আল্লাহ তায়ালা তোর উপর সবথেকে বেশি আনন্দিত হবেন। কেননা নবী করিম সঃ বলেছেনঃ তোমাদের কেউ তার হারানো মাল ফিরে পেলে যতটা আনন্দিত হয়, তোমাদের কারো তাওবায় (ক্ষমা প্রার্থনায়) আল্লাহ তা’আলা তার চাইতে বেশি আনন্দিত হয়। (ইবনু মাজাহ ৪২৪৭)। আমার কথা গুলো শ্রবণ করার পর অবলোকন করলাম ইসরার চোখ দিয়ে পানি ঝরছে। উপলব্ধি করলাম হয়তো ও নিজের ভুল বুঝতে পারছে। আমি ওকে বললাম বন্ধু শয়তান আমাদের সবসময় ধোঁকা দেয় শয়তান আমাদেরকে বুঝাতে চাই যে তুই যে পাপ করেছিস তাতে আল্লাহ তোকে কখনোই ক্ষমা করবে না। কিন্তু আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ তবে যে ব্যক্তি জুলুম করার পর তাওবা করবে এবং নিজের সংশোধন করে নেবে, আল্লাহর অনুগ্রহের দৃষ্টি আবার তার দিকে ফিরে আসবে।(সুরা মায়িদা ৩৯) ইসরা আমাকে বলল অনেক হয়েছে দোস্ত আর না আমি আজ থেকেই আল্লাহর ইবাদত করব এবং তাকেই মনে চলব। আজ মাগরিব থেকেই নামাজ আদায় করব আর আল্লাহর কাছে তাওবা করব। আমি বললাম বন্ধু আল্লাহ তোর পেছনের সমস্ত গোনা ক্ষমা করে দিক আর তোর ফেরাকে যেন কবুল করে নেয়। অবশেষে আমার শেষ বিকালের ডুবন্ত সূর্য দেখতে দেখতে চলে আসলাম আপন গন্তব্যে।


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ২০৯৭৯ জন


এ জাতীয় গল্প

→ হাদিসের আলো-১ (ফেরা)

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now