বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন
বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

“ডাটা প্যাকের ভালোবাসা”

"মজার গল্প" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান মোহাম্মদ শাহজামান শুভ (০ পয়েন্ট)

X লেখকঃ মোহাম্মদ শাহজামান শুভ। এক দুপুর, শহরের এক ছোট্ট কফি শপের ভেতরে রোদ যেমন ঝলমল করছে, ঠিক তেমনি প্রেমিক-প্রেমিকার চোখে ঝলমল ধরা দিয়েছে হাসির আলো। রুমে বেশ চমক লাগছিল। চারপাশে চা-সিগারেটের ধোঁয়া নেই, শুধু মৃদু হালকা সঙ্গীত এবং কফির গরম সুবাস। প্রেমিকা আরিফাকে একেবারে গম্ভীর চেহারায় তাকিয়ে বলল, — আমি কি তোমার জীবনের ওয়াই-ফাই? প্রেমিক, যে মুহূর্তেই ফোনে ভাঁজে ব্যস্ত ছিল, হঠাৎ হেসে উঠে বলল— — না না, তুমি আমার ডাটা প্যাক! প্রেমিকার চোখ চড়কগাছ হয়ে গেল। সে ভাবল, “ওহ্, এটাও কি নতুন প্রেমের সংজ্ঞা? ওর কি মানে বুঝতে হবে?” — মানে? — সে অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল। প্রেমিক, যে একেবারেই স্যারকার্য্য ওয়াই-ফাই এবং মোবাইল প্ল্যান নিয়ে ধারাবাহিক জ্ঞান রাখে, ব্যাখ্যা করতে করতে মুখে হাসি আনল— — মানে তুমি ছাড়া আমার জীবন চলে না। তুমি থাকলে, ব্যালেন্স সব শেষ। প্রেমিকা প্রথমে হেসে উঠল। তারপর থামল, চোখে চঞ্চলতা আর লজ্জার খেলা শুরু হলো। — ওরে বাবা, তাহলে আমি কি তোমার জীবনকে ‘ডাউনলোড স্পিড’ দিই? — ঠিক তাই! — প্রেমিক বলল, — তুমি থাকলে জীবনটা দ্রুত চলে। আর থাক না, ব্যালেন্স বাঁচে। সেই থেকে তারা দুজনের প্রেম ধীরে ধীরে ডাটা স্পিডের মতো বেড়ে চলল। সকালে প্রেমিকা ফোনে জিজ্ঞেস করত, — তুমি কি ব্যালেন্স শেষ করেছ? প্রেমিক তখন হেসে উত্তর দিত, — না, আজকে তোমার হাসির ব্যান্ডউইথ নিয়েছি। তোমার হাসি আমার ডাটা প্যাক ভরে দিয়েছে। দুজনই হেসে ফেলত। তাদের বন্ধুত্ব আর প্রেম কফির কাপের গরম, প্যাটার্ন-সেল ফোনের সিগনালে ভেসে যেত। একদিন প্রেমিকা নতুন আইডিয়ায় এল— — শুনো, তুমি যদি আমার ডাটা প্যাক হও, তবে তোমাকে ব্যালেন্স করতে হবে না। প্রেমিক হেসে বলল, — ওহ্, তাহলে তো সারাজীবন আমি তোমার প্যাকের সদস্যই থাকব। কফি শপের মানুষজন তাদের দিকে তাকিয়ে হেসে বলত— “দেখো, প্রেমও আজকাল ডাটা প্যাকের মতো। যদি ভালোবাসা থাকে, ব্যালেন্স শেষ হোক বা না হোক, মজা তো হয়ই।” প্রেমিক আর প্রেমিকা একসাথে বসে ফোনে ব্যালেন্স চেক করার অভিনয় করত। কেউ কাছে এলে প্রেমিক বলে— — দেখো, মেয়েটা আমার ব্যান্ডউইথের জন্য। প্রেমিকার চোখে হালকা রং খেলত, সে জানত—এটা হাস্যরস আর ভালোবাসার এক মিশ্রণ। এমন হাসি, এমন ঠাট্টা, জীবনের ধীরগতি ঘুরিয়ে দেয় দ্রুতগতিতে। এভাবে তারা দুজনের সম্পর্ক ডাটা প্যাকের মতো ঘন হয়ে গেল। বন্ধুদের কাছে গল্প ছড়িয়ে গেল। কেউ কেউ বলল— — দেখো, আজকাল প্রেমও প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু হাসি আর ভালোবাসা অপরিবর্তনীয়। একদিন প্রেমিক ঠিক করল— — যদি তুমি আমার ডাটা প্যাক হও, তবে সারাজীবন আমি সব ব্যালেন্স শেষ করব, কিন্তু মজা করে শেষ করব। প্রেমিকা হেসে বলল— — আর তুমি যদি ওয়াই-ফাই হতেই চাও, তবে আমাকে চিরদিন সংযোগে রাখবে।


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৬ জন


এ জাতীয় গল্প

→ “ডাটা প্যাকের ভালোবাসা”

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now