বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

ছেলে আমার মেয়ে তোমার

"রোম্যান্টিক" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান রায়হান আহমেদ (০ পয়েন্ট)

X সৈকত শুয়ে শুয়ে ভাবছে কাল সে মেয়ে দেখতে যাবে কি না। বিয়ে-টিয়েতে সৈকতের কোন আগ্রহ নেই বললেই চলে। এর অবশ্য তুলে ধরার মতো অনেক কারন'ও আছে। আবার সে আবার ভাবছে অপর দিক থেকে যে যদি সে কাল মেয়ে দেখতে না যায় তো অনেক কিছু শুনতে হবে। বিয়ে তো সে করবেনা তাহলে শুধু শুধু মেয়ে দেখতে যাবে কেন? বিয়ে না করার অনেক অজুহাত'ও আছে। এ ভেবে সে মেয়ে দেখতে যায়। কোনমতে মেয়ে দেখেই সে চলে আসে জরুরি এক কাজ পড়ে গিয়েছে বলে। কিন্তু আজব ব্যাপার হচ্ছে। মেয়েটার মুখটা বারবার চোখে ভাসছে। সৈকত ভাবে যে এটা স্বাভাবিক ব্যাপার। আবার বাড়ি এসে মা বলেছে মেয়েকে তো সবার পছন্দ হয়েছে তুর কি মতামত? এ প্রশ্নের জবাবে সৈকত ভেবে বলেছে যে তাঁর কিছু সময় দরকার। যেহেতু সারা জীবনের ব্যাপার তাই সবাই রাজি হয়। তারপর ফোনে তাঁদের টেক্সটে'ই কথা শুরু হয়। কয়েকদিন পর সৈকত ভাবলো ফোনে কথা বললে সমস্যা কি? তারপর ফোনে একমিনিট দুমিনিট করে করে আস্তে আস্তে অনেক কথা-বার্তা'ই হয় তাঁদের মধ্যে। প্রায় তিনমাস এভাবে যাবার পরও সৈকতের বিয়ে করার ভয়। না ও বলতে পারছেনা আবার হ্যা বলতেও কিরকম অসস্থিবোধ করছে। সব ভাবনা ঝেড়ে ফেলে রাজি হয়ে যায় সৈকত। সৈকতকে সনসময় ভাবায় যে সে কি পরাধীন জগতে পা রাখতে যাচ্ছে? বাবার ব্যাবসায় এখনো হাত লাগায়নি। এরকম সময় কি বিয়ে করা উচিৎ? সৈকতের মনে ক্রমে ক্রমে প্রশ্ন বাড়তেই থাকে। কিছু করারও নেই হ্যা বলে দিয়েছে। কাঙ্ক্ষিত সেই দিন এলো। হৈচৈ হলো। কিছুমাত্র মিষ্টি ঝগড়াও হলো। কতো যে দায়িত্ব হবে বিয়ের পর তা বুঝতে পারছে সৈকত বিয়ের দিনেই। এখনকার সময়ে মুসলমানদের বিয়েতে প্রায় হিন্দুদের সব ধরনের এটা ওটা মানা হয়। হয়তো অভিন্নভাবে তবে অনেক কিছুই হয়। একরকম রীতিনীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে এসব ব্যাপারগুলো। সব ব্যাপার ছাড়িয়ে বিয়ের সব কিছু সম্পূর্ণ হলো। তবে বাসর রাত'টা মনে হয় বাঁকি রয়ে গিয়েছে। বাহিরে দাঁড়িয়ে বন্ধুদের সাথে গল্প স্বল্প ফাইযলামু করে শেষ হওয়ার পর তো তাঁর বাসর ঘরে যেতেই হবে। ভাবনায় ভরপুর মাথা নিয়ে বাসরর ঘরে গেলো সৈকত। দরোজা বন্ধ করে দিলো। জারা মাথা থেকে বিছানা পর্যন্ত এক বড় ঘোমটা দিয়ে বসে আছে। সৈকত গিয়ে পাশে বসেই বলে, অনেক রাত হয়েছে ঘুমিয়ে পড়ুন। সৈকতের কথা শুনে জারার অনেক রাগ হয়েছে। একটাবার ঘোমটা সরিয়ে মুখটাও দেখার চেষ্টা করলোনা। এতো সাজ কার জন্য তাহলে? কিসের জন্যে? এখানে আবার মুখের উপর কিছু বলাটাও তো ঠিক হবেনা। সৈকত শুয়ে শুয়ে ভাবে। বিয়ে করা বউটার মুখটা পর্যন্ত না দেখে শুয়ে পড়েছি। এটা কি ঠিক হলো। জারা কি ভাবছে? এসব ভেবে আবার রুমের লাইট অন করলো। কি ভেবে আবার অফ করে শুয়ে পড়লো। জারা ভাবছে "আমাকে কি উনার পছন্দ হয়নি? নাকি বিয়েতেই এলার্জি?, " দুজনেই ঘুমের দেশে হারিয়ে যায়। রাতরজনী শেষ হলো। সৈকতের ঘুম ভাঙ্গলে দেখতে পায় জারা চুল আঁচরাচ্ছে। প্রথম জারাকে এভাবে দেখছে সৈকত। ভাবছে মেয়েটা তো তাঁর বিয়ে করা বউ। যদি সে পাশে যায় তাহলে কি ভুল করবে? সব আজব চিন্তা তাই না? জারা বুঝতে পেরে লজ্জাই উঠে গিয়ে অন্য রুমে চলে যায়। বাহিরে সবাই নাস্তা করার জন্য তৈরি হচ্ছে। আজ থেকে মনে হয় সৈকতের বেলা- দুইপ্রহর ঘুমানো হবেনা। যদিও খুব বেশি সকালও করেনা সৈকত। সব স্বাভাবিকভাবে চলছিলো। অভিন্য ব্যাপার শুধু সৈকতের মাঝে। অপ্রয়োজনীয় দূরে থাক প্রয়োজনেও কথা বলেনা জারার সাথে সৈকত। বললেও খুব কম। তার উপর আপনি করে বলে। একদিন জারা জিজ্ঞেস করলো, . আচ্ছা আমি কি আপনার থেকে বড় হই? . নাহ তো কেন? . তাহলে আপনি করে বলেন কেন? তাও আবার আমি আপনার বউ। . আপনি ডাকার ব্যাপারে ছোট বড় কোন কথা নেই। আর বউ বলেই যে তুমি করে বলতে হবে এটা কোথাও লেখা নেই। . মানে কি? আপনি আপনি ডাকা ছাড়বেন না? . সময়য়ের সাথে সব পরিবর্তন হয়। . একটা কথা বলুন তো, আপনার কি আমাকে পছন্দ হয়নি? . উত্তর'টা হ্যা বা না'র মাধ্যমে দেয়া যাবেনা বুঝে নিতে হবে। . একটা কথাও না প্যাঁচিয়ে বলতে পারেন না। . আপনিও তো ঘোমটা'ও মাথায় না দিতে ভুলেন না। . কিসের সাথে কি যোগ করছেন। আচ্ছা আপনি থাকেন আমি যাই। . রাগ করেননি কেন এখনো? . রাগ করবো কেন? . আপনাকে রাগলে কিরকম লাগে দেখতেই তো সব আজব কথা বলছি.. । . রাগলে কিরকম লাগবে এটা দেখার অতো শখ কেন? . এমনিই কিছুনা। এরই মধ্যে সৈকত বাবার ব্যাবসায় যোগ দেয়। প্রতিদিন অফিস যেতে হয়। একটু না পুরোটাই আলাদা জীবন। সকালে উঠো, প্রস্তুত হও, অফিসে যাও, হাজারো ফাইল দেখো, সৈকত অফিসে বসে আছে। মধ্যসময় জারার ফোন, . জারা বেগম বলেন। . লাঞ্চের টাইম হয়নি? . হয়েছে মনে হয় কেন? . কেন আবার লাঞ্চ মাথায় দিবেন। . আচ্ছা আমি সময় মতো মাথায় দিয়ে দিবো। আপনিও সময় মতো দিয়ে দিবেন। . ঠিকাছে রাখছি। মেয়েটা তার স্বামীর খেয়াল রাখতে বিন্দু মাত্র ভুল করেনা। কিন্তু সৈকতের দিক থেকে একটু আপত্তি থাকবে জারার কাছে এটা স্বাভাবিক। ভালোবাসার থেকে বেশি মনে হয় অভিমানটাই কাজ করছে। কেন জানেনা সৈকত। একবার সৈকত একটা চিরকুটে লিখলো "তোমার কপালে টিপ দিলে মনে হয় তোমাকে পৃথিবীর একমাত্র বাস্তব পরী লাগতো" চিরকুট'টা জারা'র বালিশের নিচে রেখে দেয়। দুদিন পার হয়ে গিয়েছে জারা খেয়াল করেনি। সৈকত তাই অফিস থেকে ফোন দিয়ে বলে, জারা বেগম আপনার বালিশ'টা ময়লা হয়ে গিয়েছে। কথাতে যে রহস্য আছে জারা ঠিকিই বুঝতে পেরেছে। নাহয় শুধু বালিশের কথা কেন বলবে? জারা গিয়ে বালিশের তলে চিরকুট'টা পায়। একরাশ আগ্রহ নিয়ে চিরকুট'টা খুললো। লেখাটা পড়ে জারা যেন কিরকম হয়ে গিয়েছে মুহুর্তেই। বারবার আয়নার সামনে যায় আর আসে। টিপ দিয়ে দেখতে কিরকম লাগে। কিন্তু টিপ তো নেই। আর কোনদিন জারা টিপ দেয়নি'ও। সৈকতকে ফোন দেয়, . বেগম সাহেবা বলেন। . আসলে আমার তো টিপ নেই। . তো আমি কি করবো? . কি করবেন মানে? টিপ.....। . ফোন রাখছি আসতে একটু দেরি হবে আজ। বলে সৈকত ফোনটা কেটে দিলো। আসার সময় অনেকগুলো টিপ আর গোলাপ কিনে আনে। কিন্তু দিতে পারছেনা। ঐ পুরোনো পদ্বতী বালিশের নিচে রাখা। এভাবে একদিন দুইদিন করে প্রতিদিন কিছু না কিছু রাখতো সৈকত জারার বালিশের নিচে। প্রতিদিন জারা বালিশের নিচ'টা চেক করতো। কখনো চিরকুট, কখনো ছোট গোলাপ, কখনো কানের দুল, কিছু না কিছু রাখতোই সৈকত। জারা ভাবতে থাকে। আমিও তো কিছু রাখতে পারি উনার বালিশের নিচে। তাঁরপর থেকে থেকে জারাও চিরকুট রাখে। সব কথা তো প্রায় চিরকুটেই হয়। তারপর একসাথে চাঁদ দেখা, দুজন এক প্লেটে খাওয়া, এক বালিশে ঘুমানো, এগুলো প্রতিদিনের রুটিন হয়ে যায়। যত দিন যায় মনে হয় আরো নতুন করে প্রেমে পড়ছে দুজনেই। মিটে না দেখার স্বাদ, উভয়দিক থেকে'ই। তবুও যেন কিছু না পাওয়া যায়। এখনো সৈকত জারার গায়ে হাত দেয়নি ঐভেবে। এটা কি অবাক করা বিষয়? সৈকতের কাছে অবাক করা বিষয় নয়। জারা মনে মনে বলে, " আমাকে তো টাই টা বাঁধার জন্য হলেও ডাকতে পারে নাকি? আমি কিভাবে নিজ থেকেই যাই? আমার বুঝি লজ্জা করেনা? একদিন সৈকত বাহানা নয় সত্যি সত্যি'ই টাই খুঁজে পাচ্ছেনা। কিভাবে পাবে জারা যে লুকিয়ে রেখেছে সৈকতের কাছে আসবে বলে। একটু বাহানা করে সৈকতের বুকের গন্ধ'টা একটু অনুভব করবে। এটা কি পাপ হবে? না ভুল? সৈকত অল্প খুঁজার চেষ্টা করে আবার ভাবে বউটা নাহয় আজ খুঁজে দিলো। সৈকত জারা কে ডাক দিলো, . জারা, এদিকে একটু আসবে? ডাক শুনতে পেয়ে জারা আসলো পাশের কক্ষ থেকে। . কি হয়েছে? . আমার টাই'টা দেখেছো? এখানেই তো রেখেছিলাম। জারা পাশ থেকে টাই'টা বের করল। সৈকত ভালো করে বুঝতে পারলো এটা জারা'ই রেখেছে এখানে। এর সারমর্ম'ও সৈকতের বুঝতে অসুবিধে হলোনা। সব চিন্তা দূরে ফেলে দিয়ে জারার কোমড়'টা ধরে কাছে টানলো। জারা অবাকসহ লজ্জা পেয়ে নিচের দিকে মাথা'টা নত করলো। কিছুমাত্র দূরে যাওয়ার অভিনয় করতে ভুললোনা জারা। সৈকত নরম কণ্ঠে বললো, . শোন,, ধরো আজ থেকে আমার নিজের হাতে টাই'টা পড়া নিষেধ। তখন কি তুমি আমার টাই'টা পড়িয়ে দিবে? জারা লজ্জাসহ হালকা মুচকি হেসে বললো, . এই আইন'টা আরো আগে ধার্য করা উচিৎ ছিলো। . তাই? আমি তো অন্যকিছু ভেবেছিলাম। . অন্যকিছু ভাবা'টা ছেড়ে দিন। সৈকত জারা'কে আরো কাছে টেনে কপালে একটি ভালবাসার সিক্ত আকাশ অনুভূতি নিয়ে চুমু দিলো। জারার দু-চোখ বন্ধ হয়ে গিয়েছে সৈকতের ছোঁয়াতে। এই প্রথম সেই অনুভূতি যা আগে কখনো সে পায়নি। কিছুদিন পর জারা আর সৈকত জারার বাবার বাড়িতে যায়। সেখান'টা গ্রাম। ফসলের ক্ষেত আর সবুজের পর সবুজ। সৈকতকে যেন নতুন প্রাণ ফিরিয়ে দিয়েছে। কারণ সৈকত সেই ছোট বেলা গ্রাম ত্যাগ করেছে। এখন গ্রামের বাড়িতে কিছুই নেই। সব বিক্রি করেই বাবা ব্যাবসা শুরু করেছিলেন শহরে এসে। সৈকতের ছোটকালের কথা মনে পড়ে যায়। চোখের কোণে জমে থাকা বৃষ্টি'ই বলে দেয়। ছোটকাল কতোই না ভালো ছিলো। এখন কোনো কিছুর বিনিময়ে'ও আর ফিরে পাওয়া যাবেনা। জারা সৈকতকে দেখায়, কোথায় বসে পড়তো, কোথায় খেলতে যেতো, মন খারাপ করলে কোথায় গেলে মন ভালো হতো, পুরোনো কিছু ডাইরি'র পাতা, পুরোনো কিছু এলবাম, পুরোনো কিছু না বলা গল্প। নদীর পাড়ে যায় দুজনে। মধুর হাওয়া, শান্ত কিছু জায়গা দুজনে হাত ধরে হাঁটা। যেখানে গেলে মন ভালো না হয়ে উপায় নেই। রাতে তাঁরা চাঁদ দেখছে পুকুরপাড়ে বসে। সৈকতের কাঁধে জারার মাথা। দুজনে এক হাতের মুঠোয় বন্ধি। সৈকত বলে, . আচ্ছা আবার কবে এখানটায় আসা হবে? . যখন আপনি চাইবেন। গ্রামটা ভালো লাগেনি? . হ্যা খুব। আরেকবার আসলে আমাদের দুজনের মাঝখানটাই একটা সোনামণি থাকবে কি বলো? . নাহ আমি ঘুম পাড়িয়ে দিয়ে আসবো। ভয় পাবে তো। দেখছেন না কতো আঁধার। . কি বলো ভয় পাবে নাকি? পাবেনা। সোনামণির এক হাত আমার গলায় অন্যটা তোমার গলায় থাকবে। . আল্লাহ আপনার ভাবনার নাগাল একটু কমান। এক বছরে দাঁড়াতে পারবে নাকি? আর এখনো তো সোনামণি উপর ওয়ালার কাছেই আছে। . হ্যা তাও তো কথা। কেটে যায় তাঁদের বিয়ের নববছর। রাগ , অভিমান, মিষ্টি ঝগড়া, খুনসুটি আর হাজারো ভালবাসার মুহুর্তে। জারা অন্তস্বত্তা। সুখের স্বর্গ যেন আরো প্রখরভাবে তাঁদের সংসারে ধরা দিয়েছে। সৈকত প্রতিদিন জারার পেটের উপর কান দিয়ে সোনামণির সাথে কথা বলে। জারা হাসে আর ভাবে এতো ভালবাসা তাঁর কপালে ছিলো? মেয়েদের আর কি চায়? স্বামীরর সংসার, স্বামীর ভালবাসা, এসব কিছুই জারার না পাওয়া রয়নি। এসব ভেবে জারার চোখের কোণে একরাশ সুখের জল টলমল করছে। সৈকত দেখে? . কি হয়েছে? তোমার চোখে পানি? . নাহ কিছুনা। জারা সৈকতের দিকে অপলকে তাঁকিয়ে আছে। সৈকত দেখে জারার আঁচল দিয়েই জারার চোখের পানি মুছে দিলো। . কি দেখছো এভাবে? . আমার পৃথিবীটাকে। . তাই? আমি তো ভীষন লজ্জা পেয়েছি। ঘুমাও তো এখন। এখন রাত জাগা একদম উচিৎ না। অনেক সময় এমনিতেই পাড় হয়ে গিয়েছে। জারা সৈকতের বুকে মাথা রেখে রজনী পার করবে। . ৭ বছর পর . সাদমান'কে (সোনামণি) রেডি করতেছে জারা। স্কুলে যাবে। আজ আবার তাঁর পরিক্ষা। কিন্তু ছেলেটা অনেক বেশিই দুষ্টু। বাবা যদি শার্ট না পড়িয়ে দেয় তো সে স্কুলে যাবে নাহয় বাবার সাথে অফিসে যাবে। যথারীতি সৈকত ছেলেকে শার্ট পড়িয়ে স্কুলে নামিয়ে দিয়ে অফিসে যায় । জারা খুব চিন্তায় আছে। ছেলেটা না জানি কি পরিক্ষা দিচ্ছে। টেনশনে সৈকতকে ফোন দেয়, . সাদমানাম্মু বলো। . কি বলবো? সাদমান যদি পরিক্ষায় খারাপ করে তো সব দোষ আপনার। . কেন? আমার একার কেন হবে? . সারাদিন ছেলেকে নিয়ে গেমস তো আমি খেলিনি। . এখন সব দোষ আমার হলো?? . হ্যা সব আপনার। খবর আছে যদি পরিক্ষারর রেজাল্ট খারাপ আসে। বাপ-বেটা দুজনেরই। . কি খবর করবা তুমি হুম? তোমাকে বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দিবো। . হুহ, আমি গেলে সাদমান কি তোমার কাছে থাকবে নাকি? . আচ্ছা তাই নাকি দেখা যাবে। সাদমান সবসময় আব্বু আব্বু করে বলে জারার খুব জেলাস হয়। মা এতো আদোর করে তবুও সব কথা বাপের সাথেই শেয়ার করে। মা'কে কিচ্ছু বলেনা। এজন্য সৈকতের উপদেশ হলো, " হয় আরেকটা সোনামণি দাও, মেয়ে হবে আর মেয়েরা তো বাবার পাগল থেকে। তখন সাদমান তোমার পাগল হবে " হাহা সব আজব ব্যাপার। তখন নাহয় মেয়ে আমার ছেলে তোমার। ঠিকই পরের সোনামণি মেয়ে হলো। কিন্তু হীতে বিপরীতে হলো। মেয়ে হলো মার পাগল, আর ছেলে বাবার।


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৭৪৯ জন


এ জাতীয় গল্প

→ ছেলে আমার মেয়ে তোমার (সুমু)

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
  • রায়হান আহমেদ
    Golpobuzz ৭ বছর, ৩ মাস পুর্বে
    tnx frd #mimi #arif #tayaba

  • Tayaba Islam
    User ৭ বছর, ৩ মাস পুর্বে
    Cute luv stry.. gj)))

  • Arif
    User ৭ বছর, ৩ মাস পুর্বে
    Tns

  • mimi
    Guest ৭ বছর, ৩ মাস পুর্বে
    Nice story