বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

প্লটঃ ৭১ (পর্ব ২)

"যুদ্ধের গল্প" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান রিয়েন সরকার (০ পয়েন্ট)

X “তোমার কি ধারণা, ইন্সপিরেশন শুধু কবিদের লাগে?” “না” “Every person needs a muse in his life.” “হয়ত” ক্লার্ক শরিফার ঠোঁটের দিকে গাঢ় দৃষ্টি দিয়ে বলল, “তুমি কি এটা ইচ্ছে করে করছো?” “কী?” “তোমার ঠোঁটের উপর মিল্ক ফোম লেগে আছে। ডোন্ট ডু দিজ। আমাকে পক্ষে নিজেকে সংযত রাখা খুবই কঠিন হয়ে যাচ্ছে” শরিফা টিস্যু দিয়ে মুখ মুছলো। শরিফা বলল, “আমি খুবই আনকমফোর্টেবল ফিল করছি” “স্যরি। আসলে I’m very much attracted to you.” “আমরা কি অন্য কোন ব্যাপারে কথা বলতে পারি না?” “হুম, পারি” “তোমার রিসার্চ সম্পর্কে বলো” “অনেক কমপ্লেক্স” “এক্সপ্লেইন করে বলো” “কমপক্ষে ৪-৫ঘন্টা লাগবে এক্সপ্লেইন করতে। Why don’t you come to my place?” “এখন?” “যদি তুমি আনকমফোর্টেবল ফিল না করো” “ওকে” ক্যাবে উঠলো ক্লার্ক ও শরিফা। ক্লার্ক বলতে লাগলো, “তুমি টাইম- ট্রেভেলের উপর মুভি দেখেছো?” “হুম। প্রচুর দেখেছি” “অনেকটা সেরকম” “আর ইউ কিডিং?” “নো” “তুমি টাইম-মেশিন আবিস্কারের চেষ্টা করছো?” “Did I mention “time-machine”?” “টাইম-ট্রেভেল বলেছো। টাইম-মেশিন ছাড়া কিভাবে পসিবল?” “তুমি ‘সমাধি’ সম্পর্কে শুনেছো?” “কবর?” “‘সমাধি’ ইয়োগা” “না” “সমাধি হল super-conscious state of mind. Meditationএর সর্বোচ্চ পর্যায়, যখন আত্মা দেহ থেকে বেরিয়ে যায় এবং আবার দেহে ফিরে আসে” “হোয়াট?” “ইয়াপ” “ইউ বিলিভ ইন দোজ থিংস?” “না। আমি এক্সপেরিমেন্ট করছি” “কী রকম এক্সপেরিমেন্ট?” এমন সময় ক্যাব এসে থামলো ক্লার্কের বাসার সামনে। ক্লার্ক বলল, “পৌঁছে গেছি। দিজ ইজ মাই প্লেস” এপার্টমেন্ট ঢুকেই শরিফা দেখলো, সব কিছুই একদম অগোছালো। জিনিয়াসরা এমনই হয় বোধহয়। শরিফা এমনটাই এক্সপেক্ট করেছিল। ক্লার্কের পিছু পিছু ক্লার্কের বেডরুমে গেল শরিফা। ক্লার্ক বেডরুমের দরজা লাগিয়ে দিল। শরিফা বলল, “এটা তো তোমার ল্যাব নয়, তাই না?” “হুম” বলে শরিফার দিকে এগিয়ে গেল ক্লার্ক। শরিফা দুষ্টহাসি দিয়ে বলল, “তোমার ল্যাব দেখাবে না?” “I’m not in the mood. ল্যাব পরেও দেখানো যাবে” বলেই শরিফাকে ধাক্কা দিয়ে বিছানায় ফেলে দিল। শরিফা বলল, “কী করছো তুমি?” “What I had been fantasizing from the first time I met you.” রাত ৪টার দিকে শরিফার ঘুম ভাঙল। সে বিছানায় ক্লার্ককে দেখলো না। ফ্লোরে তাকিয়ে দেখলো, শুধু শরিফার নিজের জামা-কাপড় পড়ে আছে। বিছানার চাদরটা গায়ে কোনরকম জড়িয়ে ক্লার্ককে খুঁজতে লাগলো শরিফা। ক্লার্কের এপার্টমেন্টটা বেশ বড়। খুঁজতে খুঁজতে ক্লার্কের ল্যাবে ঢুকল শরিফা। দেখল, ক্লার্ক ল্যাবের কম্পিউটারের সামনে বসে আছে। শরিফাকে দেখে মৃদু হাসল ক্লার্ক। শরিফা বলল, “তোমার ল্যাব তো অনেক বড়” ক্লার্ক বলল, “আরো বড় করার ইচ্ছে আছে। থ্যাঙ্ক ইউ” “থ্যাঙ্কস কেন?” “আমাকে ইন্সপিরেশন দেয়ার জন্য” “একরাতেই ইন্সপিরেশন পেয়ে গেলে?” “আশা করছি, সামনের রাতগুলোতেও পাবো” “তুমি কিছু একটা পরে এসো। নইলে আমার আরো ইন্সপিরেশন নিতে ইচ্ছে করবে” শরিফা হেসে বলল, “আমি তো বাঁধা দিচ্ছি না”। তারপর মিনিটবাদেই লাল ড্রেসটা পরে এল। এসে বলল, “তোমার এক্সপেরিমেন্ট নিয়ে বলছিলে” “কোথায় ছিলাম?” “সমাধি হল super-conscious state-” “হুম। হিন্দু যোগীরা ধ্যানের সর্বোচ্চ লেভেলকেই সমাধি বলে থাকে, যখন আত্মা দেহ থেকে বের হয়ে যায়। আমি অনেকগুলো সিডেটিভ, হিপ্নোটিক, মাসল রিল্যাক্সান্ট, অ্যানেস্থেটিক ড্রাগ ও ডিফরেন্ট হারবাল থেকে একটা ড্রাগ কম্পোজিশন প্রিপেয়ার করেছি, যার মাধ্যমে আমরা deep sleepকে induce করি, যা অনেকটা সমাধির মত। তোমার শরীর প্রেজেন্টেই থাকবে, body reflex অর্থাৎ knee jerk, ankle jerk ইত্যাদি থাকবে কিন্তু কোন রেসপন্স থাকবে না, একটা coma-like state. স্লিপের ২টা ধরণ আছে। একটা হল REM স্লিপ অর্থাৎ Rapid Eye movement Sleep। REM স্লিপের স্বপ্নই মানুষ মনে রাখতে পারে। আরেকটা হল Non-REM বা Slow wave Sleep, যেটাকে ড্রীমলেস স্লিপও বলা হয় কারণ এই স্লিপের স্বপ্নগুলো মানুষের মনে থাকে না। নরমাল মানুষের ব্রেনের ইলেক্ট্রোএনকেফা লোগ্রাম (Electroencephalogram)-এ ঘুমানোর আগে আলফা, বিটা এবং স্লো ওয়েভ ঘুমের সময় ঠিটা, ডেল্টা ব্রেন ওয়েভ পাওয়া যায়। আর REM স্লিপের ব্রেন ওয়েভ ইরেগুলার ও হাই ফ্রিকোয়েন্সির হয়ে থাকে। সেজন্য REM স্লিপকে Dysynchronized স্লিপ বলা হয়ে থাকে” “প্লিজ, স্টপ” “কী হল?” “এমনভাবে বলো, যাতে কিছু বুঝতে পারি” “ওকে। আই অ্যাম ট্রাইং” বলে একটা ফাইল থেকে কিছু কাগজ বের করল। বলল, “এটা হল নরমাল একজন মানুষের ঘুমের সময়কার ইলেক্ট্রোএনকেফালোগ্রাম। আর এটা হল যখন বিভিন্ন সিডেটিভের সাথে ঐ ড্রাগটি দিয়ে নরমাল কাউকে ঘুম পাড়ানো হয়, তখনকার ইলেক্ট্রোএনকেফালোগ্রাম” শরিফা হাতে নিয়ে দেখলো ঠিকই, কিন্তু কিছুই বুঝলো না। ক্লার্ক বলতে লাগলো, “ব্রেন ওয়েভগুলোতে অ্যাবনরমালিটি হতে পারে Epilepsy বা parkinsonism type disorderএ। কিন্তু এইরকম ধরণ কোন ডিসিজ বা প্যাথোলজীর সাথে যায় না। ঐ ড্রাগটি দেয়ার ফলে যে স্লিপ আমরা ইনডিউস করি, সেটা REM এবং Slow wave স্লিপের মাঝামাঝি কিছু একটা এবং সেটাতে ব্রেন ওয়েভ ইরেগুলার থাকা সত্ত্বেও একটা বিশেষ ওয়েভ আমরা পাই। সেই ওয়েভের সাথে কোন ওয়েভের ক্রাইটেরিয়া মেলে না” “তুমি কি থামবে?” “আমি আগেই বলেছিলাম, পাঁচ মিনিটে বোঝার বিষয় নয়” “সামারি বলো” “আমরা অন্যান্য সিডেটিভের সাথে ঐ ড্রাগটি যখন দেই, তখন পসিবলি আত্মা দেহ থেকে বের হয়ে যায়” “কী?” “ড্রাগটিতে কোন প্রকার Hallucinogen নেই” “তুমি ট্রাই করেছো?” “হুম” “কার উপর?” “আমার উপর। আমার অ্যাসিস্টেন্টের উপর” “কোন গিনিপিগের উপর না করে মানুষের উপর করেছো কেন?” “গিনিপিগের ভাষা আমার জানা নেই। ওর কথা বুঝবো না তাই” “ওকে। ট্রায়ালের রেজাল্ট কী?” “আমরা ২জনেই টাইম-ট্রেভেল করেছি। আমি আজ যে হোয়াইট কফি খেয়েছি, ওটা প্রথম কোথায় খেয়েছি জানো?” “কোথায়?” “মালয়েশিয়ায়। কিন্তু আমি কখনো মালয়েশিয়ায় যাই নি। তুমি চাইলে আমার পাসপোর্ট দেখতে পারো। হোয়াইট কফির পুরো নাম হল ‘ইপোহ হোয়াইট কফি’। তুমি ওটাকে এখানকার ‘ফ্ল্যাট হোয়াইট কফি’র সাথে মিলিয়ে ফেলেছিলে”


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৩০৭ জন


এ জাতীয় গল্প

→ প্লটঃ ৭১ (পর্ব ৪) শেষ
→ প্লটঃ ৭১ (পর্ব ৩)
→ প্লটঃ ৭১ (পর্ব ১)

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now