বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

লাশ-৩

"ভৌতিক গল্প " বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান sifat (০ পয়েন্ট)

X কাছে গিয়ে দেখলো মাটি খোড়া!! কি ব্যাপার!! মাত্র ৩-৪ ঘন্টা আগেই তো সে আর ঝন্টু মিলে পরিপাটি করে কবর দিলো।একটু তাড়াহুরা সে করেছিলো অন্যদিনের তুলনায় কিন্তু এভাবে রেখে যায় নাই। স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে কেউ মাটি খোড়ার চেষ্টা করেছে এবং কতটুকু খুড়েও ফেলেছে। পরমূহুর্তে সে ভাবলো হয়ত গেট দিয়ে ঢুকে কোন কুকুর এই কাজ করেছে।তাই সে হাত দিয়ে মাটি জায়গামত চাপা দিয়ে দিলো,কিন্তু এইটা সে একবারও চিন্তা করলো না যে সে নিজহাতে প্রতিদিন গেট লাগিয়ে তালা লাগায় দেয়।তারপর কোন কুকুর কেন,মানুষের পক্ষেও কবরস্থানে ঢোকা সম্ভব নয়!! ঘরে ঢুকে দরজা লাগিয়ে নিশ্চিত মনে ঘুমিয়ে পড়লো সে। প্রচন্ড অস্বস্তিতে ঘুম ভেংগে গেলো তার রাতে। তার এমন হয় না কখনো,একঘুমেই রাত শেস হয়েযায়।তার কাছে ঘড়ি না থাকায় বুঝলো না রাত ঠিক কয়টা বাজে।ঘুম ভাংলে তার এধরনের অনূভুতি হয় না কখনো,কিন্ত আজ তার কেন জানি দরজা খুলে বাইরে যেতে ইচ্ছা হলো। দরজা খুলে বাইরে যাবার পর তার নাকে পচাঁ কটু গন্ধ এসে লাগলো। গন্ধের উৎস খুজতে আশে- পাশে তাকালো সে।পরিষ্কার চাদেঁর আলোয় দেখলো মূর্দার জানাযা পড়ানো হয় যে জায়গায় সেখানে সাদা কাপড়ে মোড়া কিছু একটা রয়েছে সম্ভবত একটা লাশ!! রমিজ মিয়া ভীতু কখনোই নয় তাই ভয় সে একটুও পেলো না বরং কাছে এগিয়ে গেলো ভালো করে দেখার জন্য।ঠিক মূর্দার খাটিয়া যেখানে রেখে জানাযা পড়ানো হয় সেখানে একটা লাশ পড়ে আছে। এতরাতে কারা লাশ নিয়ে আসলো ভাবতে শুরু করলো রমিজ মিয়া। যদি কেউ এনে থাকে তাহোলে তাকে ডেকে তুললো না কেন। আবার ভাবলো ভিতরে ঢুকতে হলে গেট দিয়েই ঢুকতে হবে যার চাবি একমাত্র রমিজ মিয়ার কাছেই আছে!! এবার চারিদিক থেকে ভয়ের অনূভুতি গ্রাস করলো তাকে। হাটার শক্তিও মনে হলো কেউ কমিয়ে দিয়েছে। তবুওবিকারগ্রস্থের মত সে এগিয়ে গেলো লাশটার দিকে।কাপড় খুলে যা দেখলো তাতে তার মনে হলো সে বুঝি এখনই অজ্ঞান হয়ে পড়ে যাবে!! সেই মুখটা,যা দেহ থেকে আলাদাকরা হয়েছে এখন তার সামনে আবার। বিকালে কবর দেয়া লাশটা এখানে কিভাবে আসবে?? এসিডে পোড়া পচা শরীর থেকে ভুরভুর করে গন্ধ বের হচ্ছে।রমিজ মিয়ার মাথায় এসব কিছুই ঢোকে না। অতি শোকে পাথর হবার মত সে অতি ভয়ে বিহবল এখন!! হঠাৎ তার মনে হলো এখনই বুঝি প্রত্যেকটি লাশ উঠে এসে এভাবে পড়ে থাকবে তার সামনে।কিন্তু এমনকিছুই ঘটলো না।


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ২২৬ জন


এ জাতীয় গল্প

→ মেয়ে লাশ-৩

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
  • 1Aniqa
    User ৭ বছর, ২ মাস পুর্বে
    voanok

  • 1Aniqa
    User ৭ বছর, ২ মাস পুর্বে
    voanok

  • 1Aniqa
    User ৭ বছর, ২ মাস পুর্বে
    voanok