বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
আমাকে জড়িয়ে ধরবে?-০১
লেখকঃ নাফিজ আহমেদ
দুইদিনের এই পৃথিবীতে জীবন নামক এই ছোট্ট গল্পে কত ধরনের চরিত্র প্রস্ফুটিত হয় তার কোন ইয়ত্তা নেই। আজ আমরা ব্যক্ত করব এক না পাওয়া প্রেমিকের শেষ ইচ্ছার গল্প। গ্রামের সেই ছোট্ট রবি আজ কত বড় হয়ে গেছে। যে একসময় ঠিক মতো কথা বলতে পারতো না সে আজ নাকি অন্যান্য ছেলেদের প্রেরণার উৎস। কিন্তু সেটা কিভাবে? রবির এই সফলতার গল্প কিভাবে শুরু? পড়ন্ত বিকালে একদিন রবি খেলার মাঠে ঘুরতে এসেছে। সাধারণত সে ব্যস্ত জীবনকে উপেক্ষা করে খুব একটা বাহিরে আসতে পারেনা। ব্যস্ততা সবসময়ই তাকে ঘিরে রাখে। আজ সে চলে এসেছে প্রকৃতির মাঝে একাকী একপাশে বসে বসে ভাবছে এক সময় কতই না এই ধরা দেখেছি। কত যে অবসর সময় অতিবাহিত করেছি তা চিন্তার বাইরে আর এখন এতটাই ব্যস্ত সময় পার করছি যে সময়মতো একটু প্রকৃতিকেও আপনার করে নিতে পারছি না! বিভিন্ন চিন্তা ঘুরপাক করছে রবির মাথায়। এরই মধ্যে মাঠে থাকা অন্যসব ছেলেরা রবির কাছে এসে বলছে ভাই আজকে আমাদের তোমার জীবনের সফলতার গল্প শোনাতে হবে। রবি একটু ইতস্তত বোধ করছিল তারপরও গ্রামের ছোট্ট ভাইয়েরা আবদার করেছে একটু গল্প শুনবে না শোনালে হয়? তো কি আর করা রবি বলতে শুরু করল তার জীবনের গল্প। সময়টা ২০১৪ আমি তখন নবম শ্রেণিতে লেখাপড়া করি। পড়াশোনায় আমি খুব একটা ভালো ছিলাম না তবে একেবারে খারাপও না। ঐ মাঝামাঝি আর কি। প্রতিবারই ৮-১০ এর মধ্যে থাকতাম। নবম শ্রেণিতে যখন পড়ি তখন প্রথম আমার কাউকে ভালো লাগতে শুরু করল। তার প্রতি একটু দুর্বলই হয়ে গেলাম। তার সামনে নিজেকে কেমন যেন বোকা বোকা লাগতো, ঠিকমতো কথা বলতে পারতাম না, কথার মধ্যে জড়তা তৈরী হতো, ঘাবড়ে যেতাম, তিরঘাম ঝরত আপন শরীর থেকে। কিছুই বুঝতে পারলাম না হঠাৎ এমন হলো কেন! মেয়েটা আমার কাছে খুবই সুন্দরী ছিল। তার চোখে যেন আমার জন্য কেমন মায়া ছিল। তার চুলগুলো ছিল আলকাতরার চেয়েও কালো। দক্ষিণা বাতাস তার পাশ দিয়ে গেলে উন্মুক্ত চুলগুলো যেন উড়ে উড়ে আমার দিকে আসত। তার চুলের মিষ্টি গন্ধে আমি পাগলপারা হয়ে হারিয়ে যেতাম ভাবনার অতলে। তাকে হাসতে দেখেলে মনে হতো জমিনের বুকে মুক্ত ঝরে পরছে। তার কন্ঠে ছিল মন মাতানো সুর যে সুর শুনতে শুনতে আমি পাড়ি দিতাম হাজার বছরের পথ। সবমিলিয়ে সে ছিল আমার কাছে এক স্বপ্নের রাজকন্যা। যাকে হয়তো সৃষ্টিকর্তা আমার জন্যই এই ভূবণে পাঠিয়েছেন। কিন্তু পরবর্তীতে আমি বুঝতে পারলাম এর সবই ছিল আমার ভুল ধারণা। সে কখনোই আমাকে নিয়ে ভাবেনি। সে হয়তো জানেই না আমি কে। তোরা জানিস একদিন কি হলো? (মাঠের ছেলেরা বলল) কি হলো ভাইয়া? চলবে.....
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now