বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন
বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

গ্রাম্য ছেলের জীবনের গল্প-০১

"শিক্ষণীয় গল্প" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান নাফিজ আহমেদ (০ পয়েন্ট)

X গ্রাম্য ছেলের জীবনের গল্প-০১ নাফিজ আহমেদ,, ভাবলেই কেমন জানি বিস্ময়ে বিমূঢ় হয়ে কল্পনার অতল গহব্বরে হারিয়ে যায় এই ছোট্ট পৃথিবীতে এত ধরণের মানুষ বসবাস করে! এই সজীব সতেজতায় মুখরিত পৃথিবীর একেক মানুষের জীবনের গল্প একেক রকম। তারই মধ্যে আজকে লিখব আসিফের জীবনের গল্প। জানি তার জীবনের প্রত্যেকটা গল্প হয়তো আমি কলমের অগ্রভাগে আনয়ন করতে পারব না। তবে যতটুকুই পারি সেটাই অনেক। গ্রাম্য পরিবেশে বৃক্ষরাজীর সাথে বেড়ে উঠে আসিফ। গ্রামের মেঠোপথের লাইন ধরে মাঝে মাঝেই চলে যায় তেপান্তরের মাঠে। মেঘহীন নীলাকাশ অবলোকন করে আপন মনে। দিগন্তবিস্তৃত এই নির্জন পরিবেশ যেন তার কাছে বাসন্তী ভরা জীবনে আনন্দের ফল্গুধারা হয়ে ধরা দেয় বারংবার। নিরবতায় বিস্তৃত পল্লী গ্রামের প্রতিটা মানুষের সাথে তার সম্পর্ক নিরন্তর। সকলের ভালোবাসা যেন একত্রিত হয়ে ধরা দেয় তার উপর। এই কাক-পাকালীর স্মিত গানে মিশ্রিত ছোট্ট গ্রামে এখনো আধুনিকতার ছোঁয়া মেলেনি। সেই সুবাদে গ্রামের মানুষদেরও তেমন লেখা পড়া করার সুযোগ হয়নি। তাবে অন্যান্য গ্রামবাসীদের থেকে আসিফ ছিল একেবারে ভিন্ন। ছোট্ট বেলা থেকেই তার লেখাপড়ার প্রতি ছিল অগাধ ভালোবাসা। ব্যস্ত জীবনের যখনই সময় পেত অবসর সময়টা অবহেলায় না কাটিয়ে আপন হাতে তুলে নিত বই। এইজন্য গ্রামের মানুষ তাকে খুব বেশি ভালোবাসত। তাকে ঘিরে গ্রামের মানুষ অনেক বেশি স্বপ্ন দেখতেন। লেখাপড়ার প্রতি তার দুর্নিবার আগ্রহ দেখে গাঁয়ের মানুষেরা সত্যিই বিমোহিত হয়ে যেত। নিজ গ্রাম থেকে লেখাপড়ার সূচনা হলেও তা শেষ করা আদৌও সম্ভব নয়। কেননা এখানে তো উচ্চ শিক্ষার জন্য কোন বিদ্যালয় নেই। এজন্য তাকে পাড়ি দিতে হবে ব্যস্ত শহরে। দেরি না করে আপন গ্রামবাসী ও নিজ মা-বাবার কাছ থেকে সাময়িক বিদায় নিয়ে পদার্পন করে এক অচেনা অজানা শহরে। যেখানে আপন মানুষ খুবই স্বল্প। বিদায়ের এই বেদনাদায়ক প্রহরের তার হৃদয়ের রক্তক্ষরণ হচ্ছিল বারংবার কিন্তু কি আর করা মা-বাবা ও গ্রামবাসীর রাবেন্দ্রিক আগ্রহকে বাস্তবে রুপায়িত করতে হলে তো অবশ্যই নীড় ছাড়তে হবে। তো আসিফ ভালোভাবেই পৌঁছে গেছে এই কোলাহল মিশ্রিত শহরে। ব্যস্ত শহরের বর্ষণসিক্ত রাস্তায় সে একা একাই হাঁটতে হাঁটতে পৌঁছায় আপন গন্তব্যে। বাড়িতে একটু জানিয়ে দেয় তার পৌঁছানোর কথা। মা কাঁদো কাঁদো কন্ঠে বলে ওঠে ''বাবা আমাদের জন্য কোন চিন্তা করবি না, সবসময় পড়াশোনা করবি'' মায়ের কথা শ্রবণ করা মাত্রই আসিফের চোখ থেকে বিচ্ছেদের অশ্রু বাহির হয়ে পড়ল জমিনের বুকে। আসিফ কি সত্যিই পৌঁছতে পারবে তার স্বপ্নের দেশে! পাতা ঝরা স্নিগ্ধ বিকেলে শহরের আঁকাবাঁকা রাস্তা দিয়ে হাটতে থাকে আসিফ। এই অচেনা শহরকে একটু আপন করে নেওয়ার জন্য অধির আগ্রহে অপেক্ষিত আছে সে। আপন মনেই ভাবছে গ্রামের স্মৃতিগুলো। এমনই পড়ন্ত বিকালে আমি গ্রামের মেঠোপথ দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে চলে যেতাম তেপান্তরের মাঠে আজ সেখান থেকে কতই না দূরে। হৃদয়ের অতলে সেই মাঠে যাওয়ার ইচ্ছা জমা হলেও যাওয়া সম্ভব হবেনা। পাঠক বিন্দু চলবে.......


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৪৪ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now