বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
সন্তানের জন্য মায়ের শোক
নাফিজ আহমেদ,,
সময় তার আপন গতিতে অতিবাহিত হচ্ছে আমাদের থেকে, তার সাথে চলে যাচ্ছে চেনা জানা আপন মানুষ গুলো। এইতো দেখতে দেখতে কত বড় হয়ে গেল হাসান (ছদ্মনাম)। কাক ভেজা বৃষ্টি মাঝে মায়ের কোল আলোকিত করে এই ধরায় আগমন করল সে। সন্তান ভূমিষ্ট হওয়ার সময় পাওয়া সমস্ত কষ্ট যেন কেটে গেল ছেলের চাঁদ মাখা অবয়বটা অবলোকন করে। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে বেড়ে উঠছে হাসান। মাঝে মাঝে আপনার মায়ের কাছে বায়না ধরে। যেটা প্রতিটা মা-বাবার ভালো লাগার জায়গা। সন্তানের নিছক আবদার পূরণ করা যে কত আনন্দের তা কেবল মা-বাবায় জানে। হাসান একটু একাকী থাকতে ভালোবাসত। সাজানো পৃথিবীকে খুব কাছ থেকে পছন্দ করত সে। কত চিন্তা ঘুরপাক করত তার মাথায়। এইতো সেদিন পড়ন্ত বিকালে শেষ বিকালে মাঠে একাকী উপবিষ্ট হয়ে অবলোকন করছে ডুবন্ত সূর্য। এই সমস্ত দেখে হারিয়ে গেল ভাবনার অতল গহব্বরে। নিকষ রজনীতে মায়ের হাতের রান্না খেয়ে ঘুমনো এইভাবেই কাটছিলো প্রতিটা দিন। সময়ের সাথে নিজেও বড় হচ্ছে। নতুন করে সবকিছু চিনছে। নতুন নতুন সব কাজ শিখছে। এই তো কিছুদিন আগে একটু একটু বিদ্যুৎ লাইনের কাজ শিখেছে। এখনো ভালো ভাবে কাজ রপ্ত করতে পারিনি। তারপরও কোনরকম করে। হঠাৎই হাসানদের বাড়ির বিদ্যুৎ লাইনে সমস্যা হয়েছে। সে নিজেদের বাজার থেকে প্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয় করে ফিরে আসে নিজ গৃহে। নিজে নিজেই করতে থাকে বিদ্যুৎ লাইনের কাজ। কে জানত আজ তার জীবনের শেষ দিন। হাসান কাজ করতে শুরু করে দেই। তবে সবথেকে বড় যেই ভুল টা ও করেছে সেটা হলো মেন সুইজ অপ করিনি। যখন হাসান দুইটা তার একত্রিত করতে গেল ঠিক তখনই ও কঠিন ভাবে শট খেল। বিদ্যুৎ এর শট পেয়ে হাসান তখনই জায়গায় লুটিয়ে পড়লো। বাড়ির সবাই চিল্লাপাল্লা শুরু করে দিলো। হাসানকে তখনই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলো কিন্তু তাকে বাঁচাতে পারলো না। এভাবেই চোখের নিমিষেই শেষ হয়ে গেল এক যুবকের জীবন। হয়তো বেঁচে থাকলে তাঁর পিতামাতার জন্য জীবনে কিছু করতে পারত কিন্তু সৃষ্টিকর্তা তাকে সেই সুযোগ দিল না। আমি হাসানের লাশটা খুব কাছ থেকে অবলোকন করেছি। আমার বয়সের এক বাড়ন্ত যুবক শায়িত আছে চিরদিনের জন্য হারিয়ে গেছে এক অচেনা শহরে যেখানে তার পরিচিত কেউই নাই। কিছু দিনের ব্যবধানে হাসানের মা ও চলে গেল তার ছেলের কাছে। হ্যাঁ হাসানের মা ও মারা গেল তার কলিজার টুকরা ছেলের শোকে। বিষয় টা আশ্চর্যজনক হলেও দিনশেষে এটা বাস্তব হয়েছে আমাদের সম্মুখে। হয়তো লিখে আমি আপনাদের বোঝাতে পারব না। তবে এটাই হয়েছিল, এভাবেই হারিয়ে গিয়েছিল মা ছেলে আমার শহরে থেকে।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now