বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
#আরব্য_বেদুঈন
#পর্ব_০২
ভোরের আলোয় স্নান সেরে ভিজে গায়ে, মেহের, আমার নতুন বিবি আমার কাছে এলো। হিসেব মত মেহেরকে যদি আমি বাঁদি করতাম তাহলেও ওর বলার কিছুই থাকতো না, তবুও পুরোনো ভালোবাসা উথলে উঠলো ওকে দেখে। ভুলে গেলাম ওর আদমী একটা রাত আগেও একটা শেখ ছিলো। ওর এই যৌবন তারিয়ে তারিয়ে ভোগ করেছে ঐ শেখ। ফুর্তি হচ্ছিলো, শেখকে আমি ভালার এক ছোবলে নিকেশ করেছি বলে। উটের পিঠে আমার চামড়া মোড়া গদিতে বসিয়েছি মেহেরকে। কোমরটা জড়িয়ে ধরে ছাতির আগুন ঠান্ডা করছি ওর কলিজার স্পর্শে। মাঝে মাঝে ওর শরীরের নরম চড়াই উৎরাই বেয়ে হাত বোলাতে বোলাতে মিঠি মিঠি গজল আউড়াচ্ছি আমার বেসুরো গলায়। আমি দস্যু, মরুভূমির ত্রাস, আমার গলায় সুর আসবে কি করে? এ গলা চেনে সুরা, সুর চেনে আমার কান, "বেগমজান, একটা গজল পেশ করো, আমার খিদমতে!"
জানের বালাই বড়ো বালাই, এখনই যে হাত দুটো আদর করে চলেছে ওর শরীর জুড়ে, সেই হাত দুটোই যদি খঞ্জর ঘুসিয়ে দেয়? কি হবে? পেয়ারের জানটাই চলে যাবে না? সুর ধরার আগে মাফি চায় মেহের, "গুস্তাখি মাফ, উটের পিঠে কি ঠিক মত সুর আসবে? এতো বেশি হিলছে দুলছে!তার চেয়ে জনাব আপনার শরীর সারা রাত আরাম পায়নি, থোড়া বহোত আরাম যদি পেশ করি, মন্দ কি হবে জনাব?"
মেহের কি বলতে চায় বোঝার বয়স আমার হয়েছে, শেখের কাছে শিখেছে অনেক কিছুই। তোবা তোবা বহোৎ খুব। রুক্ষ মানুষ হলেও রস আমারও আছে। পেশ কিয়া যায়। হুকুম পেয়ে উটের চলার ছন্দে ছন্দে আমার দেহের কামিজ খুলতে শুরু করলো মেহের, মিশে গেল আমার বুকে। ওর মুখটা নেমে এলো আমার বুক থেকে উরুতে, তারপর এক জন্নতের তৃপ্তি... একেই বলে জিন্দেগী... বেশ কিছু সময় পার করে ও উঠলো। ঠিক ঠাক হয়ে নিতে সময় লাগলো আরো কিছুক্ষণ...
নতুন শেখ অপেক্ষায় ছিলো। কালকের লুঠের মাল সওদা করে টাকা নিয়ে ফিরছি, দেখলাম শেখের চোখে লোলুপ দৃষ্টি। ও দেখছে মেহেরকে। মেহের তখন আমার বুকে মাথা রেখে পরম নিশ্চিন্তে বসে আছে। আমার হাতে মদিরার গেলাস। শেখ চোখের ইশারায় বললো বিক্রি আছে? আমি সম্মতি দিতে দাম জিজ্ঞেস করলো, যে দাম বললাম সেই দামই তুলে দিলো আমার সহকারী আবদুল্লাহর হাতে। আমার চোখে বিদ্যুৎ খেলে গেল। লোকটার কাছে অনেক টাকা আছে, অনেক সোনা। আমার সহযোগীদের দিকে তাকালাম, ওরা এ দৃষ্টি চেনে। ওরা হাসলো। মেহেরকে নতুন শেখের হাতে তুলে দিলাম। মেহের কাঁদছে। আমি শেখকে আলিঙ্গন করলাম। শেখ খুশিতে আলিঙ্গন করলো আমাকে। আমার হাতে আবদুল্লাহ খঞ্জর এগিয়ে দিলো। আমি শেখের পিঠ এফোঁড় ওফোঁড় করে দিলাম।
আমার লোকজন শেখের তাঁবুর দখল নিতে দেরি করলো না। আমি আরব বেদুইন। দস্যু বৃত্তি আমার রক্তে। আজ আমি শেখের বিবির সঙ্গে আইয়াশী করবো। আর কাল শেখের মাল বেচবো অন্য এক শেখের কাছে।এ শেখ প্রচুর পয়সাওয়ালা। পয়সাওয়ালা বলেই বোধহয় জান কমজোরি ছিলো। খঞ্জরের এক আঁচড়েই প্রণপাখি ফুড়ুৎ করে উড়ে গেল। আমাকে এর বেশি তকলিফ নিতে হলো না। ওর দেহটা কাটা কলাগাছের মত বালিতে লুটিয়ে পড়লো। মেহের দৌড়ে এলো আমার কাছে। ঝাঁপিয়ে পড়লো আমার বুকে। বেশ বুঝতে পারছি, ও ভয়ে কাঁপছে। আমার এক হাতে লেগে আছে শেখের রক্ত, অন্য হাতে মেহেরকে জড়িয়ে ধরলাম। আবদুল্লাহ এসে রক্তাক্ত খঞ্জরটা নিয়ে গেল হাত থেকে। পায়ের কাছে পড়ে আছে শেখের নিথর দেহ। "দেখছো কী, বেত্তমীজ়? হাটাও ইস লাশ কো!" চিৎকার করলাম আমি। আমার দুজন অনুচর সঙ্গে সঙ্গে শেখের লাশ টা টেনে হিঁচড়ে চোখের সামনে থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে গেল। শেখের বান্দা বাঁদী কম ছিলো না, ওরা এসে নতজানু হয়ে বসে পড়লো লাইন দিয়ে। আবদুল্লাহ কে বললাম, " গিনতি করো, সুন্দরী অল্প বয়েসী বাঁদীগুলোকে আলাদা করে রাখ। আর কর্মঠ শক্তিশালী বান্দাগুলোকে আলাদা করো। ওগুলোর বেশী দাম পাওয়া যাবে।" সুলেমানকে বললাম, "শেখের বিবিদের খবর নাও। অন্দর মহলের তাঁবু লুঠ করো। টাকা পয়সা খাজনা সব আলাদা আলাদা করে রাখো আমি এসে দেখবো।" ও আমার কথা শুনে সেলাম করে দুজন অনুচর নিয়ে শেখের খাস তাঁবুতে ঢুকে গেল।
আমি চললাম আমার মেহের জানকে নিয়ে আমার তাঁবুতে। শেখের তাঁবুও এখন আমার তাঁবু, শেখের সবকটা বিবি এখন আমার বিবি। আমি ওদের নিয়ে মৌজ মস্তি করবো। এ আমার তাগত আর কিস্মতের চমৎকার। আমি মরুভূমির ত্রাস। আবদুল্লাহ এসে আমার ডান হাতের রক্ত মুছে দিলো। আমি মেহেরকে বুকে জড়িয়ে প্রবেশ করলাম তাঁবুতে।
"এখন যেন কেউ আমাকে বিরক্ত না করে!"
"যো হুকুম!"
দুজন বাঁদি মখমলি বিছানা তৈরী করে, কেশর মেশানো গরম উটের দুধ নিয়ে অপেক্ষা করছিলো। আমি পান করলাম। ওদের খুশি হয়ে বকশিশ দিয়ে বিদেয় করলাম। তাঁবুতে এখন আমি আর মেহের।
"এসো মেরি জান, আমার কলিজায় যে আগুন ধিকি ধিকি জ্বলছে, তাকে শান্ত করো।"
"এই তো খানিক আগেই উটের পিঠে শান্ত করলাম, আবার জ্বলে উঠলো, এ কেমন আগুন তোমার?" মস্করা করে মেহের।
"আমাকে দেখে কি তোমার ইনসান মনে হয়? হাঃ হাঃ হাঃ আমি ইনসান হলে তো তোমার হিসাব মিলতো, আমি তো ইনসান না, আমি জানোয়ার! এসো আমাকে ঠান্ডা করো, নয়তো কখন দেখবে তোমাকেই খেয়ে নিয়েছি!"
আমার কাছে এগিয়ে আসে মেহের, " তা তুমি পারো!" বলে আবার আমার শরীরে মিশে যায় নরম বিছানায় মখমলের চাদর পেতেছিলো শেখ, আয়েশ করবে বলে, এখন সেই বিছানায় আয়েশ করছি আমি, আমার শরীর উন্মুক্ত করছে মেহের ওকে উন্মুক্ত করছি আমি, শেখের শরীরটা বালিতে গর্ত খুঁড়ে শুইয়ে দিচ্ছে আবদুল্লাহ আর বালি চাপা দিচ্ছে কোদাল দিয়ে। সূর্য ডুবেছে, একটু ঠান্ডার ভাব আছে এখানে। আলোয়ানের নিচে মেহেরের স্তনের উষ্ণতায় একটু একটু করে নরম গদিতে চাপা পড়ছি আমি। বড় সুখ দেয় মেহের, ও জানে কি করে সুখ দিতে হয়। তন্দ্রা মত এসেছিলো। হঠাৎ শুনলাম চিৎকার, "আঁধি আসছে! হোসিয়ার!"
হৈ হৈ পড়ে গেছে পুরো দলটার মধ্যে। তড়িঘড়ি নিজেকে ঠিকঠাক করে বেরিয়ে এলাম তাঁবু ছেড়ে। তাঁবু গোটাতে হবে, নাহলে সব উড়িয়ে নিয়ে যাবে। লোকজন সব লেগে পড়েছে। উটগুলো সব গোল হয়ে বসে পড়েছে। অন্ধকারে কিচ্ছু বোঝা যাচ্ছে না, শুধু শব্দ শোনা যাচ্ছে। ঐ বুঝি এসে পড়লো। অভিজ্ঞতা আছে আমার, আবদুল্লাহর আরো কিছু অনুচরের। শেখের লোকজন ছোটাছুটি করছে। ধমক দিলেও শুনছে না। আবদুল্লাহ আকাশে একটা গুলি ছুঁড়লো, তাতে ভয় পেলো লোকগুলো। এসে উটের গা ঘেঁষে বসলো। টান টান করে তাঁবুর কাপড় যতটা সম্ভব ভাঁজ করে পেতে ভাড়ি জিনিস রাখা হয়েছে। আওয়াজ ক্রমশঃ কাছে এগিয়ে এলো। বালি উড়তে শুরু করলো। শেষে শুরু হলো প্রবল মরুঝড়।
গোল হয়ে উটগুলো বসে, তার মাঝখানে মানুষ। অন্ধকার হয়ে যাওয়ার ফলে কে থাকলো আর কে গেলো সব বোঝা গেল না। আমাদের মুখ কাপড় দিয়ে ভালো করে ঢাকা। এক জায়গার বালি উড়ে আর এক জায়গায় পাহাড় তৈরী করে দিয়ে মরুঝড় থামলো। গা ঝাড়া দিয়ে উঠলাম। আবারো সবাই বাঁচলাম প্রাণে। এ মরুঝড় বহু মানুষের প্রান নিয়ে নেয়।
মশাল জ্বালা হলো। বালি খুঁড়ে তুলে ফেলা হলো জিনিস পত্র। তাঁবু খাটানোর কাজ শুরু হলো নতুন করে। এখন আমার দলে অনেক লোক লস্কর। দু দুটো শেখের নোকর চাকর দাস দাসী বান্দা বাঁদির দল হৈ হৈ করে লেগে পড়লো কাজে।
হুড়মুড়িয়ে ঝড় এসে পড়ায় শেখের অন্তঃপুরে গিয়ে ওর বেগমদের দেখে আসা হয় নি। এখন তো ওরাও মেহেরের মতো আমারই সম্পত্তি, আবদুল্লাহকে বল্লাম, "কোথায় রেখেছো ওদের?" ও বলল, "গুস্তাখি মাফ করবেন হূজুর, এই ঝড়ের তান্ডবে সব লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। আমি এখনি দেখে এসে খবর দিচ্ছি আপনাকে!" ওকে অভয় দিলাম, "তুমি তো আমাকে রক্ষা করতেই আমার কাছে ছিলে! তোমার কসুর নেই!"
আবদুল্লাহ দেখতে চলে গেল। আমি মশাল হাতে নিয়ে এগিয়ে চললাম কাজ দেখতে। আমার সঙ্গে মেহের। ওর মরুভূমিতে থাকতে থাকতে এই মরুঝড়ে অভ্যেস হয়ে গেছে। তবে আজ ওকে খুব ক্লান্ত মনে হচ্ছে। ওর বিশ্রাম দরকার। আমি বান্দাদের উদ্দেশ্যে চিৎকার করে হুকুম দিলাম, "জলদি করো। হাত চালাও জলদি।" ওরা জবাব দিলো না। কাজের গতি বাড়িয়ে দিলো। দেখতে দেখতে জায়গাটায় আবার তাঁবুগুলো পর পর খাটানো হয়ে গেলো। আমার তাঁবুটা তৈরি হতেই দুটো বাঁদি আমার বিছানা তৈরি করে দিলো। আমি মেহেরকে বললাম তুমি শুয়ে পড়ো, আবদুল্লাহ এলেই আমি শুতে আসবো।
মেহের আমার দিকে তাকিয়ে মৃদু হেসে চলে গেল তাঁবুর ভেতর। আমি বাইরে আবদুল্লাহর অপেক্ষা করতে লাগলাম।
বেশ খানিকক্ষণ অপেক্ষা করার পর আবদুল্লাহ মশাল হাতে ছুটতে ছুটতে এসে খবর দিলো, "শেখের তিনটে বেগমের মধ্যে দুটোকে পাওয়া গেছে, কিন্তু একটাকে কোথাও পাওয়া যায় নি। মরুঝড়ের মধ্যে সে কোথাও পালিয়েছে।
হা হা করে আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে হেসে উঠলাম। মুর্খ মেয়ে মানুষ। নিজের মরণ নিজেই ডেকে আনলি। এ মরুভূমিতে জল না পেয়ে ছাতি ফেটে মরবার সখ হল কেন রে তোর? আবদুল্লাহকে বললাম রক্ষীদের এত্তেলা করে দাও। কোনো জেনানা যদি চোখে পড়ে,
একলা ঘুরছে, সঙ্গে সঙ্গে যেন ধরে নিয়ে আসে। বলা তো যায় না, মরদের খুনের বদলা নিতে বাঁদিদের দলে লুকিয়ে থাকতেও তো পারে!
আমার বুদ্ধির তারিফ করে আবদুল্লাহ চলে গেল।
সকালে ঘুম যখন ভাঙলো, সূর্য তখন মাথার ওপর চড়েছে। মেহের তখনো গভীর ঘুমে অচেতন। ওকে ডাকতে ইচ্ছে হলো না। একাই বেরোলাম। তাঁবুর বাইরে সোলেমান অপেক্ষা করছিলো। বললাম, "কি খবর? হিসব হয়েছে? কত কি জমা পড়েছে শেখের?"
সে বললে, " জী জনাব, জমা পড়েছে ভালোই, মাদী মরদ নিয়ে উনত্রিশটা বন্দুক ছটা, সোনাদানা, হাতির দাঁত, আর বহুমূল্য কীমতি পাথর পাওয়া গেছে প্রচুর।"
খুশি হয়ে ওকে আর আবদুল্লাহকে বকশীশ দিলাম। আবদুল্লাহ খবর এনেছে, আমরা এখন একটা মরুদ্যানের কাছাকাছি আছি। দূরবীনে দেখা গেছে। কাল একটা বালির পাহাড়ের আড়ালে ছিলো, তাই দেখা যায় নি, আজ মরুঝড়ে বালির পাহাড়টা উরে গেছে, তাই দেখা যাচ্ছে। তিনজনে পরামর্শ করে ঠিক করলাম ওই মরুদ্যানের পাশেই তাঁবু ফেলবো।
সোলেমান বললো, শেখের বাবুর্চি রান্না বসিয়েছে। লোকজন ক্লান্ত। আজ ওরা খেয়ে দেয়ে বিশ্রাম নিক। কাল যাওয়া যাবে ও দিকে। ওর কথায় সম্মত হলাম।
আমার এলাকায় ঘুরছি, লোকজন দেখছি, আমার সঙ্গে আবদুল্লাহ আর সোলেমান। বাঁদীদের দিকটায় ঘুরতে ঘুরতে গেলাম। এক এক করে সবকটা বাঁদী সেলাম করতে লাগলো, একটাকে দেখলাম ঘাড় গুঁজে বসে আছে। সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম। মুখ তুললো না। গায়ের চামড়া অন্যদের থেকে নরম। বাঁদীদের মত নয়। আমার চোখে ধরা পরে গেছে। ঘাড়, হাতের অনাবৃত অংশ আমার চোখে অন্যরকম লাগলো, চোখের ইশারায় সোলেমানকে বললাম মেয়েটাকে নজর রাখতে। ওরা পিছিয়ে গেল। আমি এগিয়ে যেতেই। হাতে একটা ছোট ছুরি নিয়ে মেয়েটা আমার পিঠের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লো। সঙ্গে সঙ্গে সোলেমান আর আবদুল্লাহ ধরে ফেলল মেয়েটাকে।
বহু দিন ধরে দস্যুবৃত্তি করে করে অভিজ্ঞতা তৈরি হয়ে গেছে। এই মেয়েটাই শেখের তিন নম্বর বিবি। ঝড়ের সময় লুকিয়ে বাঁদিদের দলে ভীড়ে অপেক্ষা করছিলো, মরদের হত্যার প্রতিশোধ নেবে বলে। হায়রে বুজদিল লেড়কি, নিজের জানটা খুইয়ে কী লাভ পেলি?
আমার আবার এইসব মেয়েদের বেশি ভালো লাগে। হুকুম দিলাম,"দড়ি দিয়ে বাঁধো শালিকো! এক এক কারকে উতার দো পুরে কাপরা! একদম নাঙ্গা কারকে খাড়া কর দো কড়ি ধুপ মে!"
হুকুম তামিল হলো। দলের মেয়ে পুরুষ সবাই দেখতে থাকলো সারা বেলা, দলপতির ওপর আক্রমণ করার সাজা কী।
বাবুর্চির রান্না শেষ। সবাই খেতে বসলো, দূরে বালির ধুলো উড়িয়ে ছুটে আসছে দুজন ঘোঁড় সওয়ার। খানা ফেলে চোখে দূরবীন লাগালো আবদুল্লাহ। "সফেদ ঝান্ডা জনাব।" মানে ওরা শান্তি চায়। আসুক। কি বলে দেখা যাক।
কাছাকাছি এসে নতজানু হয়ে কুর্নিশ করলো লোকদুটো। ওরা শেখ জয়নাল বুখারীর দুত। একশো আশরফি ভেট নিয়ে এসেছে। কাল সওদা করতে আসতে চায়। ওদের খানা পিনা করিয়ে আমিও ভেট দিলাম। শেখের ঐ হাত পা বাঁধা উলঙ্গ বিবিটাকে। ওরা খুশি হয়ে ওকে নিয়ে চলে গেল। কাল মরুদ্যানের পাশে সওদা হবে। ওদের কাছে ভালো শুওরের মাংস মজুত আছে।
চলবে.....
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now