বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
শেষ হলো পথচলা
নাফিজ আহমেদ,,
এই সুন্দর চাকচিক্যময় উজ্জ্বলতায় ভরপুর ধরাকে ছেড়ে নিকোষ কালো আধারে ঘেরা কোন এক প্রহরে আমাকে প্রস্থান ঘটাতে হবে এক অজানা অচেনা পৃথিবীতে। সবই নিজ নিজ স্থানে বহাল থাকবে,পাখিগুলোও দিনশেষে আপন নীড়ে ফিরবে, সময়টাও তার নিজ গতিতেই চলবে, বাতাসটাও নিজের বৈশিষ্ট্য ধরে রাখবে, প্রকৃতিও আপন রঙে গোটা ভূবণকে রাঙিয়ে দিবে। বসন্তও তার অতুলনীয় সৌন্দর্যে সাজিয়ে দিবে সমস্ত ধরণী। নদীর ঢেউগুলোও বাতাসের ধাক্কায় বয়ে চলবে দিকবিদিক। শিশির ভেজা মাঠটাতেও গজিয়ে উঠবে কচি সবুজ ঘাস। বৃক্ষরাজির সহযোগিতায় মাতিয়ে তুলবে পরিবেশের সমস্ত আঙিনা। সবই থাকবে কিন্তু আমি থাকবো না। হারিয়ে যাব অনেক দূরে। নিস্তব্ধ দেহটা শাহিত থাকবে বাড়ির পাশেই, কিন্তু কারওর সাথেই যোগাযোগ করতে পারবো না। আহ,কি কঠিন বাস্তবতা। এটা সকলকেই সাদরে গ্রহণ করে নিতে হবে। তার ব্যাতিক্রম আমি নিজেও নয়। হয়তো কোন এক শীষের ভেজা ভোরে দক্ষিণা বাতাসের সাথে ভেসে আসবে আমি আর এই পৃথিবীতে নেই। সেদিন আর কেউ আমাকে নিজ পরিচয়ে খোঁজ করবে না,সকলে বলবে লাশ টা কোথায়। এক নতুন পরিচয় বহন করে চলে যেতে হবে এই সুন্দর ধরণী কে ছেড়ে। জানি আমাকে কেউ ধরে রাখতে পারবে না তাদের কাছে। আমাকে আমার মতোই চলে যেতে হবে অনেক দূরে। সেদিন আর আমাকে কেউ খুঁজে পাবেনা। আমি আর কারওর ডাকে সারা দিব না। সবাই আমাকে দেখতে আসবে কিন্তু দিনশেষে আমি কারওর ডাকে সারা দিব না। আবার তারা আমাকে দেখে নতুন সাজে সাজিয়ে চলে যাবে। আজ আর কেউ লাল কাপড় টা দিল না, দিল না ঘরের এক কোনে পরে থাকা ব্রান্ডের সেই রঙিন কাপড় টা, আজ আমার জন্য অপেক্ষা করছে এক রঙহীন সাদা কাপড়। যেটা আমার শরীরে আবৃত করে রেখে দিল এক চার পায়া বিশিষ্ট খাটিয়াতে। যেখানে এর আগে আমি আর কখনও উঠিনি এবং পরবর্তীতে আর কখনো উঠবও না। এক পর্যায়ে আমাকে নিয়ে দোয়ার আয়োজন করা হবে। জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে আমার নিথর শরীরটাকে সম্মুখে রেখে। সর্বশেষ আমাকে নিয়ে আসা হবে গ্রামের সেই বাঁশ বাগানটাতে। কত যে এই জায়গায় এসেছি তা কল্পনাতীত। কিন্তু আজ আর নিজ পায়ে ভর করে আসতে পারলাম না। একটু পরেই তিনজন নামবে আপন ঘরে আসলে এটাইতো আমাদের সত্যিকারের বাসভবন। আমাকে শায়িত করে একএক করে সকলেই উঠে আসল কবর থেকে। বাঁশের সাদ দিয়ে ঢেকে দিল আমার ঘর। সকলেই নিজের মতো চলে আসল। আমিও থেকে গেলাম অনন্তকালের জন্য। শুরু হয়ে গেল এক নতুন জীবন। দিনশেষে শেষ হলো দুনিয়ার পথচলা।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now