বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

অপূর্ণ ভালোবাসা-৪

"স্মৃতির পাতা" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান নাফিজ আহমেদ (০ পয়েন্ট)

X অপূর্ণ ভালোবাসা-৪ লেখকঃ নাফিজ আহমেদ,, কিছুদিনের জন্য একটু বাড়ি থেকে অন্যত্রে ঘুরতে গিয়েছিলাম। বাড়িতে এসেই বন্ধুদের কাছ থেকে জানতে পারলাম সামিয়ার দুইদিন পর বিবাহ। এটা শুনার জন্য আমি কোন রকম প্রস্তুথ ছিলাম না। কেননা আমি সামিয়া কে অনেক বেশি পছন্দ করি। সামিয়াদের বাসা আমাদের বাসা থেকে একটু দূরে ছিল৷ তারপরও আমি তাকে দেখার জন্য তাদের পাড়ায় গেলাম। সেখানে অবস্থান করার সময় আমি আসলেই জানতে পারলাম যে কিছুদিন পর ওর বিবাহ। কাঁচের গ্লাসটা ফাটা মাত্রই যেমন সেখান থেকে অঝোর জল বাহির হয়,ঠিক তদ্রূপ কেন যেন আমার হৃদয় থেকে এক অজানা কষ্ট বাহির হচ্ছে। আমি আর ওখানে থাকলাম চলে আসলাম এক নিরব নিস্তব্ধ পরিবেশে, যেখানে শুধু আমি একা। বসে বসে নিজে হারিয়ে গেলাম এক নিছক ভাবনার দেশে। চোখের সম্মুখেই দেখতে পারলাম এক ভেড়া তার ক্ষুধার্ত ভেরিকে আহার করানোর জন্য নিজে খাবার না খেয়ে কষ্ট করে নিজের মুখে করে খাবার নিয়ে আসছে আপন ক্ষুধার্ত ভেরির জন্য। দৃশ্যটা সত্যিই আমাকে অনেক পীড়া দিল। আমিও যদি ভেড়াটার ন্যায় তার করা সকল আবদার পূরণ করতে পারতাম কতই না ভালো হতো। কিন্তু সেটা কি আর কখনো সম্ভব আর কয়েকদিন পর সে চলে যাবে এক নতুন জগতে। সে নিজেকে আবিষ্কার করবে এক নতুন ধরায়,যেখানে আমার কোন সৃতি পরে রইবে না। আমাকে মুছে দিবে নিজেদের জীবন থেকে। আমি হয়তো আর কোনদিনই তার চিন্তার খোরাক হবোনা। হয়তোবা আর কোন দিনই তার নিজ কন্ঠে আমার নামটা উচ্চারণ করবে না। শীষে ভেজা ভোরেও হয়তো আর কোন দিন একসাথে হাঁটতে হাঁটতে পারি দিতে পারব না অচিনপুরে। জোসনা রাত্রিতেও হয়তো আর কোনদিন দুই মাথা এক হয়ে অবলোকন করতে পারবে না দূরের ঐ তারা ভরা আকাশটা। বৃষ্টির দিনেও হয়তো আর একসাথে প্রকৃতির নিরব ডাকে সারা দিতে পারব না। আকাশের পানি ধারা তখনও জমিনকে ভিজিয়ে যাবে। ভূমি তখনও মেঘভর্তি গগণের নিস্তব্ধ ডাকে সারা দিবে। কিন্তু ঐসময় হয়তো আমি আর ও থাকবো না। আমিও মেঘভরা আকাশের ন্যায় তাকে বজ্র কন্ঠে ডাকতে থাকব।কিন্তু সে আর কখনো আমার ডাকে সারা দিবেনা। সে বিচরণ করবে আমার থেকে অনেক দূরে। এই সমস্ত কথাগুলো ভাবতে ভাবতে উপলব্ধি করলাম শেষ বিকালের আকাশটা কে রঙিন সূর্য তার আপন রঙে রাঙিয়ে দিয়েছে। আমি নিরব স্থান থেকে চলে গেলাম নিজ বাসভবনে। এসে পহর গুনতে থাকলাম আর চলে যাওয়ার দিনগুলোকে। অবশেষে দিনটা এসেই গেল। সকলে তাদের বাড়িতে ভিড় জমিয়েছে আমিও তাদের মধ্যে একজন। সবাই নতুন বধুকে দেখার জন্য একত্রিত হয়েছে কিন্তু আমি কিছুতেই তাকে দেখার জন্য সাহস পেলাম না। আমি দূর থেকেই চলে গেলাম অনেকটা দূরে। কিছুদিন পর রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে অবলোকন করলাম যে সামিয়ার সাথে কে যেন রয়েছে। আমি অনুমান করতে পারলাম এই হয়তো সেই ভাগ্যবান ব্যাক্তি যে আমার সামিয়াকে নিজের করে পেয়েছে। সামিয়ার সাথে হঠাৎই দেখা সে যেন আপন দৃষ্টিতে আমার দিকে চেয়ে আছে আমিও তার দিকে চেয়ে চোখের কোনায় জমে থাকা অশ্রু ধরাকে মুছতে থাকলাম। পরে আমি চলে গেলাম অজানা অচেনা এক স্থানে এবং সৃতিচারণ করতে থাকলাম অতীতকে আর ভাবতে থাকলাম যে আসলেই নিজের আঁকা ভালোবাসাটা অপূর্ণই থেকে গেল।


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ১০৮ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now