বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
মরিচিকায় ভরা জীবন
লেখকঃ নাফিজ আহমেদ,,
ছেলেটি মুসলিম সমাজের একজন বাসিন্দা। সে এমন এক গ্রামে বসবাস করে, যেখানে সকলেই মুসলিম। কিন্তু মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করার পরেও, তার ধর্মের কোন বাধ্যবধকতার ভিতর নিজেকে নিমজ্জিত করে রাখত না সে। ভোরের সূর্যদ্বয়ের সময় সে নিজেকে নিন্দ্রার জগতে লেপটে রাখত। অথচ তার ধর্মের নিয়মানুযায়ী এই সময়ে তাকে ঘুম থেকে উঠে নিজেকে পরিষ্কার পরিছন্ন করে ওযু বানিয়ে অগ্রসর হতে হবে মসজিদের দিকে, কিন্তু সে সেটা না করে হারিয়ে আছে ঘুমের দেশে। অতঃপর সকাল যখন দুপুরে যাওয়ার উপক্রম উক্ত সময়ে ছেলেটি ঘুম থেকে উঠে কোন রকম কিছু খাবার খেয়ে বেরিয়ে যায় নানান রকম গর্হিত কর্ম সম্পাদনের জন্য। দুপুরে বাড়িতে ফিরে মায়ের সাথে বিভিন্ন ছোট-খাটো বিষয় নিয়ে লিপ্ত হয় জগড়া বিবাদে। রাগ করে বাড়ি থেকে বাহির হয়ে আড্ডা জমায় কিছু অসভ্য অভদ্র বন্ধুদের সাথে। বিভিন্ন রকম খারাপ কথাবার্তা, অশ্লিল ভঙ্গিমা, মন্দ কাজকর্মের ভিতর নিজেকে লিপ্ত রাখে। রাস্তার পাশে বসে পথচারীনিদের নিয়ে বিভিন্ন খারাপ ফ্যান্টাসিতে ডুবে থাকে সে। এইভাবে কাটিয়ে দেয় জীবনের গুরুত্বপূর্ণ মূহুর্ত। বিভিন্ন অন্যায় কাজ করে শেষ বিকালের অন্ধকারছন্ন্য পরিবেশে প্রত্যাবর্তণ করে নিজ বাসভবনে। বাড়িতে ফিরে কোন রকম খাবার খেয়ে হারিয়ে যায় মোবাইল ফোনের লাল নীল বায়বীয়তে। হরেক রকমের ভিডিও দেখে তুষ্ট করে নিজে প্রবৃত্তিকে। নফসের তারণায় হারিয়ে যায় অতল নীল গহ্বরে। একের পর এক ফায়সা ভিডিও দেখতে শুরু করে সে, কিন্তু ইহার যেন কোন অন্তিম নেই। রাতের মধ্যাংশের বেশি সময় লিপ্ত থাকে এই জগতে, যেই জগতে মানুষ আনন্দ নিয়ে প্রবেশ করলেও বাহির হয় একবুক দুঃখ, কষ্ট ও হতাশা নিয়ে। তার এই জীবনে বাহ্যিক কোন আনন্দ নেই। সে আনন্দকে অন্বেষণ করে মোবাইলের অতল ঐ নীল জগতে। এইভাবেই ছেলেটি কাটিয়ে দেয় তার জীবনের প্রতিটা মূহুর্ত। এ যেন এক মরিচিকায় ভরা জীবন।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now