বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
অতিতের সৃতিমাখা ঘাটঃ
লেখকঃ নাফিজ আহমেদ,
দীর্ঘদিন অতিবাহিত করার পর আসলাম সৃতি জড়িত সেই ঘাটের নিকটে। শৈশবে কত যে তার ভিতর ডুব দিয়েছি তার কোন ইয়ত্তা নেই। আমার এখনো মনে পরে একদিন এই ঘাটে গোসল করতে এসে ঘন্টার পর ঘন্টা পার হয়ে গিয়েছিল, তবুও বাড়িতে যেতে ইচ্ছা করছিল না। কিন্তু কি আর করা অবশেষে নেতৃপল্লব দুটি লাল করে রওনা করেছিলাম বাড়ির দিকে। এখন সময় খুবই ব্যাস্ততার ভিতর নিক্ষেপ করেছে, যার কারনে ইচ্ছা করলেও প্রাণ প্রিয় ঘাটটাতে একবারের জন্যও আসার উপক্রম হয় না। যেই ঘাটে কাটিয়ে দিয়েছি ডজন ডজন মূহুর্ত, সেখানে এখন একবারের জন্যই আসতে পারিনা। কাজের জন্য এখন বাড়ির বাইরেই থাকা হয়। বাড়িতে খুব একটা আসা হয় না। আর আসলেও খুব ব্যাস্ততার মধ্যে কাটাতে হয় প্রতিটা সময়। তবে আজ কেন যেন মনে হলো একটু ঘুরে আসি সেই স্থান থেকে যেখানে প্রতিটা রন্ধ্রে রন্ধ্রে শৈশবের সৃতিগুলো ভেসে আছে। এই জন্যই পারি জমালাম আমার প্রিয় ঘাটে। আমি একটু সম্মুখে এগিয়ে গেলাম। এবং তার ভিতরে জমিয়ে রাখা প্রাণ নামক পানির কণা আমার শরীরে আলতো করে ছোঁয়া দিলাম। মনের ভিতর এক অন্য রকম অনুভূতির যশ খেলে গেল। যেই অনুভূতি বিগত বছর গুলোতেও পায়নি। আমি দৃষ্টি নিক্ষেপ করলাম ঘাটের মধ্যখানে আর সৃতিচারণ করলাম এইতো কিছুদিন আগেও এই ঘাটের ভিতর সাঁতরিয়ে এইপার থেকে ঐপার বিচরণ করে বেড়াতাম। আহ কতইনা আনন্দময় ছিল সেই সমস্ত মূহুর্তগুলো। কত রকমের সাঁতার। পানির ভিতর আবার লুকোচুরি খেলা। সেই সমস্ত মূহুর্তগুলো জীবনের এক প্রেরণাদায়ক অতীত হয়ে নিহিত থাকবে চিরকাল। যেই অতীত গুলো লাখ টাকা খরচ করলেও আর কখনো উপলব্ধি করতে পারবো না। কেননা এখন একএকজন এক-এক জায়গায় অবস্থান করছে। অনেকক্ষণ যাবৎ ঘাটটাতে অবস্থান করলাম। অবশেষে বিদায় নেবার সময় হয়েছে। কেন যেন হৃদয়ের ভিতরে এক অজানা ব্যাথা কাজ করছে। মনে হচ্ছে আর কি কখনো আসা হবে এই জায়গাতে। আর কি কখনো দেখা মিলবে তার সাথে। চোখের কোনায় জমে থাকা অশ্রুটা হঠাৎ বাহির হয়ে গেল। আমি চক্ষুদ্বয় মুঁছতে মুঁছতে ফিরে আসছি বাড়ির দিকে। এবং স্মরণ করছি পেছনে ফেলে আসা সৃতিগুলো। চোখের সামনেই ভেসে ওঠছে সবকিছু। সর্বশেষ নিজের ভাষা বিদায় দিই সৃতি জড়িত সেই ঘাটকে। যেখানে আটকিয়ে আছে লেখকের লেখা নানান গল্প সমূহ।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now