বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
বেদনাদায়ক অতীতঃ
লেখকঃ নাফিজ আহমেদ,,
কোন একদিন পড়ন্ত বিকালে,, সে আমাকে খুঁজতে খুঁজতে ক্লান্ত স্লান্ত হয়ে নীড়ে ফিরবে। সেইদিন হাজার চাইলেও আমি তার সান্নিধ্যে আসতে পারবো না। অথচ আমি বাড়ির পাশে ঐ বাঁশ বাগানে বাঁশের বেড়া দিয়ে সাজানো ঘরটাতে শাহিত থাকব। পরিশেষে ডুবন্ত সূর্যের ন্যায় সেও আমার কবর থেকে নিকোষ কালো অন্ধকারের মতো, মনের উপর বেদনার চাদর আবৃত করে, চোখের কোনায় জমে থাকা অশ্রুধারা মুছতে মুছতে বাড়িতে ফিরবে।
মায়ের কথা রাখতে নতুন ভর্তি হলাম প্রায়মারি স্কুলে। লেখাপড়ায় ভালোই ছিলাম। প্রতিদিন সকালে প্রাইভেট অতপর স্কুল এই ভাবেই কাটতে থাকে প্রতিটা মুহূর্ত। একদিন প্রাইভেট পড়তে পড়তে পরিচিত হলাম এক বালিকার সাথে। আমি অনুভব করতে পারলাম বালিকাটি আমার প্রতি দুর্বল। এরপরও আমি তাকে ধরা দিলাম না। আমি তাকে একটু বাজিয়ে দেখতে চাইলাম। একদিন আমার আইসক্রিম খেতে ইচ্ছা করল। আমি আমার ইচ্ছাটা ব্যাক্ত করলাম সকলের সম্মুখে। সবাই স্থির হয়ে উপবিষ্ট থাকল। কিন্তু আমি অবলোকন করলাম যে বালিকা তার বইয়ের ব্যাগ থেকে পাঁচ টাকার একটা কয়েন বাহির করে আমার দিকে এগিয়ে দিল। আমি একটু অবাকও হলাম। এর পরে মাঝেমধ্যে সে আমার জন্য চকলেটও অন্যকিছু আনত। আমি বিষয়টা পুরোপুরি অনুধাবন করতে পারলাম। এবং আমিও তাকে কিছু একটা বলে দিলাম। সেই থেকে সম্পর্কটা আরো গাঢ় হলো। প্রতিদিন দুপুরে একই সাথে একই টেবিলে খাবার খাইতাম। আমার খাবার স্কুলে নিয়ে যাওয়া হতো। আর বালিকা বাড়িতে খেতে যেত কিন্তু যেদিন থেকে আমাদের সম্পর্কটা গভীরে যেতে থাকল সেই দিন থেকে সেও স্কুলে খাবার আনতে শুরু করল। আমি স্কুলে তাড়াতাড়িই আসতাম। যখন ওর হাতে দুপুরের খাওয়ার টিফিনটা দেখতে পেতাম আসলেই নিজের মধ্যে এক অন্যরকম ভালোলাগা কাজ করত। একটা কথা বলে রাখি সে ছিল আমার এক ক্লাসের উপরে। তারপরও প্রায় সময়ই আমি তার সাথেই থাকতাম। স্কুল শেষে একই সাথে বাড়িতে ফিরতাম। দৈনন্দিন বিকালে একই সাথে নানান রকমের খেলার করতাম। (এটা শুধু আমার লেখা নয় এটা আমার জীবনে ঘটে যাও সেরা সৃতিগুলোর অন্যতম।) মাঝেমধ্যে চুরি করে ওকে দেখতাম। ও ৫ম শ্রেণি পাশ করে হাইস্কুলে চলে আসল। তখনো ওর সাথে আমার অনেক গভীর সম্পর্ক। আমাদের সম্পর্কটা তিন বছর স্থায়ি ছিল।
তারপর কোন একদিন পড়ন্ত বিকালে আমি জানতে পারলাম যে ওর পরিবার ওকে অন্য জায়গায় বিবাহ দিয়েছে। খবরটা শুনে অন্তরের ভিতর একটু খারাপ লাগা কাজ করছিল। কিন্তু কি আর করা সময়ের শাষণতো সকলেরই মেনে নিতে হবে। শেষ কয়েক মাস তার সাথে কোনরকম চোখের দেখাও হয়নি। যেই মেয়েটার সাথে প্রতিদিন বারংবার দেখা হতো,যাকে ছাড়া একটা মুহূর্তও কাটাতে পারতাম না। যে সব সময় আমার অপেক্ষায় অপেক্ষিত থাকত। যে মানুষটা দুপুরের খাবারে আমার জন্য আলাদা এক অংশ নিয়ে আসত তার সাথে আজ প্রায় এক বছর দেখা হয়নি। তবে বাস্তবে দেখা না হলেও মাঝে মধ্যে স্বপ্নে জগতে দেখা হয়, কথা হয়, আগের মধ্যে একই সাথে পথচলা হয়। একই সাথে হাঁটতে হাঁটতে পথ অতিক্রম করে পারি জমায় কোন এক অচেনা শহরে। আবারও হয়তো কোন এক পড়ন্ত বিকালে রাস্তার মোড়ে দেখা হবে। কিন্তু এই ভেবে কষ্ট লাগছে যে সেদিন হাজার চাইলেও কথা হবে না। নতুবা কোন একদিন ওর কর্ণকহরে খবর পৌঁছাবে যে আমি আর এই পৃথিবীতে নেই। সেদিন ও মনটা ভার করে আমার সাথে দেখা করতে আসবে। কিন্তু আমি চাইলেও ওর সাথে দেখা হবেনা। এটাই বাস্তবতা। { লেখার মাধ্যমে প্রকাশ করলাম হৃদয়ের ভিতর জমে থাকা একটা গল্প।}
আজ তুমি নেই তাই
কিছু মিলিয়ে যায়।
এক পড়ন্ত বিকালে,
এসেছিলে মোর জীবনে।
ফুটন্ত গোলাপের ন্যায়,
আবির্ভাব হয়েছিল তোমার।
সেদিনের মধুমাখা জীবণ,
আজ দুঃখে ভাষা কাদন।
আজও মন কাদায়,
তোমার অপেক্ষায়।
তোমার রহস্যময় হাসি,
সর্বদা ভেবে থাকি।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now