বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
আমি হাসি শুরু করে দিচ্ছিলাম, কিন্তু ছোট চাচার মুখ দেখে আর সাহস হল না। তিনি ঘাড়টা বাঁকা করে এক জায়গায় বেশ জোরে জোরে মালিশ করে যাচ্ছেন। নিশ্চয়ই খুব ব্যথা লেগেছে। কারো ব্যথা লাগলে সেটা নিয়ে তো আর হাসা যায় না!
এদিকে মনে হচ্ছে খালেদ আর রাজুর সাথে ছেলেটার বেশ বন্ধুত্ব হয়ে গেছে। হাত নেড়ে, চোখ বড় করে, শরীর ঝাঁকিয়ে অনেক রকম ভাবের আদান প্রদান হয়ে যাচ্ছে। আমিও গিয়ে যোগ দিলাম।
খালেদ হাত ঝাঁকিয়ে নিজেকে দেখিয়ে বলল, খালেদ। ছেলেটা, যার নাকটা একটু চাপা, ঘাড় পর্যন্ত লম্বা চুল, একেবারে গোলাপী গায়ের রঙ এবং গ্রীক দেবতাদের মত সুঠাম শরীর, নিজেকে দেখিয়ে বলল, খোয়াংসা চাই। থোয়াংসা চাই ? তোমার নাম?
ছেলেটা মাথা নাড়ল। রাজুর দিকে আঙুল দেখিয়ে তার নাম জানতে চাইল। রাজু বলল, রাজু।
আমার দিকে তাকিয়ে জানতে চাইল, আমি বললাম টোপন। টোপন? ছেলেটা আবার পেটে হাত দিয়ে হি হি করে হাসতে হাসতে মাটিতে গড়াগড়ি দিতে শুরু করে। টোপন নামটাতে এত হাসির কি থাকতে পারে, আমরা
বুঝতে পারলাম না।
থোয়াংসা চাইয়ের সাথে আমাদের যত সহজে ভাব হল, আমার মনে হয়, এত তাড়াতাড়ি আমাদের এর আগে কারো সাথে বন্ধুত্ব হয়নি। একজন আরেকজনের কথা বুঝি না, কিন্তু তবুও আকারে ইঙ্গিতে চোখের ভাষায় তাকে সবকিছু বুঝিয়ে দিলাম। আমরা যাচ্ছি একটা অ্যাডভেঞ্চারে, দূর পাহাড়ে টি-রেক্সের সন্ধানে। আমাদের পেছনে লেগেছে এক ভয়ঙ্কর বদমাশ সাহেব। তার সাথে যোগ দিয়েছে কাচু মিয়া নামের একজন খুনে। আমাদের নৌকা আক্রমণ করার চেষ্টা করেছিল। আমরা কোনমতে পালিয়ে এসেছি। তাই আমরা এখন পাহাড়ের মাঝে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছি। পাহাড়টা পার হয়ে অন্য পাশে গিয়ে নৌকা ধরব। সেখানে মুসলিম ভাই আমাদের জন্যে নৌকায় অপেক্ষা করছেন।
থোয়াংসা চাই কতটুকু বুঝল, কে জানে, কিন্তু দেখলাম সে খুব গম্ভীর হয়ে তার জিনিসপত্র গোছাতে শুরু করল। দড়ির ফাসটা পেঁচিয়ে গলায় ঝুলিয়ে নিল, ঝোপের ভেতর থেকে বের করে আনল তীর ধনুক, বাঁশের তৈরি তামাক খাওয়ার একটা পাইপ, তারপর রাম দাটা হাতে নিয়ে সে বুঝিয়ে দিল সে প্রস্তুত।
আমরা কিসের জন্যে প্রস্তুত জানতে চাইলাম, সে আকারে ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিল যে, সে আমাদের সাথে যাবে। যদি সেই সাহেব বা কাচু মিয়া এসে হাজির হয়, সে এক কোপে তাদের মাথাটা নামিয়ে দেবে। শুনে আমাদের আনন্দ দেখে কে! বাচ্চা একটা ছেলে, বয়স নিশ্চয়ই আমাদের থেকে একদিনও বেশি হবে না, কিন্তু কী আশ্চর্য তার
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now