হৃদয়ের নীলপরী পর্ব ১৬
X
রনির এই অবস্থায় মা কাঁদতে লাগলেন।নিজেও কিছু লললো,"ভাইয়া কোথায়?"
"ভাইয়ার রুমে।"
রিফাহ রনির রুমে ঢুকে দেখলো চুপচাপ রনি।রিফাহ ডাক দিল।রনি রিফাহর দিকে তাকালো।রিফাহ বললো,"ভাইয়া।"
রনি বললো,"সে কি আসবে না!"
"আসবে।"
"কখন আসবে।আমি তো তার জন্য অপেক্ষা করছি।তুই একা কেন রে?তাকে রেখে এসেছিস নাকি?"
"ভাইয়া সে বাসায়।"
রনি অস্থির হয়ে বলল,
"কেন নিয়ে আসিছনি?আমি তার কাছে যাবো।"
"ভাইয়া।"
রনি বাসা থেকে বের হলো।রিফাহ আয়শার কাছে যেয়ে বললো,"ভাইয়া মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছে।"
"কি বলো?"
"আচ্ছা থাক আমি ভাইয়ার সাথে যাই দেখি কি করে।"
"আচ্ছা যাও।"
রনি ইসরাতের বাসায় সামনে দাড়িয়ে গেল।ইসরাতকে বারান্দায় দেখতে না পেয়ে বাড়ির ভেতরে ঢুকলো।রিফাহও পিছে পিছে গেল।রনি গেটে নক করছে।ইসরাত গেট খুলে রিফাহর হাতে এক টান দিয়ে ভেতর ঢুকিয়ে গেট লাগিয়ে দিল।রিফাহ বললো,"ভাইয়া।"
ইসরাত কোনো কথা না শুনে রিফাহর হাত রুমের মধ্যে নিয়ে এলো।রনি গেটের সামনে দাঁড়িয়ে আছে।অনেক্ষন হয়ে গেল গেট খুলছে না।৩ ঘন্টা হয়ে গেল।রনি সিঁড়ির ওপর বসে আছে।আবার গেটে নক করলো।কিন্তু গেট খুলল না।বিকেলে ইসরাত বের হলো।রনি ইসরাতের দিকে তাকিয়ে থাকলো।ইসরাত সোজাসুজি চলে গেল।রনিও ইসরাতের পিছনে পিছনে যেতে লাগলো।রিফাহ রনিকে থামিয়ে শান্ত আর নীরবের কাছে নিয়ে গেল।রনি চুপচাপ বসে আছে।শান্ত আর নীরবও মন খারাপ করে আছে।রাতে রনি আবার ইসরাতের বাসার ভেতর গেটের সামনে থাকলো।কিন্তু গেট খুলল না।কেউ গেট খুলতে চাইলেও ইসরাত বাধা দেয়।রনি সারারাত সিঁড়ির ওপর বসে থাকলো।কিন্তু ইসরাত এলো না।সকালে বাসায় গেল।রনির মা বললো ,"আয় বাবা খা।"
টেবিলে মুরগির তরকারি চোখে পড়তেই রনির মনে হলো ইসরাত মুরগি খেতে পছন্দ করে।রনি মুরগির বাটি হাতে নিয়ে ফ্লোরে ফেলে দিলো।ভাতের প্লেটও ফ্লোরে ফেলে দিয়ে নিজের রুমে যেয়ে দরজা লাগিয়ে দিল।রিফাহ বললো,"আন্টি ভাইয়াকে গালি দিবেন না।ভাইয়ার মাথা ঠিক নেই।"
রনি মা খেলেন না।বাবা যেটুকু খেয়েছেন খেয়েই উঠে গেলেন।মা বসে আছেন খাবার সামনে রেখে।আয়শা খেয়ে উঠে গেল।রিফাহ রনির দরজায় নক করতে করতে বললো,"ভাইয়া গেট খুলো ভাইয়া।ওই ভাইয়া ইসরাত আসবে তো,ভাইয়া।"
রনি গেট খুলল না।মাঝরাতে রিফাহ উঠে রনির রুমের সামনে দাঁড়ালো।গেটে হাত রাখতেই গেট খুলে গেল।রুমে রনি নেই।বারান্দায় যেয়ে দেখলো বারান্দার এক কোনে রনি বসে আছে চোখ বন্ধ করে।হয়তো ঘুমোচ্ছে।রিফাহ আর ডাক দিল না।ডাক দিলে হয়তো আর ঘুম আসবে না।সকালে ঘুম থেকে উঠে রিফাহ রনির রুমের বারান্দায় যেয়ে দেখলো রনি নেই।রিফাহ দেরি না করে বাসায় গেল।দেখলো রনি গেটের সামনে সিঁড়ির ওপর বসে আছে।রিফাহ রনির পাশে বসলো।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now