বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
অনেক দিন পর গার্লফ্রেন্ডের সাথে দেখা করতে চাইছি, গার্লফ্রেন্ড রাজি হইছে.
আজকে সকালে দেখা করছিলাম আমরা,
মোটামুটি ২ মাস পর আজকে দেখা হবে বলে কাল রাতে ৩৬০০ টাকা মিলিয়ে মানিব্যাগে রাখছি।
৭ টা ৫০০ টাকার নোট ৩ টা ২০ টাকার নোট,৩ টা ১০ টাকার নোট আর ২ টা পাঁচ টাকার নোট।
সকালে ফ্রেশ হয়ে গেলাম, যেখানে গার্লফ্রেন্ড কে আসতে বলেছিলাম, বেশী সময় অপেক্ষা করতে হয়নি
সে ২ ঘন্টা তিন মিনিট পর এসেছে।
এটা তার প্রতিদিনের অভ্যাস, আগে দুইবার দেখা করছিলাম ৭ মাসের রিলেশনে, দুই বারে আমাকে ৩ ঘন্টা অপেক্ষা করিয়েছিলো।
সেই হিসাবে আজকে ৫৭ মিনিট আগেই এসে গেছে এতেই আমি প্রচুর খুশি হইছি।
তো এসেই বললো তুমি কখন এসেছো? আমি বলছি এই মাত্র আসলাম, ২ ঘন্টা হবে।
সেঃ ওহ আমি ভাবছি ৩-৪ ঘন্টা আগে এসে বসে আছো
যাক বেশী সময় তোমাকে অপেক্ষা করতে হয়নি তোমাকে।
আমি কিছু বলতে পারলাম না শুধু অবাক হয়ে মুখের দিকে থাকিয়ে ছিলাম।
যাই হোক এরপর একটা রিক্সায় উঠে কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরি করে একটা পার্কে এসে বসে গল্প করলাম কিছুক্ষণ।
তারপর আবার রিক্সায় করে একটা রেস্টুরেন্টে সামনে আসলাম।
এসে রিক্সা থেকে নেমে রিক্সা ওয়ালাকে ২০ টাকা ভাড়া দিলাম। তারপর মানিব্যাগ পকেটে ডুকিয়ে রেস্টুরেন্টে ভিতরে ডুকলাম।
কি কি খেতে চায় জানতে চাইলাম,সে ইচ্ছে মতো অর্ডার করলো, বেশ জমিয়ে খাওয়া চলবে, খাবার চলে এসেছে টেবিলে।
আমার একটা অভ্যাস আমি যেকোনো জায়গায় যাই কিনি না কেনো কিনার আগে আমার পকেট চেক করি,
রেস্টুরেন্টে ডুকার আগে রিক্সা ভাড়া দিয়েছি
তাই চেক না করেই অর্ডার দিয়ে দিছি।
তারপর ও খাওয়ার আগে আরেক বার চেক করে নেই
ভেবে পকেটে হাত দিছি।
ওমা মানিব্যাগ নাই গার্লফ্রেন্ড কে বসিয়ে রেস্টুরেন্টের সামনে আসলাম মানিব্যাগ পড়ছে কিনা দেখার জন্য। চার দিকে খুজলাম কিন্তু পাইলাম না।
আবার গেলাম রেস্টুরেন্টের ভিতরে গার্লফ্রেন্ড কে বললাম,এখন উপায়? গার্লফ্রেন্ড বলে আমি বেশী টাকা আনিনি ১০০০ আছে আমার কাছে নিতে পারো।
বিল হবে ১৮০০-১৯০০ টাকা, এখন উপায় কি হবে ভাবতাছি, ওই দিলে মাথা নিচু করে গার্লফ্রেন্ড খেয়েই যাচ্ছে।
গার্লফ্রেন্ড এর মাথার চুল দেখে একটা বুদ্ধি আসলো,
কিছু খাবার খেয়ে আমার মাথা থেকে কয়েকটা চুল দিছে খাবারে ফেলে দিলাম। গার্লফ্রেন্ডের খাবারে ও কয়েকটা চুল রাখলাম।
তারপর ম্যানেজার কে ডেকে এনে বললাম এই সব কি?
খাবারে চুল কেন? এই সব খাবার মানুষদের খাওয়ান?
আর কতো কিছু বললাম।
ম্যানেজার তার সকল কর্মচারী কে ডেকে এনে আনলো
ম্যানেজার সহ ১৭ জন কর্মচারী ছিলো ওই রেস্টুরেন্টে।
সবাই এক লাইনে দাঁড়ালো তারপর ম্যানেজার বললো, খাবারে চুল পাইছেন? কিন্তু আমাদের স্টাফের কারো মাথায়ই চুল নাই বলে সবার মাথার টুপি খুললো
শালাদের মাথা পুরা মরুভূমি হয়ে আছে দেখি,
সিসি ক্যামেরাতে দেখলো আমি নিজেই যে চুল রাখছি।
তারপর কি আর করা,গার্লফ্রেন্ড কে বাসায় পাঠিয়ে আমাকে ও মাথা মরুভূমি করে ওদের সাথে তিন দিন কাজ করতে হবে আজ থেকেই।
#জিদ্দাদুর
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now