বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
লেখকঃ কাকার ভাতিজির জামাই
ঘরের দরজার সামনে দাড়িয়ে আছি ।
আর চোখ দিয়ে শুধু অঝরে অশ্র পড়ছিলো । .
কারন রুমের ভেতরে আমার মা অসুস্থ ...।
পৃথিবী তে আমার আপন বলতে শুধু একমাত্র আমার মা । .
ছোট বেলায় বাবা হার্টএ্যাটাক মারা যান ।
আমি শুধু তার একমাত্র ছেলে ।
আজ আমার কারনে আমার মা অসুস্থ হয়ে পরেছেন ।
হঠাৎ করে রুম থেকে ডাক্তার মেডাম বের হলেন ।
আমি কান্না থামিয়ে ।
ডাক্তার মেডামকে জিজ্ঞেস করলাম ..
-- কেমন আছে আমার মা (আমি)
-- ভয়ের কোনো কারন এমনি একটু মাথা ঘুরে গিয়েছিলো আর তাছারা ওনার এখন রেস্ট এর প্রয়োজন । এই বয়সে এখন ঘরের কাজ কর্ম গুলো যত কম করবে তত ভালো ।
আমি কিছু ঔষধ লেখে দিচ্ছি আপনি সময় মতো ওনাকে খায়িয়ে দিয়েন দেখবেন দুই তিনদিনের মধ্যে ভালো হয়ে যাবে । (ডাক্তার মেডাম )
-- ঠিক আছে মেডাম (আমি)
তারপর ডাক্তার মেডাম চলে গেলেন ।
আর আমি তাড়াতারি করে আম্মুর রুমে গেলাম ।
গিয়ে আম্মুর হাত ধরে কাদতে কাদতে বললাম
-- মা তুমি যাকে বিয়ে করতে বলবে আমি তাকে বিয়ে করতে রাজি । তবুও তুমি এভাবে নিজেকে কষ্ট দিয়ো না । আমি সইতে পারবো না । (আমি)(কেদে কেদে)
আম্মু আমার মাথায় হাত বুলিয়ে বলে ।
-- সত্যি তুই পছন্দের মেয়েকে বিয়ে করবি ।(আম্মু)
-- হ্যা আম্মু করবো তুমি যাকে বলবে আমি তাকেই বিয়ে করবো (আমি)
আম্মু একটু হেসে আমার চোখের জল মুছে দিয়ে বললেন
-- এই তো আমার লক্ষী ছেলে (আম্মু)
আমার কপালে একটা চুমু দিয়ে বললেন ।
-- আজকে আর অফিসে যেতে হবেনা । বিকালে আমাদের গ্রামের বাড়ি যাবো (আম্মু)
-- আচ্ছা (আমি)
তারপর আমি আম্মুকে নিজ হাতে সুপ বানিয়ে খাওয়ালাম । আর ঔষধ খায়িয়ে দিলাম । আম্মু এখন ঘুমাচ্ছে ।
আর আমি ওনার পাশে ওনার হাত ধরে বসে আছি ।
আর নিজেকে নিজেই গালাগালি করছি ।
কারন আমি যখন অফিসে যাচ্ছিলাম সকালে
তখন আম্মু আমাকে বলে
-- এভাবে আর কতদিন থাকবি এবার একটা বিয়ে করে নে না (আম্মু ).
-- দেখো আম্মু আমি এখন বিয়ে টিয়ের সম্পকে জরাতে চাইনা । আর তাড়াছা এখন বিয়ে করে সংসার জিবনে দায়ীত্ব নিতে পারবো না । (আমি)
-- কেনো পারবি না ..! প্রতিদিন তো তুই অফিস চলে যাস সারাদিন বাসায় কত কাজ একা একা করতে হয় আমাকে । এই বয়সে এসেও কি একটু বিশ্রাম করতে পারবো না ..!(আম্মু)
-- তাহলে কাজের লোক রেখে দাও কিন্ত আমি এখন বিয়ে করতে পারবো না ব্যাস (আমি)
যখন ঘর থেকে বের হচ্ছি তখন কিছু একটা আওয়াজ হলো । পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখি আম্মু মেজেতে পরে আছে ।
জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে ।
আম্মুকে মেজেতে পরে থাকতে দেখে আমার পুরো পৃথিবী কয়েকমূহুতের জন্য থমকে জায়গায় ।
দৌড়ে গিয়ে আম্মুকে কোলে তুলে রুমে নিয়ে যাই ।
তারপর অনেক ডাকাডাকি করার পর ও জ্ঞান ফিরছিলো না মনের মধ্যে একটা অজানা ভয় ঝেকে বসলো ।
আর দেরি না করে আমাদের ফ্যামিলি ডাক্তার করে কল করে বললাম বাসায় চলে আসতে
তারপর তিনি আসার পর কি কি হলো তা তো জানেনই ।
মনের মধ্যে সেই ভয়টা মুহুতেই উধাও হয়ে গেলো মায়ের মুখের হাসি দেখে ।
যার ঘরে মা আছে তার একটি জান্নাত আছে । .
আর আমি সেই মাকে আজ কষ্ট দিছি জানি না আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করবে ন কিনা ।
এসব ভাবতে ভাবতে আমি ও আম্মুর কোলের কাছে ঘুমিয়ে পরলাম।
হঠাৎ করে আম্মুর ডাকে ঘুম ভেঙে গেলো । চোখ খুলে দেখি আম্মু সামনে দাড়িয়ে আছে ।
আমি কিছুটা অবাক হয়ে বললাম ।
-- আম্মু তুমি উটলে কেনো তোমার এখন বিশ্রাম দরকার পিল্জ তুমি শুয়ে থাকো ।(আমি)
-- সারাদিন কি শুয়েই থাকবো সকাল ঘরিয়ে দুপুর হয়ে গেলো খাবি না আয় খেতে আয় (আম্মু)
আর কোনো কথা বললাম না ঘরির দিকে তাকিয়ে দেখি 2 টা বেজে গেছে ।
আমি উঠে ফ্রেশ হয়ে মেনেজার সাহেব কে ফোন করে বলে দিলাম আজ আর অফিসে আসবো না ।
বাবার রেখে যাওয়া সম্পত্তি পুরোটাই একা দেখাশোনা করতে হয় । সেগুলোর জন্যই সময় পাইনা । এখন আবার বিয়ে করলে সংসারে কিভাবে সময় দিবো তাই ভাবছি ।
আর বিয়ে না করেও উপায় নেই । মায়ের এখন বিশ্রাম এর দরকার । একা হাতে সারাদিন ঘরের কাজ গুলো আর কতদিন ই বা করবে ।
আর কিছু না ভেবে খাবার টেবিলে বসলাম।
তারপর আম্মু ভাত বেড়ে দিলো ।
তারপর আম্মু নিজে হাতে তুলে খায়িয়ে দিতে লাগলো ।
প্রতিদিন ই দেয় ।
খাওয়াতে খাওয়াতে আম্মু বলল
-- এবার একটা বিয়ে হয়ে গেলেই আমি বাচি প্রতিদিন আর তোকে তুলে খায়িয়ে দিতে হবে না বউ এসে খায়িয়ে দিবে ..(আম্মু)(হাসিমুখে)
-- হু আমি তোমার হাতে ছাড়া খাবোই না (আমি)
আম্মু আমার কথা শুনে হাসতে লাগলো তারপর আম্মু ও খেয়ে নিলো ।
আমি গিয়ে রেডি হয়ে নিলাম ।
এখন যাবো গ্রামের বাড়ি ।
কিন্ত কেনো তা জানিনা ।
তারপর আম্মু ও তৈরি হয়ে বের হলেন । আমি গাড়ি বের করলাম ।
আম্মু গাড়িতে বসলেন ।
তারপর আমি আম্মুকে বললাম। আম্মু গ্রামের বাড়ি কেনো যাবে আর কোথায় উঠবে । (আমি)
-- সোজা তোর খালাদের বাসায় উঠবো ।(আম্মু)
-- কেনো (আমি)
-- গেলেই বুজে যাবি এখন চল (আম্মু)
তারপর আর কোনো কথা না বলে গাড়িতে চালাতে লাগলাম আপন মনে ।
দেড় ঘন্টার মধ্যে খালাদের বাড়ি পৌছে গেলাম । আম্মু নেমে ভেতরে গেলো আর আমি গাড়ি পার্ক করলাম।
তারপর আমি ও ভেতরে গেলাম ।
গিয়ে তো আমি অবাক সবাই দেখি এক জোট হয়ে বসে আছে । আমি প্রথমেই খালা আর খালু কে সালাম দিলাম ।
তারপর খালা আমাকে বসতে বললেন ।
আমি আম্মুর পাশে গিয়ে বসলাম। .
আমার এখন একটু লজ্জা লাগতে শুরু করলো । কারন বাড়ির সবাই এক জায়গায় ।
আর আমার দিকে কেমন ভাবে জানি তাকিয়ে ছিলো ।
কি করবো বুজতে পারছিলাম না ।
আম্মুকে কানে কানে জিজ্ঞেস করলাম ।
-- আম্মু ওনারা সবাই এভাবে তাকিয়ে আছেন কেনো (আমি)
আম্মু হেসে জবাব দিলো
-- নতুন জামাই দেখছে (আম্মু)
কথাটা শুনা মাত্রই চমকে গেলাম ।
বুজতে বাকি রইলো না আম্মু কেনো এখানে এসেছে ।
নিশ্চয়ই খালামনির মেয়ের সাথে আমার বিয়ে দেওয়ার জন্য এখানে এনেছেন । কিন্ত এটা কি করে সম্ভব । ওই পেত্নি টাকে বিয়ে করলে আমার জিবন নরক বানিয়ে ছারবে ।
আর তাছারা আমার থেকে বয়সে কম করে হলে 7 বছরের ছোট হবে ..
তাই আম্মু কে কানে কানে বললাম,,,,,,,,,,
চলবে,,,,,,,
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now