বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
রিহা যে রেগে গেছে মনে হয় না তো আর কোনদিন আসবে আমাদের রুমে, আমারো কিছুটা খারাপ লাগলো মেয়েটাকে রাগালাম অযাথা,,
আসলে মেয়েটাকে আমার অনেক ভালো লাগে বেশি করে তার রাগান্বিত মুখটা দেখলে,তাই তো রাগাই হয়তো ও বুঝতে পারে না বলেই অভিমান করে চলে যায়,
মানুষ যদি রাগের মধ্যে লুকিয়ে থাকা ভালোবাসাটা দেখতে পারতো তাহলে কখনোইই প্রিয় মানুষটিকে ছেড়ে যেতো নাহ,আমি নিজেও জানি নাহ রিহা কে কেমনে এতোটা ভালোবেসে ফেলেছি,,
পরের দিন সকালে ভাবলাম আজ রিহার সম্পর্কে জানা লাগবে ওর বাড়ি কই,,ব্রাশ নিয়ে ছাদে যেতেই দেখি বাড়িওয়ালা আংকেল আর রিহা তাদের ফুলের টবগুলোতে পানি দিচ্ছে,,
আমি গিয়েই আংকেল কে সালাম দিলাম আসসালামু আলাইকুম আংকেল,,
আংকেলঃ ওয়ালাইকুম আসসালাম বাবা আসো,
- হুমমমম আংকেল,
আংকেলঃ বাবা তোমার সাথে অনেক কথা ছিলো বলার সময়ই পাইনি,,দারাও আজ বলি,
এ হচ্চছ আমার মেয়ে রিহা,
(রিহাকে দেকিয়ে বললো),,
আমি মনে মনে ভাবচি এ রে আজ গেছি সেদিন তো ঝগড়া করলাম বাসা নিয়ে,আজ কি হবে কে জানে, ও আল্লাহ বাচাও,,)
আংকেলঃ কি ভাবছো বাবা,,
- না আংকেল কিছু নাহ,আসলে ভাবতেছি এটা আপনার মেয়ে তো, নাকি অন্য কারো,,?
আংকেলঃ হাহা বাবা কি যে বলো,ও তো আমারই মেয়ে অন্য কারো হবে কেন,
-আংকেল ভালো করে বলেন,মজা করেন কেন,?
আংকেলঃ আরে বাবা আমি মজা করছি নাহ,ও আমারই মেয়ে,,বাইরে ছিলো এসএসসি পরিক্ষা শেষ তো তাই বাসায় চলে এসেছে, তোমাকে বলাই হয়নি,
(আর এদিক দেখছি রিহা শুধু হেসেই যাচ্ছে এই হাসি কবে থেকে যে নিজের করে পাবো কে জানে, শেষে কি না পিচ্ছি পাগলী টাকে ভালোবাসলাম তাও আবার বাড়িওয়ালার মেয়ে, থাক আর সামনে যাওয়া যাবে নাহ নইলে লে ছক্কা সোজা বাড়ির বাহিরে পাঠিয়ে দিবে বাড়িওয়ালা আংকেল,)
মা রিহা এদিকে আসো তো,,
রিহা: জ্বী আব্বু,,
আংকেলঃ মা এ হলো তোমার বড় ভাইয়া আবির, ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে পড়ে আমাদের দোতলায় ভাড়া থাকে ও আর ওর ফ্যামিলি,
রিহাঃ হাই ভাইয়া,,,
(বলে আমার হাতধরে ফেললো আহ কি নরম হাত ছাড়তেই ইচ্ছা করছিলো নাহ,কিন্তু রিহা আমার হাতে চিমটি দিয়ে কি জেন ইশারা করলো তবে হয়তো এটাই বলচিলো যে হাতছাড়ো বাবা আছে, ভাইরে এই টানা টাগর টাগর চোখ দিয়ে যে ইশারা করলো এটা দেখে ওর ওপর আরও ক্রাস খেয়ে গেলাম,,আগে এমনিতেই ওই কিউট চেহারা গোলাপী মায়বাী ঠোট দেখে ক্রাস খাইছি এখন আবার চোখের ইশারায় যেন হারিয়ে গেলাম, এবার ঠেলা কেমনে যে সামলাই,,
এদিকে রিহা হাত ছেড়ে লজ্জাতে যেন লাল হয়ে গেছে, ওড়নার কোনা দিয়ে মুখটা আড়াল করে রাখতে ব্যাস্ত হয়ে গেছে,,
আমি দেখে তো হেসেই দিলাম,ও মুচকি হাসি দিলো, আমি রিহার দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে আছি,ও এবার হাত দিয়ে ইশারা করলো বাসায় যেতে এবং ফ্রেশ হতে,,
আমি তাই করলাম শুধু মাথা দিয়ে সম্মতি জানালাম যাচ্ছি,,আর দেরি না করে ৪জি স্পিডে এসে ৫জি স্পিডে ফ্রেশ হলাম, খাওয়া দাওয়া করে নামাজের জন্য পান্জাবী পায়জামা ধুয়ে শুকাতে দিতে গেলাম ছাদে,,
কি রে ১১ টা পার হলো রিহা এখনো ছাদে আসে নাহ কেন আমার তো আর ভালো লাগছে নাহ,তাই গান ধরলাম,,, ও তুই থাকিস যদি পাশে আমার মনটা খালি হাসে,আমি শুনাবো তোকে ঘুম পারানির গান,৷ যদি চোখ পরে যায় চোখে যায় চোখে, তুই তাকিয়ে পরবি অন্য দিকে, আমি বুজবো ঠিকই তুই যতই করিস ভান,,
ও তোর লজ্জা মাখা মুখ কতই না মধুর,,
তুই যাসনা বেশিদূর আমার গায়ে লাগে রোদ্দুর,আমার হৃদ মাঝারে আয় নিয়ে যাবো বহুদুর,,
হঠাট রিহা এসে বললো কাকে মিস করা হচ্ছে শুনি,,
বাহ এত সুন্দর গলা গানটা অনেক ভালো লাগলো,আপনার মুখে,,
- হয়েছে আর পাম দিতে হবে নাহ,,,
রিহাঃ আমি আবার কি করলাম,,
- এই যে পাম দিচ্ছেন,,
রিহাঃ সরি, (মন খারাপ করে)
চলবে..............,,
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now