বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
আসালামু আলাইকুম। জিজেসদের নিয়ে লিখা আসলে খুব কঠিন। এটা যতোটা সহজ মনে হয় ততোটা সহজ নয়! সে যাই হোক গল্পের নাম দেখেই সবাই বুঝতে পারছো জিজেসরা এবার যাবে নেপালে। হ্যাঁ নেপালে!! সবাই ভাবতে পারে পৃথিবীতে আর কোনো জায়গা পাইলো না! শেষে নেপালে!-_-! আসলে আমি তো পিচ্চি ! তাই পিচ্চি দেশেই ভ্রমণে গেলাম!
এবার আসা যাক আমাদের ভ্রমণে!...
তো এবার আমাদের গন্তব্য হলো নেপাল। সবাইকে নিয়ে মিটিং করা হলো। কে কে যেতে ইচ্ছুক, কখন যাবো, টিম লিডার কে ইত্যাদি হবে সব সিদ্ধান্ত নেয়া হলো। তা যাবো হচ্ছে আমি (রিদা), আরিজা বারিজা, ফড়িং( তারিন), সামিয়াপি, রিধি, জিএফ(নাহারপি), জান্নাতপি, ইসুপি, আতিয়াপি, রেনুপি,মেহেদী ভাইয়া, সিয়াম ভাইয়া, তানিম ভাইয়া, ইকবাল, রিফাত (শাহরিয়ার) , মাহিন ভাইয়া, বোতলবাবা(সোহান), জাইম ভাইয়া, বিজয় ভাইয়া, তুশার ভাইয়া, তানহা, রনি ভাইয়া, ফারহান ভাইয়া, হৃদয় ভাইয়া ও সাইমন ভাইয়া! কতোজন হলো? ও হ্যাঁ মোট ২৫ জন! আমরা মোট ২৫ জন যাচ্ছি। সাইমন ভাইয়া যেহেতু জিজের এডমিন সেহেতু ওনাকে আমাদের টিম এরও এডমিন মানে টিম লিডার বানানো হলো!
সবার পাসপোর্ট - ভিসা রেডি করা হলো! এবার আমরা উড়ান দিবো নেপালে! আমরা সবাই ঢাকা এয়ারপোর্টে এলাম। সব কিছুই ঠিক ছিলো, সবাই টাইম মতোও আসলো কিন্তু সমস্যা হলো পানির বোতল নিয়ে! কেউই পানির বোতল আনেনি! এটা যেহেতু ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট সো এখানে দোকানে শুধু alcohol আর wing! পানির বোতল পাওয়া যাচ্ছিল না! আমাদের টিমের বোতল বাবা অবশেষে কোথা থেকে জানি তার বাচ্চাদের নিয়ে এলো মানে পানির বোতল নিয়ে এলো! যাক আমাদের টিমে বোতলবাবা থাকায় কিছু লাভ হলো!
সবার ভালো ভিসা - পাসপোর্ট চেক করা হলো, তারপর আমরা ফ্লাইটে উঠলাম। যে যার সিটে বসে পড়লাম। আমি, রিধি, সামিয়াপি, ফড়িং, ইসুপি একসাথে বসলাম। আমাদের সামনে রেনুপি, জিএফ , তানহা, আতিয়াপি বসলো আর আরিজা বারিজা, জান্নাতপি, বোতলবাবা, ফারহান ভাইয়া তার সামনের সিটগুলোতে বসলো।
এইদিকে মেহেদী ভাইয়া , মাহিন ভাইয়া , সিয়াম ভাইয়া, মুস্তাফিজ ভাইয়া একসাথে বসলো। ইকবাল, রিফাত, তুশার ভাইয়া আর রনি ভাইয়া একসাথে বসলো। তার সামনে তিনটা সিট ছিলো ওখানে জাইম ভাইয়া , হৃদয় ভাইয়া আর সাইমন ভাইয়া বসলো! এইদিকে বিজয় ভাইয়া আর তানিম ভাইয়া একা হয়ে গেল! বাট বিজয় ভাইয়া নিজের পছন্দের মতো জায়গায় গিয়ে বসলো! (আসলে বিজয় ভাইয়াই আমাদের ফ্লাইটের টিকিট কাটছে) বেচারা তানিম ভাইয়া একাই একপাশের সিটে! তার পাশের তিনটা সিটই খালি! তানিম ভাইয়া বিজয় ভাইয়াকে ডাক দিলো পাশে বসার জন্য, কিন্তু বিজয় ভাইয়া ক্লাস টু এ পড়া বাচ্চার মতো বলল,
" না! আমি যাবো না! আমি জানলার পাশে বসছি! এখানেই বসবো! অন্য কোথাও বসবো না! "
তানিম ভাইয়ার আর কিছু বলার নাই!! কিন্তু ভাইয়ার এই দুঃখ বেশিক্ষণ থাকলো না! ভাইয়ার পাশের তিন নম্বর সিটটিতে একটা সুন্দরী আপু এসে বসল! তানিম ভাইয়ার মনে তো লাড্ডু ফুটতে থাকল! আর বিজয় ভাইয়ার সম্ভবত একটু ঈর্ষা হলো,, তখন সে তানিম ভাইয়ার পাশে এসে বসতে চাইলো কিন্তু তানিম ভাইয়া সাফ না করে দিল, " থাক বাবাজান! তোমাকে আর এখানে আসতে হবে না! তুমি যেখানে আছো ওখানেই থাকো! পারলে চার সিট পিছনে যেয়ে বসো গা! যাও!"
আর এইদিকে আমরা মেয়েরা তো একসাথে বসছি! আমাদের গল্পেরঝুড়ি বসে গেছিল! কিন্তু ফ্লাইটে শুরু হবার পর তা আর রইল না! কেউ গল্পের বই পড়ছিলো, কেউ বা মোবাইল টিপছিল আবার কেউ কানে হেডফোন লাগায় গান শুনছিল, কেউ ঘুমাচ্ছিল! এভাবেই দেড় ঘন্টার জার্নি করে আমরা ঢাকা থেকে উড়ান দিয়ে অবশেষে পৌছালাম নেপালের রাজধানী কাঠমুন্ডুতে।.......
চলবে.......
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now