বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

খুদে বাহিনীর গুহা অভিযান (৭)

"উপন্যাস" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান ᴍᴅ. ɪǫʙᴀʟ ᴍᴀʜᴍᴜᴅ (০ পয়েন্ট)

X ৭. ন্যান্সি আর ডেভ বাড়িতে পৌছে । ড্রয়িং রুমে গিয়ে ঘড়ি দেখে । রাত সাড়ে নয়টা বাজে। ওরা বাড়ি থেকে বেরিয়েছে সাড়ে আটটায় । এই এক ঘণ্টার মধ্যে অনেক কিছু ঘটে গেছে। এখন দ্রুত পুলিশকে সব জানাতে হবে । দাদুর ঘরের দিকে তাকায় । আলাে নেই। তার মানে দাদু- দাদি শুয়ে পড়েছেন। ঘুমিয়েও গেছেন হয়ত । কিন্তু উপায় নেই । দেরি করা যাবে না। দু’জন ছুটে গিয়ে দাঁড়ায় দরজার সামনে। ন্যান্সি আস্তে নক করে। আবার । তারপর আবার । দাদুর গলা শােনা যায়- : দাদু আমি ন্যান্সি । দরজা খুলুন। একটু সময় কাটে । দরজা খােলেন দাদু । বিস্মিত কণ্ঠে প্রশ্ন : কী ব্যাপার? তােমরা? ডাকছ কেন? : হ্যা দাদু, একটু সমস্যা আপনি শিগগির পুলিশকে ফোন করুন। তারা যেন আপনার এখানে এখুনি চলে . আসে। পুলিশকে ফোন! কিন্তু কেন? কী হয়েছে? কুর্ট কোথায়? এতগুলাে প্রশ্ন করে ফেলেন দাদু একসাথে । ন্যান্সি বলে- : দাদু প্লিজ, আমার কথা আগে শুনুন । আপনি পুলিশকে ফোন করে দ্রুত আসতে বলুন। জরুরি। তারা আসার পর সব খুলে বলব আমি । দয়া করে দেরি করবেন না ন্যান্সির কথায় দ্রুত ড্রয়িং রুমে গিয়ে পুলিশকে ফোন করলেন দাদু । জরুরি ব্যাপা, বলে তাড়াতাড়ি আসতে বললেন অফিসারকে । তারপর বেরিয়ে এলেন। এদিকে দাদি, উঠে এসেছেন। পুলিশ আসছে শুনে কিচেনে কফি তৈরি করতে যাচ্ছেন বলে বেরিয়ে গেলেন। ডেভ গেল তাকে সাহায্য করতে। আট মিনিটের মাথায় পৌছে গেলেন পুলিশের সহকারী কমিশনার জন হপকিন্স দাদুকে আগে থেকেই চেনেন তিনি। তার সাথে আরাে তিনজন অফিসার রয়েছেন তাদের স্বাগত জানিয়ে দাদু ড্রয়িং রুমে নিয়ে বসালেন । ন্যান্সিকে দেখিয়ে বললেন- : এ আমার নাতনি ন্যান্সি । সে কিছু জরুরি কথা বলতে চায় আপনাদের । হপকিন্স অবাক হয়ে চাইলেন ন্যান্সির দিকে । ন্যান্সি বিলম্ব না করে সকালে তাদের গুহায় যাওয়া, লিনের আটক হওয়া, তারপর রাতে অভিযানে বেরনাে, মাদক চক্রের নেতার মাদক চালান পাঠানাের প্ল্যান, তাদের এক সদস্যকে আটক করা, গুপ্তধনের কথা সংক্ষেপে জানায়। বিস্মিত অফিসার জিজ্ঞেস করলেন- : তুমি বলছ যে কুর্ট আর লিন এখনাে গুহার মধ্যেই আছে? : হ্যা, ওরা আপনাদের অপেক্ষায় আছে । হপকিন্স বললেন- : তাহলে আর দেরি করা ঠিক হবে না । এদিকে কফি এসে গেছে। এখন কফি খাওয়ার সময় নয় । কিন্তু দাদির প্রতি সম্মান দেখিয়ে সবাই কাপ হাতে তুলে নিলেন। এর মধ্যেই ওয়াকিটকিতে দু জায়গায় কথা সেরে নিলেন হপকিন্স । কফি খাওয়া শেষ হলাে তিন মিনিটে । তারপর দাদুর কাছ থেকে বাড়ির সামনে রাস্তা ও গুহার সাথে সংযােগের লােকেশনটা জেনে নিলেন তিনি। অফিসে ডিউটি অফিসারকে এ বাড়ির ঠিকানা দিয়ে দশজনের একটা পুলিশ টিম পাঠিয়ে দিতে বললেন তখুনি। তিন অফিসারের মধ্যে একজনকে বললেন- : অফিসার ন্যাশফিল্ড, আপনারা তিনজন ন্যান্সিদের সাথে বাড়ির পেছন দিয়ে যান। আমি পুলিশ টিম এলে তাদের নিয়ে রাস্তার দিক দিয়ে গুহায় ঢুকব । সাবধান থাকবেন। ওয়াকিটকিতে আমাদের যােগাযােগ থাকবে । দেরি না করে পুলিশদের নিয়ে বেরিয়ে পড়ে ন্যান্সি। এদিকে বেশ ঝামেলায় পড়ে গিয়েছিল কুট। মাদক চক্রের সদস্য যে লােকটিকে ওরা আটকে রেখেছে তার নাম পেন্স। ন্যান্সি আর ডেভ চলে যাওয়ায় কুর্টদেরকে মাত্র দু'জন দেখে সে মনে মনে খুশি হয়ে উঠেছিল। দু’জন শিশু ওকে বন্দী করে রাখবে, তুলে দেবে পুলিশের হাতে এটা মানতে পারছিল না সে। এ রীতিমতাে মান-সম্মানের ব্যাপার। দলের লােকদের কেউ যদি জানতে পারে, তারা তাকে নিয়ে উপহাস করবে। কিন্তু একবার চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় পালানাের চিন্তা বাদই দিয়েছিল সে। এখন আবার চিন্তাটা মাথায় বাসা বাঁধে। সমস্যা হলাে, হাত দুটো ছেলেটা পেছনে এমনভাবে বেঁধেছে সে কিছু করার কোনাে সুযােগই পাচ্ছে না। তার ওপর ছেলেমেয়ে দুটো খুব কড়া নজর রেখেছে তার। ওপরে। বাড়াবাড়ি করলে বিপদ হতে পারে । ছেলেটাকে বিচ্ছুর মত মনে হয় । গুলি করার ভয় দেখিয়েছে। এবার হয়ত গুলিই করে বসবে । কুট আর লিন নিজেদের মধ্যে কী ব্যাপারে যেন আলােচনা করছে। পেন্সের দিকে নজর নেই। সুযােগটা নেয় পেন্স। নিঃশব্দে পাথরটার কোণের দিকে সরতে থাকে । সরতে সরতে পাথরটার মাথায় পৌঁছে যায়। সামনেই গুহার প্রশস্ত জায়গা। পেট্রোম্যাক্সের আলাে জ্বলছে। সে সময় জ্যাককে দেখতে পায়। এদিকেই আসছে। সেই যে গুপ্তধনের গুহায় দৌড়ে যেতে হোঁচট খেয়ে পড়ে গিয়ে সে ধরা পড়ল, সে সময় তার সাথে থাকা জ্যাক পালিয়ে গিয়েছিল। পেন্স মনে করেছিল সে দলের বাকিদের কাছে গেছে । কিন্তু এখন মনে হচ্ছে তা সে যায়নি। বরং এতক্ষণ কোথাও হয়ত লুকিয়ে ছিল। তারপর কারাে কোনাে সাড়া না পেয়ে হয়ত এখানে ফিরে এসেছে । হঠাৎ জ্যাক তাকে দেখতে পায় । চিকার করে ওঠে সে- : এই পেন্স! তুমি কি করছে ওখানে বসে? ছুটে আসে সে তার কাছে। মেঝেতে বসে পড়ে তার হাতের বাঁধন খুলতে যায় । কিন্তু তা আর হয় না। কানের পাশে পিস্তলের স্পর্শে জমে যায় জ্যাক। হাত থেমে যায় তার । ভুল করে ফেলেছে সে। পিস্তলধারীর চেহারাও দেখা হয়ে গেছে। সেই বিচ্ছু ছেলেটা। তার সাথে একটি মেয়েও আছে। মেয়েটির হাতে একটি মাঝারি সাইজের কাঠ। আঘাত করতে তৈরি। কুর্ট কঠিন স্বরে বলে- : নড়াে না বাপু। সাবধান। আমার পিস্তল থেকে গুলি বেরিয়ে যেতে পারে । লিনকে বলে- : শয়তান দুটোকে আমি দেখছি। তুই একগাছা দড়ি আন তাে। ড্রাগনের দিকে ইশারা করে কুর্ট। লিন ড্রাগনের দিকে এগোেয় । ড্রাগনের সে কাঠের আগুন নিভে গিয়েছিল । লিন এক পাশ থেকে একটি দড়ি খুলে আনে। তার কাছ থেকে দড়ি নিয়ে কুর্ট বলে- : আমি এ লােকটাকে বাঁধছি । তুই পিস্তলটা নে। কেউ নড়লে সাথে সাথে সাথে তার মাথায় গুলি করবি। দড়িটা একটু চিকন হলেও বড় ছিল। আগে জ্যাকের হাত পেছনে নিয়ে বেঁধে ফেলে। এ সময় তার নাম জানতে চায় কুর্ট। কোনাে জবাব মেলে না। লিন পিস্তল দিয়ে মাথায় একটা গুতাে দিতেই অবশ্য ফল মেলে। অনিচ্ছার সাথে নামটি বলে সে- জ্যাক। পেন্সের দিকে ইঙ্গিত করে কুর্ট- : ওর নাম কী? : পেন্স। কুর্ট বলে- : বা! এই তাে ভালাে লােক । পুলিশ আসছে। তােমরা যদি আমাদের সাথে কোলে ঝামেলা না কর আর তথ্য দিয়ে সহায়তা কর, সেটা তােমাদের জন্য ভালাে হবে । তাহলে তােমাদের পক্ষে আমরা দু-একটা কথা বলব যাতে অন্যদের চেয়ে শাস্তি কম হয়। . রাখাে তােমার শাস্তি! বলে ওঠে জ্যাক- আমাদের বস গুপ্তধনের গুহা থেকে এখনি । ফিরবে । তখন কে বাঁচাবে তােমাদের ? | চা জবাবে জ্যাকের পা ভালাে করে বাঁধে কুর্ট। তাকে বসিয়ে দেয় পাথরের গায়ে হেলান এ দিয়ে। তারপর তার কাছ থেকে প্রায় পাঁচ হাত দূরে সরিয়ে নেয় পেন্সকে। জ্যাকের ক বিপরীত দিকে মুখ করে বসায় তাকে যাতে দু’জন কোনাে কথা বলতে না পারে। এবার স্ব লিনের কাছ থেকে পিস্তল নিয়ে জ্যাকের পাশে দাঁড়ায়। লিন যথারীতি দাঁড়ায় গিয়ে ট পেন্সের পাশে। বলে- : আচ্ছা দেখা যাক, কে কাকে বাঁচায় । আর কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ এসে পড়বে। পেন্স যখন ধীরে পাথরের এ প্রান্তে সরে আসছিল তখন লিনের সাথে কথা বলছিল " কুর্ট । হঠাই তার সতর্ক চোখের কোণে হাত বাঁধা লােকটির ধীর নড়াচড়া চোখে পড়ে। মুহূর্তেই উঠে দাঁড়ায়। সে সময় পাথরের শেষ প্রান্তে পৌঁছে যাওয়া পেন্সের উদ্দেশে জ্যাকের চিৎকার শােনা যায় । আয় লিন- বলেই সে তিন লাফে পৌঁছে যায় পেন্সের কাছে। তারপর পিস্তল তাক করে কাবু করে জ্যাককে । চলবে...


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ২১৯ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now