বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
অনুভূতি
৮ম শ্রেণিতে পড়া একটি ছেলের নাম আবির।
সে সবসময় চুপচাপ থাকে তেমন একটা কথা বলে না ক্লাসে, বন্ধুদের সাথে ক্লাস শেষে আড্ডাতেও তাকে দেখা যায় না। সেই আবির কি কখনো নেশায় আসক্ত হতে পারে? আমার মতে কখনোই না।
আজকে সেই নম্র-ভদ্র ছেলে আবিরের জীবন সম্পর্কে কিছু কথা বলবো।
আবির একজন ভালো ছাত্র। সে সবসময় তার কেরিয়ারের কথা চিন্তা করে। সে কখনো খারাপ কাজে লিপ্ত থাকে না। স্কুলের টিফিন পিরিয়ডে সবাই লাফালাফি করে আর অন্যদিকে আবির বসে তার পরের ক্লাসের পড়া রিভিশন করে। হঠাৎ একজন শিক্ষক আবিরকে লক্ষ্য করলো যে সে অন্য সবার মতো নয় সবার চেয়ে আলাদা।
এটা নিয়ে তিনি আবিরের ক্লাস টিচারের সাথে আলোচনা করলেন। ক্লাস টিচার আবিরের বাবা-মা কে গুপনে ডেকে পাঠালেন। বাবা-মায়ের সাথে আবিরকে নিয়ে আলোচনা করার সাথে সাথেই আবিরের মা কেঁদে উঠলেন আর বললেন সাহেব আমার ছেলেটা অন্য সবার মতো না ও ছোট থেকেই আমার কথামতো সব কাজ করে এসেছে আজ পর্যন্ত।
##আবিরের বাবা-মা শিক্ষিত না তেমন।।।
##বাবা ক্লাস ৭ / মা ক্লাস ৫
মা কাঁদতে কাঁদতে বলে সাহেব আমার ছেলেটা অনেক ভালো একটা ছেলে, আমি আমার এই ছেলেটাকে আপনার হাতে তুলে দিলাম আপনি ওকে মানুষের মতো মানুষ তৈরি করবেন সাহেব ( মা কেঁদে)
বাবা শুধু মায়ের কান্না থামাচ্ছে।
এর মানে আবিরের পরিবারের কেউই বেশি পড়ালেখা জানে না।
আবির তাদের পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করার চেষ্টায় থাকে সবসময়। সে সবসময়ই পরীক্ষায় প্রথম নাহলে দ্বিতীয় হয়।
সে স্বপ্ন দেখে সে একদিন এক মস্ত বড় এক সৎ ব্যবসায়ী হবে।
তার আরেকটা স্বপ্ন আছে সেটা হলো গরিব মানুষকে সাহায্য করা। তার এই স্বপ্নটা আমার খুব ভালো লেগেছে।
আবিরের স্কুলে একদিন এক বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় তখন শ্রেণি শিক্ষক আবিরকে লিডার ঘোষণা করেন।
বিতর্কের দিন আবির খুব আতঙ্কে থাকে কারণ এটা আবিরের জীবনে প্রথম বিতর্ক প্রতিযোগিতা।
বিতর্কে আবিরের বিদ্যালয় জয় পায় তার পুরো কৃতিত্ব আবিরের। ????????
আবির তখন থেকে পড়ালেখায় মনোযোগ কম দিতে থাকে।
আবিরের ক্লাসে হঠাৎ এক মেয়ে ভর্তি হয় তাকে দেখে আবিরের মনে এক কালবৈশাখী ঝড় নিয়ে আসে। তার পড়ালেখার গতি আগের মতো থাকে না অনেকাংশেই কমে যায়।
তারপর আবিরের কিছু বন্ধু তাকে পরামর্শ দেয় “আবির তুই ওকে তোর মনের কথাটা জানা তারপর দেখ ওর মনের কথা কি"
আবির ওর কথা ফেলতে পারে নাই সত্যি করেই বলে দিলো
“আমি তোমাকে ভালোবাসি আইরিন"
আইরিন নামের মেয়েটার চরিত্র ভালো না।
জামা কাপড়ের মতো সে সম্পর্ক পরিবর্তন করে।আবিরের যেহেতু এটা প্রথম সম্পর্ক তাই সে এই রিফিউসাল মেনে নিতে পারেনি।
আবিরের তখন থেকে পড়ালেখায় মন বসতো না।
তার ক্লাসের কিছু বাজে ছেলে আছে যারা আবিরকে বলে আমাদের সাথে আয় আবির তখন হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলে পরে ওদের সাথে যায় এবং ওদেরকে দেখে দেখে নেশা করা শুরু করে এই থেকে আবিরের মাথায় একটাই চিন্তা আমি যখন আইরিনকে পাইনি তাহলে আর কেউ পাবে না।
এসব চিন্তা তাকে তার সুন্দর জীবন থেকে অনেক দূরে নিয়ে আসে যেখান থেকে আর আগের জীবনে যাওয়া সম্ভব না।
আবিরের সেই সুখময় জীবন কিছুদিনের ভেতরেই পাল্টে যায়।
আবির যখন কলেজে ভর্তি হয় তখন সে আরও বড় ধরনের নেশায় আসক্ত হয় অবশেষে সে কলেজ শেষ করার পূর্বেই মাদক নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি করা হয় তাকে।
তার বাবা মারা যায় আবিরের এই দুর্দশা দেখে।
আবিরের মা আবিরকে মাদক নিরাময় কেন্দ্রে দেখার পর তার মাও মারা যায় এভাবে মাদক আস্তে আস্তে একটা জাতির ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দিলো।
আজ আবির যদি এসব না করে ভালোভাবে পড়ালেখা করতো তাহলে সে দে শ এবং তার পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করতে পারতো।
কিন্তু মাদকের কারণে কিছু জাতির ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।
## আমরা মাদক থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করবো।।।
Writer by jojo(Rana)
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now