বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
যান। অন্য তিতুনিকে শুধুমাত্র জিজ্ঞেস করার জন্যে বললেন, “তিতুনি যাবি আমাদের সাথে?”
অন্য তিতুনি সাথে সাথে রাজি হয়ে গেল। আম্মু বেশ অবাক হলেন, কারণ তিতুনি কখনোই ঢাকা শহরে ভিড় ঠেলে দোকানপাটে যেতে চায় না। মিলু ঠিক তার উল্টো, সে সবসময়ই বাইরে যেতে চায়, তাই সেও তাদের সাথে রওনা হলো। বড় ফুপু আর আম্মুর সাথে অন্য তিতুনি আর মিলু বের হয়ে যাবার সাথে সাথে নাদুর ঘরে নাদু, দিলু আর টোটন মিলে একটা মিটিং শুরু করে দেয়। মিটিং না বলে এটাকে অবশ্যি ষড়যন্ত্র বলাই ভালো, কারণ মিটিংয়ের বিষয়বস্তু হচ্ছে কেমন করে তিতুনিকে একটা সত্যিকারের শিক্ষা দেওয়া যায়, যেন সে সারা জীবনের জন্যে সাইজ হয়ে যায়। নাদু বলল, “টোটন, তোমার বোন মানুষটা খুবই ডেঞ্জারাস।”
টোটন মাথা নাড়ল, বলল, “আমি জানি।”
“আমি তার প্লেটে এক খাবলা লবণ দিয়েছি, সে নিশ্চয়ই হাত দিয়ে সেটা ধরে তোমার প্লেটে দিয়ে দিয়েছে।” টোটন মাথা নাড়ল। নাদু বলল, “তা না হলে এর পর থেকে শুধু
আমাদের দিকে তাকিয়ে মিটিমিটি হাসে কেন?”
দিলু মাথা নাড়ল, সায় দিয়ে বলল, “হাসে কেন?”
নাদু বলল, “আমাকে বলে বোকা।”
দিলু বলল, “আমাকে বলে নাদুসনুদুস মোটাসোটা গোলগাল
ফুটবল।”
টোটন বলল, “তোমাদের সাথে মাত্র একদিন থেকেছে, এর মাঝে তিতুনি কত কী বলে ফেলেছে। আমার সাথে সারাক্ষণ থাকে, চিন্তা করে দেখো আমার কী অবস্থা।”
নাদু বলল, “কাজেই তাকে ঠিকভাবে সাইজ করা দরকার।” দিলু বলল, “চুলের মাঝে চিউয়িংগাম লাগিয়ে দেই?"
নাদু মাথা নাড়ল, বলল, “না। এই সব করলে আম্মু বকুনি দিবে। আম্মু-আব্বু যেন সন্দেহ না করে।"
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now