নরওয়েজিয়ান উড

X পার্ট : ২২ এই সব পুরুষভর্তি রুমগুলো থেকে যে গন্ধ আসতো তা ছিল ভয়াবহ । ময়লার ঝুড়িতে পচতে থাকা কমলার খোসায় বোঝাই হয়ে আছে । খালি ক্যানগুলো ব্যবহার করা হয়েছে ছাইদানি হিসেবে,সিগারেটের অবশিষ্ট দিয়ে ভর্তি । এসবের সাথে কফি বা বিয়ারের অবশিষ্ট মিশে টক টক একটা দুর্গন্ধ বের হত । তাকের উপর ঝুল কালি ঝুলে ঝুলে বাসন কোসনে পড়তো,মেঝেগুলোতে রামেন নুডুলসের খালি প্যাকেট আর বিয়ারের খালি ক্যান পড়ে থাকতো । কারো মাথায় কখনও আসেনি,এগুলোকে ঝাড়ু দিয়ে নিয়ে ময়লার ঝুড়িতে ফেলা উচিত । আর জোরে বাতাস বইলে তো ঘর ধুলের মেঘে ডুবে যেত । প্রত্যেক রুমের নিজস্ব দুর্গন্ধ ছিল,কিন্তু দুর্গন্ধের উপাদান মোটামুটি সবার একই ছিল । ঘামের গন্ধ আর ময়লা আবর্জনা । নোংরা জামাকাপড়গুলো বিছানার নিচে স্তুপ করে রাখা হত । ম্যাট্রেসগুলো মাঝে মধ্যে যে ঝাড়া দেয়া প্রয়োজন সেটাও কেউ কোনদিন চিন্তা করেনি । তার উপর ম্যাট্রেসগুলো থেকে যে ঘামের গন্ধ বের হত তা বলার বাইরে । এই আস্তাকুড়গুলো থেকে কখনো কোন মহামারি কেন যে শুরু হয়নি সেটাই বরং গবেষণার বিষয় । অন্যদিকে আমার রুম ছিল হাসপাতালের মর্গের মত পরিস্কার । মেঝে বা জানালায় কোন ময়লা নেই । (চলবে. . .)