বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

আঁখি এবং আমরা ক'জন (৪)

"ছোটদের গল্প" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান TARiN (০ পয়েন্ট)

X তবে হেড মাস্টাররা যে সবসময় বেশি জানে সেইটা সত্যি নাও হতে পারে। আমাদের স্কুলের যে হেড মাস্টার আছেন সেই মানুষটা খুব বেশি জানেন বলে মনে হয় না। একদিন আমাদের বিজ্ঞান ক্লাস নিচ্ছেন তখন মামুন জিজ্ঞেস করল, “স্যার, জলবিদ্যুৎ কেমন করে তৈরি করে?” মামুন হচ্ছে আমাদের ক্লাস সায়েন্টিস্ট। সে সবসময় সবাইকে উল্টাপাল্টা প্রশ্ন করে। হেড মাস্টার তার দাড়ির মাঝে আঙুল চালিয়ে সেগুলো সোজা করতে করতে বললেন, “জল দিয়ে। অ্যাঁ জল মানে হচ্ছে অ্যাঁ পানি। হিন্দুরা বলে অ্যাঁ জল আমরা বলি অ্যাঁ পানি।” কথার মাঝে অ্যাঁ অ্যাঁ বলা স্যারের অভ্যাস। “কিন্তু স্যার পানি দিয়ে ইলেকট্রিসিটি কেমন করে তৈরি হয়!” হেড স্যার বললেন, “এইটাও জানিস না গাধা? অ্যাঁ?” মামুন মাথা নাড়ল, “না স্যার।” “উপর থেকে অ্যাঁ যদি পানি ফেলা হয় তখন আমরা অ্যাঁ কী দেখি? অ্যাঁ? আমরা দেখি অ্যাঁ স্পার্ক। পার্কটাই হচ্ছে বিদ্যুৎ। অ্যাঁ।” মামুন ইতস্তত করে বলল, “কিন্তু স্যার আমরা তো পানি ফেললে স্পার্ক দেখি না।” হেড স্যার খ্যাক করে উঠলেন, “দেখি না মানে? অ্যাঁ অ্যাঁ? যখন ঝড়বৃষ্টি হয় তখন কোনোদিন অ্যাঁ বিজলি চমকাতে দেখিসনি অ্যাঁ? সেই একই ব্যাপার। অ্যাঁ। বুঝেছিস গাধা কোথাকার?” মামুন কিছু বুঝে নাই আমরাও কেউ কিছু বুঝি নাই কিন্তু সেটা কারো বলার সাহস হল না। সবাই মাথা নেড়ে ভান করলাম যে বুঝেছি। তার কয়েকদিন পরে আমাদের স্কুলে একটা অনুষ্ঠানের জন্যে একটা জেনারেটর এনেছে সেটা ভটভট করে বিকট শব্দ করে চলছিল, একজন মানুষ সেখানে কাজ করছিল, মামুন তাকে জিজ্ঞেস করল, “এইটা কী?” মানুষটা বলল, “এইটা জেনারেটর।” “এইটা দিয়ে কী করে?” “ইলেকট্রিসিটি তৈরি করে।” মামুন জ্ঞানী মানুষের মতো বলল, “জলবিদ্যুৎ তৈরি করলেই তো এইরকম ভটভট শব্দ করত না। ওপর থেকে পানি ফেললেই ইলেকট্রিসিটি তৈরি হত।” শুনে মানুষটা খ্যাক খ্যাক করে হাসতে থাকে। মামুন গরম হয়ে বলল, “আপনি হাসেন কেন?” “তোমার কথা শুনে।” “আমি কী বলেছি?” “তুমি বলেছ যে পানি ঢাললে ইলেকট্রিসিটি হয়। তা হলে তুমি যখন পিশাব করবে তখন সাবধান! অসুবিধা জায়গায় ইলেকট্রিক শক না খেয়ে যাও। হা হা। হা।” মানুষটা দাঁত বের করে হাসতেই থাকে। মামুন বলল, “আমাদের হেড স্যার বলেছেন।” মানুষটা তার বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বলল, “তোমার হেড স্যার কাঁচকলা জানে।” এরকম একটা বেয়াদপ মানুষের সাথে কথা বলাই ঠিক না তারপরেও মামুন চলে গেল না, জিজ্ঞেস করল, “তা হলে ইলেকট্রিসিটি কেমন করে তৈরি হয়?” “জেনারেটর দিয়ে। চুম্বকের মাঝে কয়েলকে ঘুরাতে হয়।” “কেমন করে ঘুরায়?” “মোটর দিয়ে, টারবাইন দিয়ে, গায়ে জোর থাকলে হাত দিয়ে—” মানুষটা মশকরা করছে কি না আমরা বুঝতে পারলাম না। মামুন আরো কিছু জিজ্ঞেস করতে চাইছিল কিন্তু বেয়াদপ মানুষটা আমাদের বিদায় করে দিয়ে বলল, “যাও যাও ঝামেলা কর না।”


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ১৪৯ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now