বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
২৭শে ডিসেম্বর ২০২০
এখন নিয়মিত স্কুলে যাই। স্কুলের শ্রেণিকাজ বন্ধ। (অনলাইনে শ্রেণি কার্যক্রম চলছে, তবে সেটা খুবই নগন্য)। শিক্ষকগণ স্বেচ্ছায় অনলাইনে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। আমাদের বিদ্যালয়ে আমি, এনামুল হক এবং নাজমুল ইসলাম স্যার নিয়মিত অনলাইন ক্লাস চালিয়ে যাচ্ছি। অন্যান্য স্যার যেমন মামুন মিয়া, ইয়াকুব আলি, রাসমা আক্তার, মৌসুমী আক্তার, শাহনাজ আক্তার, সুমন মিয়া স্যার অনিয়মিত অনলাইন ক্লাস চালিয়ে যাচ্ছেন। ২০২১ সালের ভর্তির কার্যক্রম চলছে। আমরা প্রায় সবাই নিয়মিত স্কুলে যাচ্ছি।
আগেই মত শ্রেণি শিক্ষকগণ শ্রেণি উত্তীর্ণ ছাত্র ছাত্রীদের ভর্তি করাচ্ছেন। আমি নবম শ্রেণির ‘ক’ শাখার শিক্ষার্থীদের (শুধুমাত্র ছেলেদের) ভর্তি করাচ্ছি। ভর্তির সেসন ফি-সহ অন্যান্য টাকা (উন্নয়ন ফি বাদ দিয়ে) প্রায় ১৪০০ টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে (এই প্রথম ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা জমা নেয়া হয়) জমা দিয়ে ভর্তি করানো হয়। করোনাকালীন সময় প্রায় শিক্ষার্থী ভর্তির সব টাকা দেয় না। কেউ একেবারে ফ্রি, কেউ, অর্ধেক টাকা,কেউ ৫০০টাকা, কেউ ৩০০টাকা দিয়ে ভর্তি হয়। আমরাও এই নিয়ে কোন রকম কঠোরতা দেখাচ্ছি না। একদিন এক শিক্ষার্থী আসছে ৫০০টাকা দিয়ে ভর্তি হবে। আমি শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসা করলাম, ৫০০টাকা কেন? টাকা তো লাগবে ১৪০০টাকা। টাকা কম দিলে অভিভাবক দিবে, তুমি কেন? শিক্ষার্থী বলল,স্যার করোনায় আমরা খুব গরীব হয়ে গেছি। আব্বা মাত্র ৫০০ টাকা দিয়েছে। কথা বলা মুহুর্তে শিক্ষার্থীর মোবাইল ফোনে কল আসলো। শিক্ষার্থী আমার সামনেই পকেট থেকে মোবাইল ফোন বের করে হ্যালো বলল। আমি লক্ষ্য করলাম যে, মোবাইল ফোনটির দাম হবে প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকা। আমার একটু রাগই হলো। সাথে সাথে শিক্ষার্থীর মোবাইলটি কেড়ে নিলাম। শিক্ষার্থীর মোবাইলটি হাতে নিয়ে বললাম, তোমার ৫০০টাকা লাগবে না। আমি শুধু তোমার মোবাইলটি নিলাম। এবারতো শিক্ষার্থী বলল, স্যার আমি ভর্তির ১৫০০টাকা দিচ্ছি, আমাকে মোবাইলটি ফেরত দেন। আমি বললাম, না তোমার মোবাইল দেব না। তোমার অভিভাবক নিয়ে আসো তারপর মোবাইল দিব। এরপর শিক্ষার্থী প্রধান শিক্ষক এবং স্থানীয় শিক্ষকের সুপারিশ নিয়ে আসল মোবাইলের জন্য। আমি স্থানীয় শিক্ষকের মাধ্যমে জানতে পারলাম, বাবা জাপানে থাকে, বাড়িতে আলিসান বিল্ডিং আছে। বাসা থেকে ভর্তির জন্য অনেক টাকাই এনেছে। এবার মনটা আরো খারাপ হয়ে গেল। মোবাইলটা স্থানীয় শিক্ষককে দিয়ে দিলাম এবং বললাম আপনারা শাসন করে মোবাইল দিয়ে দেন আর তাঁকে আপাতত আমার কাছে পাঠাইয়েন না।
সরকার এই বছর জে এস সি (অষ্টম শ্রেণির পাবলিক পরীক্ষা) এবং এইচ এস সি পরীক্ষায় অটো পাশ দিয়েছেন। নবম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীর কাছ থেকে অষ্টম শ্রেণির রেজিস্ট্রেশন কাগজের ফটোকপি এবং পিপি সাইজের দুকপি ছবি চাই। আমরা শিক্ষার্থী ভর্তি করিয়া আগামী পয়লা জানুয়ারীতে নতুন বই দেবার পরিকল্পনা করছি। অন্যান্য বছরের মত এবার বই উৎসব করা যাবে না।
সামাজিকভাবে দেখছি অটোপাস নিয়ে নানা মুনির নানা মত। সোশাল মিডিয়া অটোপাস নিয়ে বিভিন্ন ট্রল করেছে। কিন্তু এই অটোপাসের জন্য শিক্ষার্থী দ্বায়ী নয়। করোনার কারণে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। অটোপাস বিশ্বের অন্যান্য জায়গায়ও দিয়েছে।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now