বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
গাড়িটা থেমে যাওয়াতে মতি ড্রাইভার খুবই অবাক হলো, দাঁতে দাঁত ঘষে চাপা গলায় একটা গালি দিয়ে বলল, “আরে, একি মুসিবত! মাত্র সার্ভিসিং করছি, ধোলাইখাল থেকে রিকন্ডিশন ইঞ্জিন ফিট করছি, এখন রাস্তার মাঝে গাড়ি বন হইল, ব্যাপারটা কী?"
ব্যাপারটা কী সেটা নিয়ে আব্বু-আম্মু কিংবা টোটনের কোনো আগ্রহ নেই। অন্য-তিতুনি যেহেতু এটা ঘটিয়েছে তারও কোনো আগ্রহ নেই। আব্বু গাড়ির দরজা খুলে সবাইকে নিয়ে নেমে পড়লে মেঘস্বরে ড্রাইভারকে ডেকে বললেন, “ড্রাইভার সাহেব, গাড়ি থেকে নামেন। আপনার সাথে কথা আছে।"
মতি ড্রাইভার গাড়ি থেকে নামার কোনো আগ্রহ দেখাল না। তার সিটে বসে কিছুক্ষণ খুটখাট করে আবার গাড়ি স্টার্ট করার চেষ্টা করল আর সত্যি সত্যি হঠাৎ ইঞ্জিনটা স্টার্ট নিয়ে নেয়। ড্রাইভার গাড়ির ভেতরে বসে আনন্দের মতো শব্দ করে বলল, “উঠেন গাড়িতে। গাড়ি স্টার্ট নিছে।”
আব্বু বললেন, “রাখেন আপনার গাড়ি। আগে নিচে নেমে আসেন।”
মতি ড্রাইভার গাড়ির ইঞ্জিন বন্ধ না করেই দরজা খুলে খুবই অনিচ্ছার সাথে তার ড্রাইভারের সিট থেকে নিচে নেমে এলো। মুখে একটা বিরক্তির ভাব ফুটিয়ে রেখে সে কাছে এসে রুক্ষ গলায় বলল, “কী হইছে বস? আপনার সমিস্যা কী?”
“আমার কোনোই সমস্যা নেই। আমরা আপনার গাড়িতে যাব না। আমাদের ব্যাগগুলো নামিয়ে দেন।”
আব্বুর কথা শুনে সে খুবই অবাক হয়েছে এই রকম ভান করল, তারপর কী একটা বলতে গিয়ে থেমে গেল। হঠাৎ করে মনে হলো তার মাথাটা ঘুরে উঠেছে, হাত বাড়িয়ে মাইক্রোবাসটাকে ধরে সে তাল সামলানোর চেষ্টা করে। তার চোখগুলো ঘুরতে থাকে, দেখে মনে হয় সে অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছে।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now