বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
ট্রেন ক্রসিংয়ের জন্যে সারি বেঁধে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িগুলোর পাশে দিয়ে ছুটে যেতে যেতে ড্রাইভার বলল, “কী জন্যে বস?"
আব্বু গর্জন করে বললেন, “বলছি গাড়ি থামান।” মতি ড্রাইভার বলল, “কিছু তো হয় নাইক্কা।”
“কিছু হয়েছে কী হয় নাই আমি সেটা নিয়ে কথা বলছি না।
গাড়ি থামান।” আম্মুও এতক্ষণে নিজেকে সামলে নিয়েছেন, কঁাঁপা গলায় বললেন,
“গাড়ি থামান।” টোটনও যোগ দিল, বলল, “থামান, গাড়ি থামান।” শুধু অন্য তিতুনি কিছু বলল না। মতি ড্রাইভার নার্ভাসভাবে একটু হাসার ভঙ্গি করে বলল, “বস, গাড়ি তো এখন থামান যাবে নাইক্কা। দিরং হয়ি যাবি। আপনাদের নামানোর পর আরেকটা বড় ট্রিপ আছে কক্সবাজার ঐট্রিপ তো মিস করা যাবি না। কাস্টমার খুব ত্যাড়া।”
আব্বু হুংকার দিয়ে বললেন, “আমি কিছু শুনতে চাই না। গাড়ি থামান, আমরা নেমে যাব।” সামনের দিক থেকে আসা আরেকটা ট্রাককে খুবই বিপজ্জনকভাবে
পাশ কাটিয়ে গিয়ে মতি ড্রাইভার মুখ শক্ত করে বলল, “রাগ করেন ক্যান বস। আমি বলছি গাড়ি থামান যাবি না।”
মতি ড্রাইভার কথা শেষ করার আগেই গাড়ির ইঞ্জিন একটা বিদঘুটে শব্দ করল, গাড়িটা একটা ঝাঁকুনি দিল, তারপর কেমন যেন কাশির মতো শব্দ করতে করতে রাস্তার পাশে থেমে গেল। কেন হঠাৎ করে গাড়ির ইঞ্জিনটা বন্ধ হয়ে গেল সেটা অন্য তিতুনি ছাড়া আর কেউ জানল না। একটু আগে ট্রেন লাইনে আটকে যাওয়া মাইক্রোবাসটা কেমন করে শেষ মুহূর্তে ছুটে এসেছে সেটাও কেউ জানে না। পুরো রাস্তার বিপজ্জনক ওভারটেকগুলোতে প্রত্যেকবার কেমন করে নিরাপদে পার হয়ে এসেছে সেটাও অন্য তিতুনি ছাড়া আর কেউ জানে না।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now