বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
মেয়েটা মাথা নাড়ল, “জি স্যার।”
শিকার ধরার আগে বাঘ যে রকম এক পা এক পা করে গিয়ে যায় ফাক্কু স্যার ঠিক সে রকম এক পা এক পা করে তিতুনির মতো মেয়েটার দিকে এগিয়ে গিয়ে খপ করে তার চুলগুলো ধরলেন। তারপরে একটা ঝাঁকুনি দিতে গিয়ে আবিষ্কার করলেন তার ঘাড়টা লোহার মতো শক্ত, ঝাঁকুনি দিয়ে এক বিন্দু নাড়াতে পারলেন না। ফাক্কু স্যার চুলগুলো ছেড়ে দিয়ে আবার খাবলা দিয়ে আরো ভালো করে চুলগুলো শক্ত করে ধরে আরো জোরে একটা ঝাঁকুনি দেয়ার চেষ্টা করলেন কিন্তু মেয়েটার মাথাটা এক বিন্দু নাড়াতে পারলেন না, মনে হলো ঘাড়টা বুঝি কংক্রিট দিয়ে তৈরি।
ফাক্কু স্যার আরো কয়েকবার ঝাঁকুনি দেওয়ার চেষ্টা করে চুলগুলো ছেড়ে দিয়ে ক্ষিপ্ত চোখে মেয়েটার দিকে তাকালেন। মেয়েটা হাসি হাসি মুখে বলল, “আমার শাস্তি শেষ স্যার?”
ফাক্কু স্যার বললেন, “তুই তুই তুই-"
ফাক্কু স্যারের কথা শেষ হবার জন্যে মেয়েটা অপেক্ষা করতে
লাগল কিন্তু ফাক্কু স্যার কথা শেষ করতে পারলেন না। মেয়েটা
জিজ্ঞেস করল, “আর কিছু বলবেন স্যার?”
ফাক্কু স্যার হুংকার দিয়ে বললেন, “তোকে আজকে খুন করে ফেলব। পিটিয়ে তক্তা করে দেব। বেয়াদব মেয়ে, আমার সাথে টিটকারি?”
তারপর ফাক্কু স্যার পিটিয়ে তক্তা করার জন্যে ক্লাশের সামনে গিয়ে টেবিলের উপর থেকে স্টিলের রুলারটা হাত নিলেন, তারপর সেটা ঘুরাতে ঘুরাতে স্টিম ইঞ্জিনের মতো ক্লাশের পিছনে অন্য তিতুনির দিকে এগুতে লাগলেন।
ক্লাশের সব মেয়েরা নিঃশ্বাস বন্ধ করে এই ভয়ংকর দৃশ্যটি দেখতে লাগল। ফাক্কু স্যার রুলারটা তরবারির মতো ঘুরাতে ঘুরাতে এগিয়ে আসতে আসতে হঠাৎ করে মাঝখানে দাঁড়িয়ে গেলেন, তাকে দেখে মনে হলো কী করছেন, কোথায় যাচ্ছেন হঠাৎ করে ভুলে গেছেন। খানিকক্ষণ চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলেন, দেখে মনে হতে লাগল
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
Mr.Chotu
Golpobuzz ২ বছর, ৯ মাস পুর্বে