বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
কিছুক্ষণের মাঝেই অন্য-তিতুনি এসে তার সামনে বসে এদিক সেদিক তাকিয়ে নিচু গলায় বলল, “মাহতাব চাচার স্মৃতি মুছে দিয়েছি মনে আছে?”
“হ্যা। মাহতাব চাচার কিছু মনে নাই।” তিতুনি তখনো বুঝতে পারল না ঠিক কোন ব্যাপারটা সর্বনাশ।
“মাহতাব চাচা আব্বুকে একট জিনিস বলতে চেয়েছিলেন
মনে আছে?” “হ্যা।” তিতুনি মাথা নাড়ল, “মাহতাব চাচা সেটা মনে করতে পারে নাই। সেটাও ভুলে গেছে।”
তিতুনির মতো দেখতে মেয়েটা মুখ গম্ভীর করে বলল, “আমি যখন স্মৃতি মুছে দিচ্ছিলাম তখন সেটা মুছে গেছে।”
তিতুনি মাথা নাড়ল, বলল, “আমারও তাই মনে হচ্ছিল।”
“কত বড় সর্বনাশ।” তিতুনি ভুরু কুঁচকে জিজ্ঞেস করল, “কোন জিনিসটা সর্বনাশ?”
“এই যে আমি অন্য একটা স্মৃতি মুছে দিলাম-” “সর্বনাশের কী আছে? আমরা সব সময় এইটা সেইটা ভুলে যাই। সবকিছু মনে রাখলে উপায় আছে?”
মেয়েটা কঠিন মুখ করে বলল, “তোমরা ভুলে যাও সেটা তোমাদের ব্যাপার, কিন্তু আমাদের একটা নিয়ম মানতে হয়।” “নিয়ম?”
“হ্যা। খুবই কঠিন একটা নিয়ম। আমরা যখন কোনো গ্রহে যাই সেই গ্রহটাতে যদি কোনো বুদ্ধিমান প্রাণী থাকে তাহলে সেই গ্রহের কোনো কিছু আমরা পরিবর্তন করি না। কিন্তু আমি পরিবর্তন করে ফেলেছি। যেটুকু মোছা দরকার তার থেকে বেশি মুছে ফেলেছি। আমরা যে সেই গ্রহে গিয়েছি সেটা গ্রহের একটা প্রাণীও জানতে পারে না যে আমরা এসেছি।”
“আমি যে জানলাম?" “সেটা সাময়িক।”
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now