বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
আসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ
জানালার পাশে পড়ার টেবিলে বসে আছি, বাহিরে বৃষ্টি পড়ছে, মেঘ ডাকছে। আজান পরলো।কিছুক্ষণ পর দেখতে পেলাম ছাতা মাথায় এক বুর্জুগ ব্যক্তি মসজিদে যাচ্ছে নামাজ পড়তে, বয়স বেশিই, কাদা রাস্তায় ছাতা মাথায় তিনি যাচ্ছেন আল্লাহর ঘর মসজিদে, মহান আল্লাহর ইবাদত করতে, নামাজ পড়তে তাও ফির এই ঝড়ো আবহাওয়ার মধ্যে! দেখে মনে শুধু একটা বাক্যই ভাসলো, সুবহানআল্লাহ!
বৃষ্টির পানি ঘরে ঢুকছিলো দেখে জানালা বন্ধ করে বসার ঘরে গেলাম, দেখি বাবা টিভি দেখছে, তার কিছুক্ষণ পর বাবা টিভি বন্ধ করে নিজের রুমে গেলো নামাজ পড়তে, দেখলাম বাবা মসজিদে না গিয়ে ঘরে একাকি নামাজ আদায় করছে! তখন মনে পড়ল বুর্জুগ সেই ব্যক্তিটির কথা! সেই মানুষটা বয়স্ক ছিলেন অথচ এই ঝড় বৃষ্টির মধ্যেও মসজিদে গিয়েছেন নামাজ পরবেন বলে।
তখন এক সাহাবির কথা মনে পড়ল হযরত আবদুল্লাহ ইবন উম্মে মাকতুম (রাঃ)! তিনি ছিলেন অন্ধ, তিনি হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) কে বলেছিলেন,
"ইয়া রাসূলাল্লাহ আমি একজন অন্ধ, আমার বাড়িটিও মসজিদ থেকে বেশ দূরে, আমাকে পথ দেখিয়ে দেওয়ার জন্য একজন লোক আছে, তবে সে আমার মনঃপুত নয়। এমতাবস্থায় আপনি আমাকে ঘরে নামাজ পড়ার অনুমতি দিবেন কি?"
তখন হযরত মুহাম্মদ (সা) বলেন,
" তুমি আজান শুনতে পাও??"
তখন আবদুল্লাহ ইবন উম্মে মাকতুম (রাঃ) বলেন,
"হ্যাঁ "
তখন হযরত মুহাম্মদ (সা) বলেছিলেন,
" তাহলে তুমি মসজিদে এসেই সালাত আদায় করবে।"
ইকমতের আওয়াজ তাঁর ঘর পর্যন্ত পৌঁছাতো এ কারণে তিনি অন্ধ হওয়া সত্ত্বেও ঘরে নামাজ পড়ার অনুমতি পাননি!
অথচ মসজিদ আমার বাসার পাশেই, কিন্তু আমার আজান শুনেও ঘরেই একাকি সালাত আদায় করলো। এ শুধু ঝড় - বৃষ্টি বলে না । এটা প্রতিদিনই তিনি করেন! বাবার মতো অনেকেই আছে যাদের বাড়ির পাশেই মসজিদ অথচ তারা ঘরে একাকি সালাত আদায় করে,।
নবিজি (সা) একজন অন্ধ ব্যক্তিকেও অনুমতি দেননি ঘরে সালাত আদায় করার জন্য! আর আমরা চোখে দেখতে পেয়েও মসজিদে গিয়ে সালাত আদায় করি না! অথচ জামায়াতে সালাত আদায় করলে ২৭গুণ বেশি সওয়াব পাওয়া যায়!!
আচ্ছা এগুলের কি হিসাব হবে না?? মনে রাখবেন, হাশরের দিন প্রত্যেক মানুষের তার প্রত্যেকটি কাজের জন্য হিসাব দিতে হবে!!
মহান রাব্বুল আলামীন আমাদের সকলকে সহিহ্ বুঝ দান করুক, আমিন।
........রোদেলা রিদা.......
( পরিশেষে ভুল-ত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন)
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ...