বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

বুগাবুগা পার্ট ২

"মজার গল্প" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান Ridiyah Ridhi (০ পয়েন্ট)

X বুগাবুগা মাথা নেড়ে বলল, “না। আমি গাব গাছের ডালে ঘুমাই।” খানিকক্ষণ চুপ করে থেকে বুগাবুগা বলল, “বিছানা দেখতে কি রকম হয়? আমাকে তোমার বিছানাটা দেখাবে?” সাগর বলল, “তাহলে তো তোমাকে আমার বাসায় যেতে হবে।” “বাসা? সেটা আবার কি?" সাগর বলল, “যেখানে আমরা থাকি সেটা হচ্ছে বাসা। " বুগাবুগা বলল, “আমি তো বাসায় থাকি না, আমি থাকি গাব গাছে। বাসা দেখতে কি রকম হয়?" সাগর মাথা চুলকে বলল, “বাসা খতে হয় বাসার মতন, দরজা থাকে জানালা থাকে, উপরে ছাদ থাকে।” বুগাবুগা বলল, “আমাকে তোমার বাসাটা দেখাবে?” সাগর বলল, "হ্যা, দেখাব। কিন্তু তাহলে তো তোমাকে আমার সাথে যেতে হবে।" বুগাবুগা বলল, “আমি যাব তোমার সাথে।" “চল তাহলে যাই।” তখন সাগর আর বুগাবুগা রওনা হল বাসার দিকে একটু গিয়েই সাগরের একটা কথা মনে হল। সে থেমে বলল, “বুগাবুগা, একটা কিছু ঝামেলা হতে পারে।" বুগাবুগা জিজ্ঞেস করল, “কি ঝামেল “আমার বাসায় কেউ তো আগে ডু দেখে নি, তোমাকে দেখে তাই সবাই ভয় পেতে পারে।” "ভয়?” বুগাবুগা অবাক হয়ে বলল, “আমাকে দেখে কেন ভয় পাবে?" “তোমার চেহারাটা তো অনেক – " সাগর বলতে গিয়ে থেমে গেল, কাউকে তো বলতে হয় না যে তার চেহারা খারাপ। “আমার চেহারাটা অনেক কী?” “তোমার চেহারা তো অন্য রকম, দেখে কারো অভ্যাস নেই। তাই সবাই ভয় পেতে পারে।" “তাহলে কি হবে?” বুগাবুগা কাঁদো কাঁদো হয়ে গেল। সাগর বলল, “তোমার চেহারা যদি একটু পাল্টে দেয়া যেত " বুগাবুগা হঠাৎ লাফ দিয়ে বলল, “হো হো! আমি ভুলেই গিয়েছিলাম আমি তো চেহারা পাল্টে ফেলতে পারি।” সাগর খুশী হয়ে বলল, “তাহলে তো আর কোন ঝামেলাই নেই। তুমি তোমার চেহারাটা পাল্টে ফেল, যেন কেউ আর ভয় না পায়।”বুগাবুগা তার চেহারাটা পাল্টে ফেলল, রংটা হল সবুজ, চোখগুলি লাল আর বড় বড় দাঁত। সে দেখতে হল এত ভয়ংকর যে সাগর পর্যন্ত ভয় পেয়ে গেল তাকে দেখে। সাগর তাড়াতাড়ি বলল, “না না অন্য রকম চেহারা কর, তোমাকে দেখে আরো বেশী ভয় লাগছে।” বুগাবুগা আবার তার চেহারা পাল্টে ফেলল, এবারে তার গায়ের রং হল কুচকুচে কাল, মাথার মাঝে শিং, আর সারা গায়ে লম্বা লম্বা লোম। সাগর ভয় পেয়ে বলল, “না না না এটাও হল না।" বুগাবুগা আবার তার চেহারা পাল্টে ফেলল, এবারে বড় বড় চোখ আর লম্বা লম্বা কান, হাতের মাঝে লম্বা নোখ সাগর বলল, “না, এখনো হল না।” বুগাবুগা বলল, “তুমি যদি চাও তাহলে আমি অদৃশ্য হয়ে যেতে পারি।” সাগর খুশী হয়ে বলল, “হ্যা সেটাই হবে সবচেয়ে ভাল, তাহলে কেউ তোমাকে দেখতে পারবে না, আর ভয়ও পাবে না।” বুগাবুগা তখন অদৃশ্য হয়ে গেল। সাগর বলল, “বুগাবুগা তুমি আমার সার্টের ঢুকে যাও।” বুগাবুগা সাগরের সার্টের পকেটে ঢুকে গেল। সাগর বলল, “বাসায় গিয়ে তুমি কিন্তু কারে সামনে একটা কথাও বলবে না।” বুগাবুগা বলল, “ঠিক আছে কোন কথা বলব না।” খাও।" সাগর হাত মুখ ধুয়ে খেতে বসল সবার সাথে। হঠাৎ তার আম্মা বললেন, “আরে সাগর বাসায় আসতেই তার আলো বললেন, “সাগর হাতমুখ ধুয়ে আস। কিছু একটা সাগর তোমার সার্টটা এত ময়লা হল কেমন করে? খুলে দাও দেখি ধুয়ে দিই।” সাগরের সার্টের পকেটে বুগাবুগা বসে আছে অদৃশ্য হয়ে, সাগর তাই বলল, “আম্মা, আজকে এই সার্টটা না ধুলে কেমন হয়?” আম্মা বললেন, “না না, খুলে দাও এই সার্ট। সব কাপড় ভিজিয়ে দিয়েছি সাবান দিয়ে, সাগর কিছু বলার আগেই আম্মা তার সার্ট খুলে নিলেন। তারপর সেটাকে যেই পানিতে এটাও ভিজিয়ে দেব।" ভিজাবেন হঠাৎ শুনলেন সার্টটা থেকে কে জানি বলছে, “না, না, না, আমাকে পানিতে ভিজাবেন না!” আম্মা চিৎকার করে সার্টটা ফেলে দিলেন নিচে। বললেন, “ও, মা! সার্টটা কথা বলছে কেমন করে?” সাগর সবই বুঝতে পারল সাথে সাথে। সে ছুটে গিয়ে বলল, “আম্মা, তুমি ভয় পেয়ো না। আমি ঠিক করে দিই এই সার্ট।” তখন সে ফিসফিস করে বলল, “বুগাবুগা, তুমি পকেট থেকে বের হয়ে টেবিলের উপরে গ্লাশটাতে ঢুকে যাও।" বুগাবুগা তখন সার্টের পকেট থেকে বের হয়ে টেবিলে গ্লাশটার মাঝে ঢুকে গেল। অদৃশ্য হয়েছিল, তাই কেউ সেটা বুঝতেও পারল না। আম্মা তখন সার্টটা ভিজিয়ে দিলেন পানিতে সার্ট আর কোন কথা বলল না। সে একটু পরে আব্বা পানি খাওয়ার জন্যে গ্লাশটা নিয়ে যেই তাতে পানি ঢালবেন, গ্লাশের ভিতর থেকে বুগাবুগা বলল, “না, না, পানি ঢালবেন না।” আব্বা এত অবাক হলেন যে আরেকটু হলে গ্লাশটা ফেলেই দিচ্ছিলেন। আম্মা বললেন, “এখন দেখি গ্লাশটা কথা বলছে!" সাগর বলল, “আমাকে গ্লাশটা দাও আমি ঠিক করে দিচ্ছি।” তখন সে ফিসফিস করে বলল, “ঐ দেখো মেঝের ওপর একটা বল। বুগাবুগা তুমি পাশ থেকে বের হয়ে ঐ বলটার ভিতরে চলে যাও।" বুগাবুগা তাড়াতাড়ি বলটার ভিতরে গিয়ে ঢুকে ঠিক তখন সাগরের ছোট বোন মিলি এল ঘরে তার সবচেয়ে ভাল লাগে বলটা দিয়ে খেলতে। সে বলটা তুলে ছুড়ে দিল উপরে। তখন সবাই শুনল বলটার ভিতরে কে জানি চিৎকার করে বলছে, “ও বাবাগো, ও মাগো আমাকে আছাড় দিও না—" বলটা যেই নীচে এসে পড়ল, বলটা আরো জোরে চিৎকার করে বলল, “মেরে ফেলল, মেরে ফেলল আমাকে!" আব্বা বললেন, “এটা কোন ব্যাপার? কি হচ্ছে আজকে? সাগর, তুমি কি জান একবার সার্ট, একবার গ্লাশ, আরেকবার বল কেন কথা বলছে।" সাগর বলল, “জানি।" আম্মা বললেন, “বলো দেখি আমাদের।" মিলি ঠিক তখন বলটা আবার ছুড়ে দিল উপরে, আর বলটা আবার ডাক ছেড়ে কাঁদল, “ও বাবাগো, ও মাগো, মেরে ফেলল আমাকে। একেবারে মেরে ফেলল!" সাগর বলল, “মিলি তুমি বলটা আর ছুড়ে দিও না। বুগাবুগা ব্যথা পেতে পারে।” আব্বা বললেন, “বুগাবুগা? সেটা আবার কি?" সাগর বলল, “বুগাবুগা আমার বন্ধু। সে কিন্তু মানুষ না, সে ভূত। সে বাসা আর বিছানা দেখার জন্যে এসেছে আমার সাথে। তোমরা ভয় পাবে তাই সে অদৃশ্য হয়ে আছে।” মিলি বলল, “আমি দেখতে চাই, দেখতে চাই।"


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ১৬৫ জন


এ জাতীয় গল্প

→ বুগাবুগা পার্ট ৩ শেষ পার্ট
→ বুগাবুগা পার্ট ১

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now