বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

সর্বশক্তিমান

"সাইন্স ফিকশন" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান abdullah fahad(guest) (০ পয়েন্ট)

X পর্ব ০১:- আগন্তুক SRD (Space Ranger Force) হেডকোয়ার্টারের ‘ইলিট মেইন অফিস’ এ সাতজন বসে আছে। প্রথমজন:- তাহলে আমরা কি সিদ্ধান্তে উপনীত হলাম? দ্বিতীয়জন শুধু মাথা ঝাকালো, হ্যা-না বা অন্য কোনকিছুই ইঙ্গিত করলোনা। বাইরে প্রচুর আলো থাকার পরেও এই কক্ষে আলো পড়ছে অত্যান্ত কম, শুধুমাত্র একটি জানালা দিয়ে আলো পড়ছে ঘরটিতে। ঘরটি অর্ধেক গোমট আর অর্ধেক অন্ধকারে। সপ্তমজন:- আমাদের উচিত উদ্ধারকাজে লোকদের পাঠানো! পঞ্চমজন:- কিন্তু ওখানে যারা গেছিলো তাদের সাথে কি হয়েছে সেটা তো আমরা সবাই জানি! সবাই চুপচাপ হয়ে গেলো। সাতজনই একটা গোল টেবিলে বসে ছিলো। চতুর্থজন:- আমাদের ওখানে একদল সৈন্য পাঠাতে হবে, কোন উদ্ধারকর্মীর দরকার না ওদের! সপ্তমজন:- এই বিপদের সময়ে যেখানে যেকোনসময় কিলডোথ সম্রাজ্য আমাদের উপর আক্রমণ করতে পারে, না আমি এতে সহমত দিতে পারছিনা। পঞ্চমজন:- কিন্তু আমাদেরকে সেই রহস্য সমাধান করতে হবে, নাকি আরও লোকদের মৃত্যু দিয়ে সেই রহস্য বাড়াতে হবে! তাই আমার মতে সৈন্যদের পাঠানো উচিত! এতক্ষণ পরে দ্বিতীয়জন চায়ের পেয়ালায় এক বিশাল চুমুক দিলো, স-স-স-স আওয়াজে সকলের মনোযোগ দ্বিতীয়জনের উপর কেন্দ্রীভূত হলো। প্রথমজন:- আপনি কি কিছু বলতে চান ডেভিশ আজম? ডেভিশ আজম চায়ের পেয়ালা নামিয়ে শান্ত গলায় বলতে শুরু করলো, আমরা সবাই ভিডিও ফুটেজ থেকে দেখতে পেয়েছি যে কোন প্যারাসাইট (পরজীবী) তাদের উপর হামলা করেছিলো আর সম্প্রচার বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো। প্রথমজন:- হ্যা, কিন্তু…… ডেভিশ আজম:- আমি এখনো বলা শেষ করিনি, আমার মতে আমাদের কয়েকজন সৈন্যের সাথে, না- দুইজন সৈন্যের সাথে একদল রিসকিউ টিমকে পাঠানো উচিত! তাহলে তাদের নিরাপত্তা আর লোকবল দুটোই ঠিক থাকবে। ডেভিশ আজম আবার চায়ের পেয়ালায় আরেকটা চুমুক দিলো, তবে এবার আগের তুলনায় কম শব্দ বা কোন শব্দই হলো না। বাইরে সুর্য অস্ত যাচ্ছিলো, সূর্যের রক্তিম আভা আকাশের রং বদলে দিচ্ছিলো! কে জানে ডেভিশ আজমের মনে কি চলছিলো? তবে সে জানে এই ঘটনা কোনকিছুর ইঙ্গিত, এমন কিছু যার সংকেত ডেভিশ আজম এতদিন ধরে পেয়েছিলো। বাকিরা কিছুক্ষন নিজেদের মধ্যে চুপিসারে কথা বললো এই ব্যাপারে। কিছুক্ষণ পরে তারা সকলেই ডেভিশ আজমের কথামতো রাজী হলো। এবার ডেভিশ আজম উঠে বললো, আপনাদের সকলের অনুমতি নিয়ে আমি বলতে চাই যে আমি সেই দুজন সৈন্যকে ইতিমধ্যেই ৩৭৫ নং SRD হেড কোয়ার্টারে ডেকে পাঠিয়েছি! তৃতীয়জন:- এটা অন্যায়! আমাদের না জানিয়ে আপনি কি করে এরকম সিদ্ধান্ত নিতে পারে? আবার শান্তগলায় ডেভিশ আজম বললো, আমার মতে কাউন্সিল আমার প্রস্তাবে রাজি হয়েছিলো? আমি কি ঠিক শুনেছিলাম… যে আপনারা রাজি? সেসময় প্রথমজন বললো, আমরা রাজি, তবে তোমাকে বলতে হবে তুমি কাদের দুজনকে পাঠাতে চাও? আর কোন দলকেই বা নির্বাচন করেছো? আজম সেসময় নিজের পকেট থেকে একটা ডিভাইস(যন্ত্র, ফোনের মতো। তবে সেটি নিজের স্ক্রিণ বাতাসে হলোগ্রামের মাধ্যমে দেখায়) বের করলো, ডিভাইসটি টেবিলে রাখার পরপরই দুজনের আইডেন্টিটি কার্ডের থিডি হলোগ্রাম সেই ডিভাইসের উপরে প্রদর্শিত হতে থাকলো। ডেভিশ আজম:- এ হলো ‘হিরাকাগা বোগকা’ একজন দায়িত্ববান আর পারদর্শী সৈনিক! লিঙ্গ পুরুষ। এটি তার দ্বিতীয় জীবন। বয়স ২০ সপ্তমজন:- আর দ্বিতীয়জন? ডেভিশ আজম:- দ্বিতীয়জন ‘গার্মোলেইয়া’। একজন দায়িত্বহীন আর পারদর্শী সৈনিক! লিঙ্গ স্ত্রী। এটি তার প্রথম জীবন। বয়স ২১ দায়িত্বহীন শব্দটি শোনার সাথে সাথে বাকি ছয়জন একে অপরের দিকে তাকাতে লাগলো। তৃতীয়জন:- আমি কি ঠিক শুনলাম যে আপনি দ্বিতীয়জনকে দায়িত্বহীন বললেন? ডেভিশ আজম:- আমি পরবর্তীতে পারদর্শিও বলেছিলাম, আর যদি কোন অজ্ঞ সৈনিক মারা যায় তাহলেই তো আপনাদের লাভ! সে মারা গেলেও আপনি কোন লোকবল হারাচ্ছেননা! সপ্তমজন:- আর উদ্ধারকর্মী? ডেভিশ আজম:- আমি এই কাজের জন্য ১৭ নম্বর গ্রুপকে বেছেছি, কারো কোন প্রশ্ন? বাকি ছয়জন বেশ খানিক্ষন ভাবলো, তারপর তারা সবাই রাজি হলো ডেভিশ আজমের সাথে। এবার অবশেষে মিটিং শেষ হলো, এই মিশনের সকল দায়িত্ব এসে পড়লো ডেভিশ আজমের কাধে। মিটিং শেষে সকলে একে একে ঘর ছেড়ে বেড় হলো, কিন্তু ডেভিশ আজম নিজের চায়ের পেয়ালাতে চুমুক দিতে দিতে সেই জানালার কাছে গিয়ে দাড়ালো। ষষ্ঠজন বের হওয়ার সময় ডেভিশ আজমকে জিজ্ঞাসা করলো, আপনি বেরোবেন না? এই কথায় যেন ডেভিশ আজমের হুশ আবার ফিরে আসলো। ডেভিশ আজম বললো, আমি বের হচ্ছি আপনার পরেই! ষষ্ঠজন বেরিয়ে গেলো, কিন্তু ডেভিশ আজম সেখানে দাড়িয়ে থেকেই নিজের চা শেষ করে বাইরে বেরিয়ে এলো। হয়তো সে কিছু ভাবছিলো, হয়তো না! অন্যদিকে হিরাকাগা বোগকা ৩৭৫ নম্বর হেড কোয়ার্টারে তার নতুন কাজ নেওয়ার জন্য প্রবেশ করছে। সাধারণত SRD-র হেড কোয়ার্টার কয়েক কিলোমিটার ব্যাসর্ধের হয় আর সর্বদা গোলাকার হয়। এগুলোর উচ্চতা ৬০০ ফুটের কাছাকাছি হয় আর পুরো ছাদ কাঁচ দ্বারা আবৃত থাকে। এই বিশাল বড় অর্ধ গোলাকার বলয়ের মধ্যে বিভিন্ন বিল্ডিং, স্ট্রাক্চার রয়েছে। আর প্রত্যেকটা বিল্ডিং উপরের বিশাল বড় কাঁচের ডোম থেকে বিচ্ছিন্ন। হিরাকাগা বোগকা নির্দেশমতো চতুর্থ বিল্ডিংয়ের তিন তলায় উঠলো, তাকে সেখান থেকেই তার নতুন মিশন নিতে হবে। হিরাকাগা বোগকা তিনতলায় উঠে ডেভিশ আজমের কেবিনের দড়জার সামনে এসে দাড়ালো। দড়জা ভেতর থেকে বন্ধ, হিরাকাগার কেমন এক অস্বস্তি হতে লাগলো। তবে সব অস্বস্তি পার করে দড়জায় দুবার কড়া নাড়লো হিরিকাগা। অপর প্রান্ত থেকে আওয়াজ এলো, কে? হিরাকাগা এপার থেকে বলে উঠলো, হিরাকাগা বোগকা রিপোর্টিং স্যার! এবার অপর প্রান্ত থেকে আওয়াজ এলো, কাম ইন! আর সেসময় দড়জা খুলে গেলো। হিরাকাগা ভেতরে ঢোকার পরপরই আবার দড়জা লেগে গেলো। হিরাকাগার সামনেই ডেভিশ আজম বসে রয়েছে, আর আজমের পাশেই আজমের এসিস্ট্যান্ট দাড়িয়ে। টেবিলের সামনে থাকা একটা চেয়ারের দিকে ইশারা করে আজম বললো, বসো! সম্পুর্ণ মিলিটারি কায়দায় সম্মান দেখিয়েই হিরাকাগা বোগকা সেই চেয়ারে বসলো। ডেভিশ আজম:- তোমাকে এখানে একটা গুরুত্বপুর্ণ আর কনফিডেনশিয়াল মিশনের জন্য ডাকা হয়েছে, যদিও এটাকে মিশন না বলে ইন্সপেকশন বললেও বলা যায়! তবে তোমাকে অত্যান্ত সতর্ক থাকতে হবে। এই বলে আজম তার পাশের এসিস্ট্যান্টকে ইশারা করলো আর তার পাশের এসিস্ট্যান্ট হিরাকাগার হাতে একটা ডিভাইস দিলো। হিরাকাগা ডিভাইসটি ভালোভাবে দেখতেই দেখতে পেলো উপরে লেখা ‘মিশন:- আগন্তুক’ এবার আবার আজম ঠান্ডা গলায় বোঝানো শুরু করলো, আমরা কিছুদিন আগেই গ্যালাক্সির শেষ প্রান্তে এক রহস্যময় স্পেসশিপ আবিষ্কার করি, গত পঞ্চাশবছরেও যেই স্পেসশীপের কোন অস্তিত্ব ছিলোনা। আমাদের সন্দেহ- না বিশ্বাস যে ওই স্পেসশিপ আমাদের গ্যালাক্সির না। আমাদের গ্যালাক্সির না, এটা শুনতেই বোগকার কেমন একটা অনুভব হলো! রহস্য আর ভয় মিশ্রিত অনুভুতি! আবার আজম বলতে আরম্ভ করলো, ওই স্পেসশিপে আমরা আমাদের এক্সপ্লোরার(যারা মহাকাশে নতুন কিছু পেলে পর্যবেক্ষণ করে) পাঠাই, কিন্তু তাদের সাথে একটা দুর্ঘটনা ঘটে যায়। তুমি নিজেই কেন দেখে নিচ্ছোনা? হিরাকাগা এবার সেই ডিভাইসটি অন করলো। আর উপরে হলোগ্রামে একটা মেনু দেখাতে থাকলো ডিভাইসটি। সেসময় আজম বললো, ‘ভিডিও এভিডেন্স’ নামের ফাইলে দেখো। হিরাকাগা সেই ফাইলে চাপ দিলো আর সেসময় সেই ভিডিও ফুটেজটি অন হলো যা শেষবার সেই এক্সপ্লোরার রা রেকর্ড করেছিলো। ‘ভিডিওটি শুরু হয় সাধারণ এক্সপ্লোরার ভিডিওর মতো, এক্সপ্লোরারের একটি দল এক বিশাল বড় ভাঙ্গা স্পেসশীপের ভাঙ্গা অংশ দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করছে। ভেতরে কোন আলো নেই, এমনকি কোন লাইফ সাপোর্ট( স্পেসশীপে লাইফ সাপোর্ট বলতে স্পেসশীপের সকল ফাংশন চলা যেন সেখানে কোন প্রাণী থাকতে পারে তা বোঝায়) নেই। তারা দুই দলে ভাগ হয়ে পুরো স্পেসশীপ খুজতে লাগলো, কোন প্রাণের সন্ধান আছে কি না তা খোজার জন্য। কিন্তু প্রথম দল যখন উপরে পৌছায় তখন তারা একটা হলোগ্রাম আবিষ্কার করে।’ এই ভিডিওটি সেইসব এক্সপ্লোরারদের শেষ মুহুর্তের স্মৃতি, এটা ভাবতেই হিরাকাগার গা- শিউরে উঠলো। তার উপরে অন্ধকারের মধ্যে হঠাৎ এক হলোগ্রাম দেখে তার মনে যেন আরও ভয় বাসা বাধতে থাকলো। ‘সেই হলোগ্রামটি বারবার একটা অনুচ্ছেদের পুনরাবৃত্তি করছিলো, "দিয ওকে রআম সেমেজ য়েপে ওকথা, রএ নেমা ইমআ নএখ যনঅ য়াছাথেপ লেচ ছিএসে। টআএ রআম ষশএ র্তাআব খাকেজেন রআ রতআ বজীপর রদেমাআ রেপউ কেথছায়াপ লদখ রেক ছেলেফে! রামআ ংস্বধ্ব য়এহ ছিগে, নতুকি এস নখোএ ছেসআ ণরকা রআত ক্ষল টিকএ থপছায়া, রোপু হাবিশ্বম! রামতো কএ ওহ, রামআ এয ভুল রেছিকো আত নারোক! ইকেরমাতোদে কেও তেখরু বেহ…" ভিডিওর এতটুকু পেরোতেই তাদের উপর সিলিং থেকে কোন এক জলীয় প্রাণী আক্রমণ করলো। জলীয় প্রাণীটা ছিলো সম্পূর্ণ কালচে, আর তার পরার সাথে সাথে দুই একটা চিৎকার আর ধারাভাষ্য বন্ধ হয়ে যায়’ এই ভিডিওর এই ভয়াবহতা দেখে হিরাকাগার হৃৎপিন্ড গলা অবধি উঠে এলো। ‘দ্বিতীয় দলের উপরেই এই কালো জলীয় প্রাণী আক্রমণ করে আর তাদের ভাগ্যও প্রথম দল থেকে বেশ ভালো বের হয়নি’ এখানেই ভিডিওটি শেষ হয়ে যায়। ভিডিওটি দেখে হিরাকাগা খানিকটা শকের মধ্যে চলে এলো। তার বারবার মনে হতে লাগলো, এটা কি করে বা কিভাবে? ঠিক এসময় আজম হিরাকাগাকে আরেকবার প্রশ্ন করে, তোমার কি মনে হয় এই ভিডিওটা দেখে?………


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ২২৬ জন


এ জাতীয় গল্প

→ সৃষ্টিকর্তা যদি সর্বশক্তিমানই হোন তাহলে মানুষের পাপের শাস্তি কেন তিনি সাথে সাথেই দেন না??তাহলে তো আর কেউ পাপ করতে পারে না।

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now