বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

অজান্তেই প্রেমে পড়া ৩ (শেষ)

"রোম্যান্টিক" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান সিয়াম (০ পয়েন্ট)

X কয়েক দিন পর ঝুমাকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেওয়া হলো। ও এখন কয়েকদিন রেস্টে আছে। এদিকে ঝুমার মা বাবা আমাকে ওনাদের বাসায় দাওয়াত দিলো। আমি দাওয়াত গ্রহন করলাম। ঝুমার বাসাটাতো চিনি না এবার চেনাও হয়ে যাবে। শুক্রবার দিন দাওয়াতে যাওয়ার কথা ছিলো। তো সেদিন সকালে ঝুমা মেসেজে ওর বাড়ির লোকেশনটা দিয়ে দিলো। জুমার নামাজ শেষে ওদের বাড়ির উদ্দেশ্যে বের হলাম এবং যথাসময়ে পৌছে গেলাম। বাড়ি পৌছে দরজা একবার নক করতে না করতেই দরজা খুলে গেলো। দরজা ঝুমা খুলল। আমি বললাম কি ব্যাপার ? আমি নক করতে না করতেই খুলে দিলে। দরজার কাছে দাড়িয়েই ছিলে নাকি?gj ঝুমা বলল হ্যা অনেকটা ওরকমই বলতে পারো। কথাটা বলে ঝুমার মুখটা লাল হয়ে গেলো। তারপর আমাকে বলল চলো ডাইনিং রুমে। বাবা মা অপেক্ষা করছে তোমার জন্য। আমি বললাম হ্যা চলো বেশ খিদা পেয়েছেgj আমি ডাইনিং রুমে ঢুকে আঙ্কেল,আন্টিকে সালাম দিয়ে টেবিলে বসলাম। ঝুমা খাবার সাজিয়ে নিয়ে আসলো। খাবারে ছিলো পোলাও,মুরগির মাংস, ইলিশ মাছ, ছোলার ডাল আরও বেশকিছু। ঝুমা আমার প্লেটে বেশ অনেক খাবার দিয়ে দিলো। আমি বললাম ও আল্লাহ। এত খাবার যে দিলে খেতে পারবো না তো? ঝুমা বলল খাও খাও আমি নিজ হাতে বানিয়েছি আজ ও হ তাহলে তো খেয়ে দেখতেই হয় কেমন হয়েছে lovely আমি খাওয়া শুরু করলাম। আসলেও খাবারটা অনেক সুস্বাদু ও ভালো ছিলো। খাওয়ার শেষের দিকে আমি বললাম অসাধারন রান্না করেছো তুমি এর স্বাদ কখনো ভুলবো না । ভবিষৎে আমার বউ যদি এমন রান্না করতে পারে তাহলে তো আর কথাই নেই। আঙ্কেল আন্টি হেসে বলল তোমার ইচ্ছা পুর্ন হোক বাবা gj ঝুমা কথাটা শুনে একটু আনমনা হয়ে পড়েছিলো। কি ভাবছিলো কে জানে? এরপর আরও একমাস কেটে গেলো। যত দিন যাচ্ছে আমি ওর প্রতি ঠিক ততটাই দুর্বল হচ্ছি। এবার আমার ভালোবাসার কথা ওকে জানাতে হবে। কিন্তু কিভাবে জানাবো মুখে বলার সাহস আমার নেই তাহলে কি ভাবে বলবো? তখন মনে পড়লো লিখে তো জানানোই যায়। তাহলে ওকে চিঠি লিখেই জানাবো। তাই ওকে চিঠি লেখার জন্য বসলাম। চিঠির লেখা বেশি না চিঠিটা ছিলো এমন প্রিয়তমা ঝুমা তোমাকে যেইদিন প্রথম দেখেছিলাম সেদিন খুব মুগ্ধ হয়েছিলাম। তোমার সেই টানা চোখ মায়াবি মুখ, খোলা চুল সবই আমাকে বিমোহিত করেছিলো। সেইদিন আমার তোমার কথা ভাবা। এরকম করেই তোমাকে কবে ভালোবেসে ফেলেছি জানি না। তুমি আমাকে ভালোবাসবে কি না জানিনা কিন্তু আমি ভালোবেসে যাবো যতদিন বাচি। ইতি তোমারই কেউ এরপর চিঠিটা কিভাবে ওর কাছে পৌছাবো ভাবছিলাম। ওর ব্যাগে ঢুকিয়ে দেবো নাকি বাড়িতে ওর রুমের জানলা দিয়ে ফেলবো কি করবো করবো ভাবছি তখন একটা বুদ্ধি আসলো। আমি পরের দিন ইউনিভার্সিটি পৌছে ক্লাস শেষ করার পর সোজা বিজ্ঞান ভবনের তিনতলায় উঠে গেলাম। এই ভবনের পাশ দিয়েই ঝুমা প্রতিদিন যায়। এখন ওর আসার প্রতিক্ষা। একটুপর ঝুমা ভবনের পাশ দিয়ে হাটে যেতেই ওকে লক্ষ করে একটু সামনে ছুড়ে দিলাম চিঠিটা। চিঠি ছুড়ে দিয়ে আমি আড়ালে গেলাম। আড়াল থেকে যা দেখলাম ঝুমা চিঠিটা তুলে নিয়েছে অবশ্য পড়ে নি এখনো। হয়তোবা বাসায় গিয়ে পড়বে। আমি আমার মনের কথা ওকে জানিয়েছি এই অনেক শান্তি। দুইদিন পর অর্থাৎ শনিবার ক্লাস করে বের হয়েছি। আর ঝুমা বলল চলো রাস্তায় একটু হাটি আর কথা বলি। আমি বললাম চলো যাওয়া যাক। আমি আর ঝুমা রাস্তা দিয়ে হাটছি আর এখন যে রাস্তা দিয়ে হাটছি সেখানে কোন গাড়ি নেই মানুষ কয়েকজন। তার উপর আজ দিনটা মেঘলা। যখন তখন বৃষ্টি নামতে পারে। ঠান্ডা বাতাস বইছে আমার বেশ ভালো অনুভূতি হচ্ছে। আরও কিছুক্ষন হাটার পর ঝুমা আমার হাতটা ধরে আমাকে ওর মুখোমুখি করালো। মুখে ওর অনেকটা অভিমানের ছাপ। ঝুমা ওর ব্যাগ থেকে আমার দেওয়া চিঠিটা বের করে বলল এটা কে লিখেছে? আমি অনেকটা আমতা আমতা করে বললাম আমি কি জানি তোমার চিঠি কে লিখেছে? ঝুমা এরপর বলল জানো না কে লিখেছে জানো না। সত্যি করে বলো আমি বললাম আরে বাবা আমি কি করে জানবো কে লিখেছে তোমার চিঠি। ঝুমা এবার রাগ ও অভিমানের সুরে বলল বলল বলবে না তো ঠিকাছে চলে যাচ্ছি আমি আরও কখনো ডাকবে না। ও পিছনে ঘুরে চলে যাওয়া শুরু করতেই আমি ওর হাত ধরে ওকে আমার কাছে নিয়ে আসলাম আর বললাম কেন এত অভিমান তোমার? হ্যা আমিই লিখেছি চিঠি। লিখেছি যাকে ভালোবেসেছি তাকে ঝুমা এবার অভিমান ও কান্নার কন্ঠে বলল আমিও কি তোমাকে ভালোবাসিনি। খুব ভালোবেসেছি তুমিই বোঝনি। তোমার সাথে দেখা হওয়ার কয়েকদিন পরই তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি। (এমন সময় বৃষ্টি শুরু হলো) আর আমাকে ভালো বাসো এতটুক বলতে এত দিন লাগে । সেই কবে থেকে অপেক্ষা করেছি কবে বলবে তুমি আমায়" ভালোবাসি তোমাকে" বলতে বলতে চোখে ওর জল চলে আসলো। আমি ওকে আরও কাছে নিয়ে এসে ওর চোখের পানি মুছিয়ে দিয়ে বললাম আজ আমাদের দুজনের ভালোবাসাই পূর্ণতা পেয়েছে। দেখছোনা বৃষ্টি আমাদের এই নতুন যাত্রাকে স্বাগতম জানিয়েছে। চলো ভিজি বৃষ্টিতে শুরু করি আমাদের জীবনের এক নতুন অধ্যায়। ঝুমা শুধু বলল হ্যা চলো। lovelovelove সমাপ্ত


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৪৮৯ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now