বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
আমাদের বন্ধুত্ব ভালোই জমেছিলো। মজা,খুনসুটির ভিতর দিয়ে ৪টা মাস চলে গেলো। এর ভিতর ঝুমাকে যে কখন ভালোবেসে ফেলেছি নিজেও বুঝতে পারি নি।
ও আমাকে ভালোবেসেছে কি না জানি না তবে আমার হৃদয়ে ওর একটা স্থান হয়ে গেছে।
একদিন ভার্সটিতে ক্লাাস শেষ করার পর ওর সাথে কথা বলার পর মেসের ফিরে হাতমুখ ধুয়ে খেতে বসছি এমন সময় একটা ফোন আসলো।
ফোন দিয়েছে ঝুমার এক বান্ধবী নাম অর্পিতা।
আমি ফোন ধরলাম। ওপাশ থেকে অর্পিতা তাড়া তাড়ি করে বলতে লাগলো রাজিব; ঝুমার অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে তাড়াতাড়ি আসো তোমাদের মেসের কাছাকাছিই তাই তোমাকে ফোন দিয়েছি।
আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়লো। খাওয়া ফেলে তাড়াতাড়ি ছুটলাম। লোকেশন অনুযায়ী যেয়ে দেখলাম কিছু লোকের ভিড়। বুঝলাম ওখানেই আছে। যেয়ে দেখলাম ঝুমা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে ওকে ধরে অর্পিতা বসে ছিলো।
আমি দ্রুত ওকে পাজকোলা করে তুলে অটোতে করে হাসপাতালে গেলাম।
ঝুমাকে জরুরি বিভাগে নেওয়া হলো।
কিছুক্ষন পর ডাক্তার এসে বলল রোগির প্রচুর ব্লেডিং হয়েছে রক্ত দরকার।
কি গ্রুপের রক্ত স্যার?
O+ রক্তের গ্রুপ।
আমি বললাম আমার রক্তের গ্রুপ o+. আমি দেবো রক্ত যতো লাগে।
ডাক্তার বলল চলুন আমার সাথে।
এরপর রক্ত দিলাম যতটুক প্রয়োজনমতো। এরপর বাইরে এসে চেয়ারে বসে আছি। এমন সময় দুজন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ ও মহিলা আসলো। এবং ঝুমা যে রুমে আছে সে রুমের দরজার কাছে এসে দাড়ালো।
আমার মনে হলো ওরা ঝুমার বাবা-মা।
যাইহোক কিছুক্ষন পর ডাক্তার এসে বলল রোগির আত্তীয় কারা। পুরুষ ও মহিলা দুজন ঝুমার বাবা মা হিসেবে পরিচয় দিলো।
এরপর ডাক্তার বললো রোগি এখন বিপদ মুক্ত। সব হয়েছে যথা সময়ে রক্ত দেওয়ার জন্য।
ঝুমার আম্মু অর্থাৎ আনটি জিজ্ঞেস করলো কে দিয়েছে রক্ত আমার জন্য?
ডাক্তার আমার দিকে দেখিয়ে বলল ওইতো এই ছেলেটাই রক্ত দিয়েছে।
আঙ্কেল আন্টি দুজনই আমার কাছে এসে বলল তোমার অনেক ভালো হবে বাবা। তুমি আমার মেয়েকে রক্ত দিয়ে তার জিবন বাচিয়েছো তোমাকে যে কি বলে ধন্যবাদ দেবো।
আমি বললাম : না আন্টি ধন্যবাদ কিসের ? এইটা আমার একটা দায়িত্ব। বন্ধুর বিপদে তো বন্ধুই এগিয়ে আসবে আর জিবন মৃত্যু তো সৃষ্টিকর্তার হাতে।
বড় ভালো কথা শুনালে বাবা। তুমি ওর বন্ধু? আঙ্কেল বলল
জি আঙ্কেল আমরা বন্ধু। আমি বললাম।
ও ভালো। আন্টি বললাম
আমি ভাবলাম এখন ফিরে যাই। আঙ্কেল আন্টিতো আছেই। পরে আসবো একটু।
তাই আঙ্কেল আন্টিকে বলে তখনকার মতো চলে আসলাম। মেসে এসে খাওয়াদাওয়া করে কিছু কাজ সেরে আবার গেলাম হাসপাতালে সাথে কিছু ফল।
কেবিনে ঢোকার সময় নার্স বলল পেশেন্ট এখন ঘুমাচ্ছে।
এখন ঝুমার মা-বাবা নেই। কিছুক্ষনের জন্য বাড়ি গেছেন হয়তোবা।
আমি ঝুমার কেবিনে ঢুকলাম। ও সত্যিই ঘুমাচ্ছে। ঘুমন্ত অবস্থায় মেয়েটার মুখ অনেক সরল ও মায়াবি লাগছে। আমি ওর মুখের দিকে তাকিয়ে রইলাম বেশ কিচুক্ষন।
পরে দেখলাম ও নড়ছে। মানে বুঝলাম ঘুম ভেঙেছে। আমি ওর কাছে আসলাম।
ঝুমা চোখ খুলেই আমাকে দেখতে পেলো। বলল তুমি?
হ্যা কেন আসতে পারি না?
না না আমি সেটা বলিনি। আচ্ছা তুমিইতো আমাকে রক্ত দিয়েছো। মায়ের মুখ থেকে যতটুক শুনেছি মনে হচ্ছে তুমিই।
হ্যা আমিই দিয়েছি। আমি বললাম
ঝুমা বলল আচ্ছা আমাদের ভিতর কোন জিনিসের এত মিল কেন? দেখ তোমার রক্ত গ্রুপ আর আমার গ্রুপ এক। তোমার রবিন্দ্রসঙ্গিত পছন্দ আমারও তাই।
আমি হেসে বললাম কি জানি কেন এত মিল? খোদাই জানে
এবার ঝুমা এমন একটা মুচকি হাসি দিলো যে ওটা আমাকে মুগ্ধ এক ই সাথে অবাক করলো। কি মানে এই হাসির?
চলবে,,,,,,,,
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now